1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনের ১০০ বছর

৫ জুলাই ২০১৪

একশ স্থানে পিনহোল ক্যামেরা বসিয়ে ১০০ বছর ধরে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের ‘একটি ছবি’ তোলার ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন এক অ্যামেরিকান শিল্পী৷

Porträt Berlin durch 100 geheime Kameras
ছবি: Reuters

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা জোনাথন কিটস নিজের পরিচয় দেন একজন ‘কনসেপচুয়াল আর্টিস্ট' হিসাবে৷ তাঁর ভাষায়, একটি মাত্র ফ্রেমে তিনি ১০০ বছরের একটি চলচ্চিত্র ধারণ করতে চলেছেন৷

এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতা নিচ্ছেন কিটস৷ ১০ ইউরো জামানত রেখে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীকে তিনি দিচ্ছেন একটি করে পিনহোল ক্যামেরা৷

প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবী বার্লিনের আলাদা আলাদা এলাকা বাছাই করবেন এবং তারপর একটি গোপন স্থান খুঁজে বের করে ক্যামেরা বসিয়ে দেবেন৷ তবে এক্ষেত্রে এমন একটি স্থান তাঁকে নির্বাচন করতে হবে, যা অন্তত ১০০ বছর টিকে থাকবে বলে ধরে নেয়া যায়, যেমন এটি হতে পারে কোনো একটি মনুমেন্ট৷

জোনাথন কিটস নিজের পরিচয় দেন একজন ‘কনসেপচুয়াল আর্টিস্ট' হিসাবেছবি: Reuters

একজন স্বেচ্ছাসেবী যতদিন না বুড়ো বা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, ততদিন তিনি ক্যামেরার অবস্থান গোপন রাখবেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের একজন নির্ভরযোগ্য প্রতিনিধির কাছে ক্যামেরার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে যাবেন৷

১০০ বছর পর উত্তরাধিকারীরা ক্যামেরা নিয়ে ফিরে এলে জামানত হিসাবে দেয়া টাকা তাঁদের ফেরত দেয়া হবে৷ আর সেই সব ক্যামেরায় পাওয়া ছবি নিয়ে আয়োজন করা হবে প্রদর্শনীর

এ প্রকল্পের সহ উদ্যোক্তা গ্যালারি ‘টিম টাইটানিক'-এর এলিসা ব্রিংকমানসহ প্রায় ৫০ জন এরই মধ্যে জামানত দিয়ে একটি করে ক্যামেরা সংগ্রহ করেছেন৷ তবে ক্যামেরা বসানোর স্থানটি এখনো চূড়ান্ত করেননি এলিসা৷

তিনি বলেন, ‘‘১০০ বছর পর বার্লিন দেখতে কেমন হবে তা কল্পনা করে নিয়ে আমাকে এখন ক্যামেরাটা লুকিয়ে ফেলতে হবে৷ আমি এমন একটা জায়গা খুঁজছি, যেখান থেকে বার্লিনের দিগন্ত দেখা যায়৷''

কিটস জানান, সাধারণ ফিল্ম ব্যবহার না করে এই পিনহোল ক্যামেরায় ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ব্ল্যাক পেপার'৷ আলোর উজ্জ্বলতার ওপর ভিত্তি করে এটি বিবর্ণ হতে থাকবে৷ এখনকার যে ভবনটি ১০০ বছর টিকে যাবে, ছবিতে ফুটে উঠবে তার স্পষ্ট আকৃতি৷ আর ১০০ বছরের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে ছবিতে থাকবে কেবল ভবনটির ভুতুরে ছায়া৷

‘‘আমাদের আইডিয়াটা হলো, সুদূর ভবিষ্যতের এমন এক সময়ের একটি ছবি আমরা ধরতে চাইছি, যে প্রজন্মের এখনো জন্মই হয়নি৷''

এর আগে টানা ২৪ ঘণ্টা এক গ্যালারির একটি চেয়ারে বসে থাকার ছবি ধারণ করেছিলেন কিটস৷ বার্লিনের মতো কায়রো, মেক্সিকো সিটি, ফিনিক্স এবং অ্যারিজোনা শহরেও তিনি শত বছরের ক্যামেরা প্রকল্প চালু করতে চান৷

সব ঠিক থাকলে স্বেচ্ছাসেবীদের ক্যামেরায় পাওয়া আলোকচিত্র নিয়ে ২১১৪ সালের ১৬ই মে প্রদর্শনীর আয়োজন করবে বার্লিনের টিম টাইটানিক গ্যালারি কর্তৃপক্ষ৷ অবশ্য সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কোনো পরিকল্পনা জোনাথস কিটসের নেই৷

জেকে/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ