1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেলিনা হোসেনের কথা

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন৷ বাংলা একাডেমীর প্রাক্তন পরিচালক হিসেবে এবং একইসাথে লেখিকা হিসেবে একুশে বইমেলা তাঁর প্রাণের এবং অস্তিত্বের জয়গা বলে মনে করেন সেলিনা হোসেন৷

Selina Hossain
ছবি: Selina Hossain

১৯৪৭ সালের ১৪ই জুন রাজশাহী শহরে জন্ম সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের৷ বগুড়া ও রাজশাহীতে কেটেছে তাঁর শৈশব ও শিক্ষা জীবন৷ সত্তরের দশক থেকে তাঁর লেখা সাহিত্যকর্ম বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশেষভাবে পরিচিতি পেতে শুরু করে৷ এখনও নিবিড়ভাবে লিখে চলেছেন এই সৃষ্টিশীল নারী৷

এবারের বইমেলায় নিজের প্রকাশিত বই সম্পর্কে সেলিনা হোসেন জানান, ‘‘আমার দু'টো নতুন বই প্রকাশ হয়েছে এবার৷ একটি উপন্যাস প্রকাশ হয়েছে৷ এটির নাম ‘গাছটির ছায়া নেই'৷ এটি এবারের মেলায় বইপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে শুদ্ধস্বর প্রকাশনী৷ আরেকটি শিশুদের উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে৷ সেটির নাম ‘নদীটির ঘুম ভেঙেছে'৷ প্রকাশ করেছে ‘প্রথমা'৷ এছাড়া আগের প্রায় সাত-আটটি বই পুনর্মুদ্রণ করা হয়েছে৷ ‘গাছটির ছায়া নেই' উপন্যাসটিতে আমার নায়িকা ‘অনামিকা' একজন এনজিও কর্মী৷ সে বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশে এইডস বিষয়ে কাজ করে৷ এশিয়া ও আফ্রিকার এইডস সংক্রান্ত পটভূমি নিয়ে এই উপন্যাসটি রচিত৷ আর বাচ্চাদের উপন্যাসটিতে পরিবেশ, মানুষ, মানুষের সাথে সংঘাত, মানুষ কীভাবে নদী ভরাট করে ফেলে, কীভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে খুন হয় এসব বিষয় স্থান পেয়েছে৷ এ উপন্যাসটিতে আমার নায়কের বাবা এমন একজন সন্ত্রাসী লোক যে খুন হয়েছিল৷ তারপর একদিন দেখা গেল, নদীটি ভরাট করার পরে পাটক্ষেত করেছিল লোকেরা৷ সেটা ভেঙে প্রবল স্রোতে বইতে শুরু করেছে৷ তখন নায়ক তার দাদুকে বলে, তোমার সন্ত্রাসী ছেলের রক্তটা ধুয়ে নিচ্ছে নদী৷ এভাবে প্রকৃতির সাথে মানবজীবনের একটা সম্পর্ক এবং বাচ্চাদের জন্য শিক্ষণীয় করে আমি উপন্যাসটি লিখেছি৷''

একুশে বইমেলাছবি: DW

শিশুসাহিত্যে তাঁর অন্যান্য কাজের কথা জানতে চাইলে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘‘এপর্যন্ত আমার ২৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে শিশুদের জন্য৷ গত বছর যেটা প্রকাশ করেছি ‘ফুলকলি প্রধানমন্ত্রী হবে' সেটাও ‘প্রথমা' প্রকাশ করেছে৷ এটা কুয়াকাটায় সাগরের ধারে একটি গ্রামের পটভূমিতে রচিত৷ পরিবেশ এবং শ্রমজীবী শিশুদের স্কুলে যাওয়া ইত্যাদি নানা কিছু নিয়ে গল্পটি সাজিয়েছি৷ এছাড়া আমি সুন্দরবন নিয়ে উপন্যাস লিখেছি৷ তারপর বান্দরবানের পটভূমি নিয়ে একটি উপন্যাস লিখেছি৷ আসলে পরিবেশ এবং মানবিক সম্পর্ক বিষয়ে অনেকগুলো বই রয়েছে বাচ্চাদের জন্য৷''

বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শফিক, জব্বার, বরকতের স্মৃতিবিজড়িত ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি এবার৷ সেই উপলক্ষ্যে এবারের একুশের বইমেলায় রয়েছে কিছুটা ভিন্ন আমেজ৷ এর সাথে যোগ হয়েছে ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে ‘যাপিত জীবন' নামে লেখা সেলিনা হোসেনের ঐতিহাসিক উপন্যাসের পরিমার্জন৷ ফলে ১৯৮২ সালে প্রকাশিত বইটি এবার প্রায় দ্বিগুণ আকার ধারণ করেছে৷ এবার এটির নতুন সংস্করণ প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস লিখতে পেরেছেন বলে মনে করেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন৷

দীর্ঘ স্মৃতিবিজড়িত একুশের বইমেলা নিয়ে সেলিনা হোসেনের অভিব্যক্তি, ‘‘বাংলা একাডেমীতে আমার চাকরি সূত্রে আমি একুশে বইমেলার শুরু থেকে বেড়ে ওঠা সবকিছুই কাছে থেকে দেখেছি৷ এছাড়া একজন লেখক হিসেবে বইমেলা আমার প্রাণের জায়গা৷ আমি তো মনে করি এটা আমার অস্তিত্বের জায়গাও৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ