পুরোপুরি গলে যাওয়া ওকিয়োকুল হিমবাহের জন্য স্মরণসভার আয়োজন করা হলো আইসল্যান্ডে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা৷ ওকিয়োকুলের মতো এভাবেই হারিয়ে যাবে আগামী ২০০ বছরে আরো বেশ কয়েকটি হিমবাহ, বলছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷

বাড়ন্ত তাপমাত্রার কারণে গলছে পশ্চিম এন্টার্কটিকার ঠোয়েইটস হিমবাহ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হিমবাহ পুরো গলে গেলে বিশ্বের সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়বে ৫০ সেন্টিমিটার, যা ডুবিয়ে দেবে পৃথিবীর অনেক অংশ৷

এন্টার্কটিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিমবাহ রয়েছে চিলের এই অঞ্চলে৷ সেখানের গ্রে হিমবাহের দ্রুতগতিতে গলে যাওয়া আসন্ন বিপদের লক্ষণ৷

সুইজারল্যান্ডের রোন হিমবাহের চিত্রও খুব একটা ভিন্ন নয়৷ জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান মাত্রা যদি অপরিবর্তিত থাকে, এই হিমবাহের দুই-তৃতীয়াংশ হারিয়ে যাবে, বলছেন নাসার এক বিজ্ঞানীদের দল৷

দক্ষিণ গোলার্ধ্বের ফ্রানজ জোসেফ হিমবাহ নিউজিল্যান্ডে পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্থল৷ সেখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সাইকেল ও হাইকিং রুট৷ কিন্তু এই হিমবাহ পুরো গলে গেলে তাও হারাবে নিউজিল্যান্ড৷

২০১২ সালেই নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তন কেড়ে নেবে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় পর্যটনকেন্দ্র মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর বরফচূড়া৷ এই আশঙ্কা বাস্তবে পরিণত হতে খুব বেশি দেরি নেই, বলছেন তারা৷

কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভালডেজ হিমবাহে নৌকাবিহার করছিলেন দুই জার্মান ও এক অস্ট্রিয়ান পর্যটক৷ সেই সময় বিরাটাকারের একটি বরফপিণ্ড ভেঙে পড়ে৷ ফলে মৃত্যু হয় তাদের৷ বরফপিণ্ডের হঠাৎ ভেঙে পড়াও আসলে বাড়ন্ত তাপমাত্রার প্রভাব৷

পৃথিবীজুড়ে গলে যাচ্ছে একের পর এক হিমবাহ৷ কিন্তু গ্রিনল্যান্ডের ইয়াকবসহাভেন হিমবাহ এসবের মধ্যে ব্যতিক্রম৷ নাসার একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে আবার ঘন হতে শুরু করেছে এই হিমবাহের বরফ৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বৃদ্ধি সাময়িক৷ পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এই বৃদ্ধি থেমে যেতে বাধ্য৷