1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক বছরেও শেষ হলো না খাদিজার মুক্তির অপেক্ষা

২৮ আগস্ট ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরার জেলহাজতে থাকার এক বছর পূর্ণ হয় ২৭ আগস্ট।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন তার সহপাঠীরাছবি: Minhaz Uddin/DW

রবিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে ‘অবিচারের ৩৬৫ দিন’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত এক সভায় উপস্থিত বক্তারা খাদিজাতুল কুবরার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ সংশোধন করে নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন'। 

নতুন প্রণীত সাইবার নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান বলেন "এই ধরনের আইন তৈরি করা হয়েছে যেন কেউ শাসক শ্রেণীর সমালোচনা করতে না পারে। এই আইনের প্রয়োগ শুধু মাত্র শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতায় থাকতেই সহায়তা করবে না, বরং তাদের সহযোগীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে।”

খাদিজার সহপাঠীরা তার মুক্তির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের দাবি জানান৷ প্রতিবাদ সমাবেশে খাদিজার বড় বোনও যোগ দেন৷ছবি: Minhaz Uddin/DW

তিনি আরও মনে করেন, ‘এই আইন শুধু মাত্র খাদিজাদের জন্য নয়। যারাই সরকারের অনিয়মের সমালোচনা করবে তারাই এর শিকার হবে। তাদের উপর প্রথমে সরকার নজরদারি করবে, মুখ বন্ধ করে দেয়া হবে এবং সবশেষ জেলহাজতে রেখে দিবে।'

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালে নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার করা পৃথক দুটি মামলায় তাকে ২৭ আগস্ট ২০২২ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এক বছর ধরে বিনা বিচারে আটক খাদিজার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাছবি: Minhaz Uddin/DW

জাতীয় পরিচয় পত্র ও শিক্ষাগত সনদ অনুযায়ী সেসময় খাদিজার বয়স ছিলো ১৭। ফেসবুকে খাদিজার সঞ্চালনায় একটি ওয়েবিনারে দেশের বাইরে থেকে অংশ নেয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে খাদিজাকে আটক করা হয়। দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। 

ছয়বার খাদিজাতুল কুবরার জামিন আবেদন করা হলেও প্রতিবার তা খারিজ করা হয় বলে জানিয়েছে খাদিজার পরিবার। 

এসএইচ/ এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ