1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক্সট্রিম স্পোর্টস

৩ মার্চ ২০১২

যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাস্কা’য় কুকুরে টানা স্লেজগাড়ির দৌড়, যা আনুষ্ঠানিকভাবে এই শনিবার শুরু হচ্ছে৷ যে খেলাধুলায় মানুষ তার নিজের শারীরিক সীমাকেই পরখ করে, সেটাই হল চরম খেলাধুলা৷

South African musher Lynton McLean drives his team along the trail of the Copper Basin 300 near Glennallen, Alaska, Monday, Jan. 10, 2005, as one of his qualifying races for the Iditarod Trial Sled Dog Race. Allen Moore, a veteran musher from Two Rivers, Alaska, won the 300-mile sled dog race. (AP Photo/Mark Henspeter)
অ্যালাস্কায় স্লেজ গাড়িতে করে প্রতিযোগিতাছবি: AP

ইডিটারড'কেই ধরা যাক৷ যা'কে বলা হয় ‘দ্য লাস্ট গ্রেট রেস অন আর্থ', বিশ্বের শেষ মহান দৌড়৷ এই স্লেজ দৌড়ের কাহিনির সূচনা ১৯২৫ সাল৷ তখন অ্যালাস্কার নোমে শহরে ডিপথিরিয়া দেখা দিয়েছিল৷ তাই অ্যাঙ্করেজ থেকে ২০ জন ‘মাশার' - মানে স্লেজগাড়ির চালক - সব মিলিয়ে মোট ১৫০টি স্লেজ টানার কুকুর নিয়ে নোমে অভিমুখে যাত্রা করেন৷

সেই ঐতিহাসিক যাত্রার স্মরণে ১৯৭৩ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ইডিটারড ট্রেইল স্লেড ডগ রেস৷ সারা বিশ্ব থেকে মাশার'রা আসেন তাদের ১২টি থেকে ১৬টি কুকুরের দল নিয়ে৷ কুকুর বলতে প্রধানত অ্যালাস্কান হাস্কি জাতীয় বড়, লোমশ কুকুর, যাদের শীত ও তুষার সহ্য করার ক্ষমতা আছে৷ কেননা অ্যাঙ্করেজ থেকে নোমে হল ১,১৫০ মাইল পথ, যার অধিকাংশ তুষারাবৃত তুন্দ্রা৷ আবার পাহাড়ে চড়াই-উতরাই, ঘন বন, এ'সবই আছে৷ আছে তুষারের ঝড় এবং হাড় কাঁপানো বাতাস৷

সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে খেলাছবি: picture-alliance / DPPI

এ'বছর আবার অ্যালাস্কার পশ্চিম উপকূল জুড়ে স্তূপাকার বরফ৷ কাজেই পেল্লাই আকারের, বিরাট শিংওলা হরিণ, মার্কিন মুলুকে যাদের বলে ‘মুজ' এবং ইউরোপে ‘এল্ক', তাদের সঙ্গেও মোলাকাত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে৷ ওদিকে মুজ'রা আবার কুকুর দেখলে বিশেষ ভালো মেজাজে থাকে না৷ মাশার'রা নাকি ইতিমধ্যেই ট্রেনিং দৌড়ে গিয়ে বদমেজাজি মুজ'দের দেখা পেয়েছেন৷

তবুও এ'বছরের দৌড়ে অংশগ্রহণকারী ৬৬টি দলের মধ্যে কেউই পিছ'পা হবে না৷ বিশেষ করে গতবছরের বিজয়ী জন বেকার, যিনি জাতে ইনুপিয়াট এস্কিমো, অর্থাৎ তুষার রাজ্যের আদি বাসিন্দাদের একজন৷ তিনিই প্রথম ইনুপিয়াট, যিনি ইডিটারড জিতেছেন৷ বলতে কি, তার আগে অ্যালাস্কার আর মাত্র একজন বাসিন্দা এই তুষার দৌড়ে জিতেছিলেন৷

স্পোর্ট বলে কা'কে?

অবশ্য ‘এক্সট্রিম স্পোর্টস' বা ‘চরম খেলাধুলা'র আরো অনেক নমুনা আছে৷ ‘এন্ডিউরো' নামের এক ধরণের মোটর সাইকেল দৌড় আছে, যা ট্র্যাকে না হয়ে ঘাটে-মাঠে হয়৷ ইটালির টাসকানি উপত্যকার মনোরম পাহাড় অঞ্চলে ‘ইল চিয়োক্কো' বা ‘নরকের দ্বার' নাম দিয়ে এ'ধরণের একটি রেস হয়ে আসছে ২০০৬ সাল যাবৎ৷ রেসটি যে কতো শক্ত, তার প্রমাণ: ২০১০ সালে ১০৩ জন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র দু'জন রেসটা শেষ করতে পেরেছিলেন৷

এভাবেই অনেক উঁচু থেকে লাফ দেন বাঞ্জি জাম্পাররাছবি: AP

এ'বছর রাশিয়ার কিরভ'এ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘আইস ক্লাইম্বিং ওয়ার্ল্ড কাপ', অর্থাৎ তুষারারোহণের বিশ্বকাপ৷ এই স্পোর্টটি রক ক্লাইম্বিং'এর একটি কঠিনতর সংস্করণ, কেননা প্রতিযোগীদের সম্বল বলতে দু'হাতে দু'টি আইস পিক এবং পায়ে স্পাইক লাগানো জুতো৷ বাকিটা শুধু দক্ষতা, কৌশল এবং হাত-পায়ের - হয়তো মনের জোর৷ না হলে ও'ভাবে জমাট বরফে ঢাকা খাড়াই বেয়ে ওঠা-নামা করা যায় না৷

পাহাড় থেকে যদি পানিতে নামা যায়, তাহলে দেখা যাবে ‘এক্সট্রিম স্পোর্টস' বা ‘চরম খেলাধুলা' সেখানেও হাজির৷ যেমন ব্রাজিলের রিও ডি জানিরো'তে বিলাবং রিও প্রো, অথবা অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে কিংবা হাওয়াই'এর বানজাই পাইপলাইনে সার্ফিং প্রতিযোগিতা৷ পায়ের তলায় শুধু এক টুকরো কাঠের ওপর নির্ভর করে যে কিভাবে একটা দৈত্যাকার ঢেউ'এর সামনে নেচে বেড়ানো যায়, তা জানেন এই সার্ফাররা৷

নদী থেকে আকাশে৷ হাঙ্গেরি'র সিওফোল্ক'এ হয় একটি ‘আর্টিস্টিক উইংসুট কম্পিটিশন'৷ এ'টি হল স্কাই-ডাইভিং'এর কঠিনতর সংস্করণ৷ অর্থাৎ শুধু প্লেন থেকে ঝাঁপ খেয়ে বেশ খানিকক্ষণ পড়ার পর প্যারাসুট খোলাই নয়৷ এই উইংসুট'গুলোয় হাতের ও পায়ের মধ্যে বাদুড় কি কোনো কোনো ধরণের কাঠবিড়ালির মতো একটা পাখার অংশ থাকে৷ তার কল্যাণে সত্যিই বেশ কিছুদূর - মানে বেশ কয়েক মাইল - উড়ে যাওয়া যায়৷ এবং শুধু উড়লেই হবে না, উড়তে উড়তে আবার নানা ক্যারদানি-কসরত দেখাতে হবে!

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ