1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক বছরে ঘরছাড়া দুই কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

১৯ জুন ২০১৯

যুদ্ধ, নির্যাতন আর সংঘাতের কারণে ২০১৮ সালে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন দুই কোটি মানুষ৷ বিশ্বে বাড়িছাড়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত কোটির বেশি,অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা৷

Libanon syrische Flüchtlinge
ছবি: picture-alliance/AP Photo/H. Malla

আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবসকে সামনে রেখে জাতিসংঘে শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য৷ বাড়িছাড়া মানুষের হিসাবে শরণার্থী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী এবং দেশের অভ্যন্তের বাস্তুচ্যুতদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে৷

বুধবার জেনেভায় এক অনুষ্ঠানে ‘বৈশ্বিক প্রবণতা' শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়৷ অনুষ্ঠানে সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে বৈশ্বিক প্রবণতা ভুল দিকেই যাচ্ছে৷ নতুন করে যুদ্ধ আর সংঘাত বাড়ছে এবং তৈরি করছে নতুন নতুন শরণার্থী৷ যারা আগের শরণার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, অথচ পূর্ববর্তীদের সমস্যার কোনো কিনারা হয়নি৷''

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ২০১৮ সাল নাগাদ ৭ কোটি ৮ লাখ মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন৷ আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৮৫ লাখ৷ এক দশকে বাস্তুচ্যুত মানুষ বৃদ্ধির পরিমাণ ৬৫ শতাংশ৷ ২০০৯ সালে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৩৩ লাখ৷

প্রতিবেদনের বলা হয়, মানুষের বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা ও সময় দুটোই বাড়ছে৷ প্রতি পাঁচজনে চারজনের বাড়িছাড়া থাকার সময় দাঁড়িয়েছে পাঁচ বছরের বেশি৷    

ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিবেদনে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশসহ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের প্রশংসা করা হয়৷ ‘‘উন্নয়নশীল অঞ্চল তুলনামূলকভাবে বেশি শরণার্থীর ভার বহন করছে৷ বাংলাদেশ, চাড, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা, সাউথ সুদান, সুদান, তানজানিয়া, উগান্ডা ও ইয়েমেনের মতো কম উন্নত দেশ মোট ৬০ লাখ ৭০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷ যা মোট সংখ্যার শতকরা ৩৩ ভাগ,'' বলা হয় ওই প্রতিবেদনে৷

ম্যার্কেলের প্রশংসা

শরণার্থীদের পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেওয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জার্মান সরকারের প্রশংসা করেন ইউএনএইচসিআর প্রধান গ্র্যান্ডি৷

‘‘আমি সাধারণত প্রশংসা ও সমালোচনাকে খুব বেশি পছন্দ করি না৷ তবে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে জার্মানি যা করেছে, সেটার জন্য প্রশংসা করছি,'' বলেন তিনি৷

গ্র্যান্ডি বলেন, মাইগ্রেশন পলিসির জন্য রাজনৈতিকভাবে ‘কঠিন মূল্য' দিয়েছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তবে, এই ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ তাঁর কর্মকাণ্ডকে ‘আরো সাহসী' করে তুলেছে৷

এমবি/ (এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ