1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেইমারের মার নেই!

২০ জুন ২০১৩

দশ নম্বর জার্সিধারী ২১ বছর বয়সের খেলোয়াড়টি এবার বার্সেলোনায় আসছে ইউরোপ মাতাতে৷ তার আগে কনফেড কাপে ঝলসে উঠে প্রমাণ করেছে: ব্রাজিলের ফুটবল, গলির ফুটবল, বস্তির ফুটবল জিন্দাবাদ৷

epa03312875 Brazil's Neymar in action during the friendly soccer match between Great Britain and Brazil, at the Riverside Stadium, Middlesbrough, Britain, 20 July 2012. The match is a warm up ahead of the Olympic Games which begin on 27 July. EPA/PETER POWELL +++(c) dpa - Bildfunk+++
Brasilien Spieler Neymar da Silvaছবি: picture alliance/dpa

মেক্সিকোকে ব্রাজিলের চিরকালই ভয়৷ সেই ভয় এবার কাটল ২-০ গোলে জিতে৷ তা বলে ব্রাজিল যে দল হিসেবে খুব আহামরি খেলেছে, এমন নয়৷ ব্রাজিল প্রথম ২৫ মিনিট প্রচণ্ড আগ্রাসী খেলার পর মেক্সিকো যখন আবার ধাতস্থ হয়, হালে পানি পায়, তখন – অর্থাৎ প্রথমার্ধের দ্বিতীয়ার্ধে – মেক্সিকোই যেন চেপে বসেছে আর ব্রাজিল তার ধাক্কা সামলাচ্ছে বলে মনে হয়েছিল৷

খেলার দ্বিতীয়ার্ধে দু'পক্ষ সমানে সমানে খেলে৷ তবে ঐ সমানে-সমানে কথাটা একেবারেই যেখানে খাটে না, সেটা হলো নেইমারের ক্ষেত্রে৷ নায়ক বাদ দিয়ে সিনেমা হয় না, মহারথী বাদ দিয়ে মহাকাব্য হয় না, মারাদোনা-রোনাল্ডো-মেসির মতো প্লেয়ারদের বাদ দিয়ে ফুটবলের মহাকাব্য রচিত হয় না৷ নেইমারকেই ধরা যাক৷

নেইমারছবি: picture-alliance/dpa

শুধু ন'মিনিটের মাথায় ভলি করে গোলটাই নয় – যেটা দেখে জিনেদিন জিদানের কথা মনে পড়তে বাধ্য – সেই সঙ্গে পেনাল্টি এরিয়ার গভীরে, গোলপোস্টের ডাইনে, লাইনের অতি কাছে বিপক্ষের দু'টি ডিফেন্ডারকে শুধু বাঁ পায়ের একটি অতি ক্ষিপ্র পাসে – তাও আবার নিজেকেই করা পাসে – অর্থাৎ এটাকে ড্রিবলিং বলার কোনো অর্থ হয় না – এ হলো শত্রু পরিবেষ্টিত অবস্থায় ব্যূহ ভেদ করে বেরিয়ে আসার জন্য জিদানের মাথায় ও পায়ে যে ধরনের আইডিয়া আসত, সেই গোত্রীয় একটা ট্রিক৷ ডিফেন্টার দু'জন যেখানে ছিল, সেখানেই দাঁড়িয়ে রইল – অথবা তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই বলটা নীচু পাসে স্বপক্ষের ধেয়ে আসা জো'র দিকে ঠেলে দিলেন নেইমার৷ তারপর জো'র গোল করতে কোনো অসুবিধে হয়নি৷ গোল করার পরেই অবশ্য জো নেইমারের দিকে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছেন, গোলের ৮৫ ভাগ কৃতিত্বটা কার৷

নেইমার কালে জিদান না হতে পারেন, রোনাল্ডো হবেন

না, নেইমার এখনও জিদানের ধারে-কাছে নন৷ তার প্রধান কারণ, ২১ বছর বয়সের একজন উঠতি খেলোয়াড়ের কাছে সেটা প্রত্যাশা করাই অন্যায়৷ তার ওপর আবার নেইমার জাত ফরোয়ার্ড: ২৩ মিনিটের মাথায়, ৫৬ মিনিটের মাথায়, ৬৬ মিনিটের মাথায় তাঁর নিজের শট থেকেই ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলটা হতে পারত৷ বলতে কি, ব্রাজিলের ফুটবল সংস্কৃতি থেকে জিদানের মতো খেলোয়াড় বেরনো আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ থাকতে পারে৷ নেইমার বরং রোনাল্ডোর কথাই মনে করিয়ে দেন৷ ঠিক সেইরকম বিস্ফোরণের মতো স্টার্ট, সেইরকম ক্ষিপ্র গতি, সেইরকম গোলের দিকে দুর্বার টান৷ নেইমারের যেটা নেই, সেটা হলো রোনাল্ডোর ভারী চেহারাটা৷ কিন্তু সেই ভারী চেহারাই তো কালে রোনাল্ডোর কাল হয়ে দাঁড়াল৷ কাজেই আপত্তিটা কোথায়?

ফুটবলের পরাশক্তিরা

ইটালি আর জাপানের খেলা নিয়েও অনেক কিছু বলার থাকতে পারতো৷ আপাতত এটুকু বললে চলবে যে, ইটালি ৪-৩ গোলে জিতল বটে, কিন্তু জাপান দেখিয়ে দিয়েছে, তাদের আত্মগর্ব থেকে আত্মসচেতনতা, সবই আছে৷ অন্যদিকে ইটালির আছে একদল পোড়-খাওয়া, অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আর সেই সঙ্গে ছেলেভোলানো রূপকথার পিনোক্কিও'র মতো এক মারিও বালোতেল্লি৷ জুলিয়াস সিজারের সঙ্গে অভিযানে যাওয়ার মতো এই দল যেমন কনফেডে, তেমনই বিশ্বকাপে জেতার দাবি রাখতে পারে৷ যেটা তারা আবার প্রমাণ করেছে সামান্য ক'টি সুযোগ থেকে গোটা চারেক গোল করে ফেলে৷

গোলের পর উচ্ছ্বাসছবি: Getty Images

কনফেড কাপে যে স্পেনকে দেখা যাচ্ছে, সে স্পেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ক্লান্ত মাদ্রিদ কি বার্সেলোনার সঙ্গে তুলনা করলে অতি বড় ভুল করা হবে৷ টিকি-টাকা ফুটবলও স্পেনের নিজস্ব সৃষ্টি, শৈলী, কৃষ্টি৷ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার মতো ‘স্টপার' যাদের, তারা ফুটবলের যে কোনো যুগেই ইতিহাস রচনার ক্ষমতা রাখে৷

ব্রাজিল, ইটালি, স্পেন – এই কনফেড কাপে যে জার্মানি নেই, সেটাই যা দুঃখ৷ নয়ত ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে কি ঘটবে বা ঘটতে পারে, তার একটা সর্বাঙ্গীণ আন্দাজ পাওয়া যেত৷

এসি/ডেজি (ডিপিএ, এপি)   

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ