1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির ‘বৃহত্তর জোট' কবে?

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

একদফা দাবিতে বিএনপি বৃহত্তর জোট গঠনের আলোচনা শুরু করেছে৷ তবে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে৷

ফাইল ছবিছবি: bdnews24.com

শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ নিয়ে ২০ দলীয় জোটের শরীক দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ তার নয়া পল্টনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়েছে৷ তবে এটি কোন আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি৷

শনিবার ডয়চে ভেলেকে গয়েশ্বর বলেন, ‘‘এটা কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়৷ যারা এসেছেন তারা আমার কাছে প্রায়ই আড্ডা দিতে আসেন৷ শুক্রবারও আড্ডা  হয়েছে৷'' 

নতুন জোট গঠন নিয়ে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু জোট গঠন হবে, তার একটি ‘ইনসেনটিভ' তো এই আলোচনায় থাকতে হবে৷ তারা তো ২০ দলীয় জোটের লোক৷''

তিনি বলেন, ‘‘বৃহত্তর জোট কবে হবে তা নিয়ে কথা বলবেন দলের মহাসচিব৷''

আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না: গয়েশ্বর

This browser does not support the audio element.

ওই অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে উপস্থিত ২০ দলীয় জোটের কয়েকজন  নেতা জানিয়েছেন, বিএনপি নেতারা পর্যায়ক্রমে এভাবেই সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ এজন্য বিএনপির একাধিক নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রক্রিয়াটি শুরু করলেন৷ শুধু চায়ের দাওয়াতে আলোচনা নয়, ফোনে ও ব্যক্তিগতভাবেও কথা বলা হচ্ছে৷

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বৈঠক ছিলো অনেকটাই খোলা মেজাজে৷ যে যখন এসেছেন তার সঙ্গে কখনো এককভাবে কখনো অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন গায়েশ্বর চন্দ্র রায়৷ আর সেখানে জোটের ভিত্তি হিসেবে এক দফার কথা বলা হয়েছে৷ সেটা হলো, সরকারকে বিদায় করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করা৷

বৈঠকে উপস্থিত এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের সাথে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আলোচনা ছিল শতভাগ রাজনৈতিক৷ এটা কোনো ব্যক্তিগত দেখা সাক্ষাৎ বা চা চক্রের বিষয় নয়৷ এখানে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন নিয়ে কথা হয়েছে৷ ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও অন্যান্য দলকেও জোটে নেয়া হবে৷ আর এই জোটের ভিত্তি হবে এক দফা৷ সরকারের বিদায় এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘এই জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশে খুব বেশি সময় লাগবেনা৷ সহসাই হয়ে যাবে৷ কারণ দাবি আদায়ে বৃহত্তর জোটের কোনো বিকল্প নেই৷''

প্রস্তুতি বিএনপি আগে থেকেই নিচ্ছে: লুৎফর

This browser does not support the audio element.

জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান জানান, আসলে ২০ দলীয় জোটের সদস্যদের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়ানোর জন্যই সবাই সেখানে গিয়েছিলেন৷ কে কেমন আছেন তা জানা এবং খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে৷ তার কথা, ‘‘বৃহত্তর জোটের প্রস্তুতি বিএনপি আগে থেকেই নিচ্ছে৷ আমরাও এর সঙ্গে একমত৷''

বেঠকে থাকা জোটের আরেকজন নেতা জানান, এখন থেকে এভাবে শিডিউল করে আলোচনা হবে৷ ২০ দলীয় জোট আছে৷ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও থাকবে৷ এর বাইরে যারাই এক দফার দাবিতে একমত হবে, তাদেরও নেয়া হবে৷  ডান, বাম, ইসলামপন্থি, জাতীয়তাবাদী , প্রগতিশীল সবাই৷  এখন যে বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে তা হলো সেটা কি একটি জোট হবে, না অনেকগুলো জোটের একটা মোর্চা হবে৷ যেমন, জাময়াত ২০ দলীয় জোটে আছে৷ কিন্তু একটা জোট করলে জামায়াতের ব্যাপারে কেউ আপত্তি করতে পারে৷ সেই কারণে জামায়াত ২০ দলীয় জোটে থাকলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ছিল না৷ আবার বামপন্থি দলগুলো আলাদা মঞ্চে থেকে কর্মসূচিতে সমর্থন দিতে পারে৷ এই সব বিষয়ই বিবেচনায় নিয়ে কৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে৷

বৈঠকে উপস্থিত লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘‘বৃহত্তর জোট একটি ব্যানারে হতে পারে৷ আবার আলাদা আলদা ব্যানার একটি ছাতার নীচে হতে পারে৷ কারণ এখানে বিভিন্ন মত ও পথের দল আছে৷ ঐক্যের  সূত্র হবে এক দফা৷ সরকারের বিদায় ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন৷''

বৈঠকে ২০ দলীয় জোটের ১০-১২ টি দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷ ইসলামপন্থিরাও ছিলেন৷ তবে জামায়াতের কোনো নেতা ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন বৈঠকে উপস্থিত নেতারা৷ জামায়াতের সাথে আলাদা আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে৷

গত ২৮ জানুয়ারি বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বৃহত্তর জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়৷ ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএরপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান৷ বিএনপি মহসচিব তখন ডয়চে ভেলেকে জানান, বৃহত্তর জোট গঠনের প্রক্রিয়া, রূপরেখা, দাবি সবই সাংবাদিকদের সময় হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ