মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেয়ার এক বছর পূর্তি হচ্ছে শনিবার৷ এই এক বছরে নেয়া তাঁর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
বহুজাতিকের চেয়ে দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে বাণিজ্য চুক্তির পক্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ তাই ‘ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ’ (টিপিপি) আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে টিটিপ চুক্তির আলোচনা বন্ধ রেখেছেন৷ ‘নর্থ অ্যামেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ বা নাফটা চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়ে মেক্সিকো ও ক্যানাডাকে চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে পুনরায় আলোচনায় বসতেও বাধ্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷
ব্যবসা ও অর্থনীতি
শেয়ার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্রাম্পের প্রথম বছরটা ভালো ছিল৷ ট্রাম্পের জয়ের পরদিন ‘ডাও জোনস ইনডেক্স’ ছিল ১৮,৫৮৯৷ সেটি মধ্য জানুয়ারিতে এসে হয়েছে ২৫,৮০০৷ গত এক বছরে বেকারের সংখ্যাও কমেছে৷ বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৮ থেকে কমে ৪ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে৷ তবে ট্রাম্পের অন্যতম সাফল্য হচ্ছে কর সংস্কার৷ গতমাসেই তিনি সেটা করেছেন৷ ফলে কর্পোরেট কর ৩৫ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে৷
এক বছরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতি
হোয়াইট হাউসে এক বছর পূর্ণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁর নানা বিতর্কিত মন্তব্য ও পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও কাঠামোয় ভাঙন ধরাতে পারেনি৷ নিজের অনেক হুমকিও এখনো পর্যন্ত কার্যকর করেননি ট্রাম্প৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
বিশ্বে ভগ্ন ভাবমূর্তি
গ্যালপ সংস্থার জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, এক বছরে অ্যামেরিকার বাইরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ৪৮ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে৷ তবে ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রবক্তা ট্রাম্প দেশের মধ্যে নিজের সমর্থকদেরই গুরুত্ব দেন৷ বিদেশে নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে চিন্তিত নন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Hassan
অনির্দিষ্ট পররাষ্ট্র নীতি
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে এতকালের প্রচলিত ধারা ভেঙে অনেক ক্ষেত্রে ট্রাম্প সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন৷ তাঁর সিদ্ধান্ত প্রায়ই অনিশ্চয়তায় ভরা থাকে৷ ফলে আগে থেকে তাঁর উদ্দেশ্য বোঝা প্রায়ই সম্ভব হয় না৷ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের প্রধান কর্ণধারের এমন খামখেয়ালিপনা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কাঠামোর স্থিতিশীলতার জন্য মোটেই সহায়ক হয় না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Harnik
একলা চলো রে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অস্বীকার করে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে প্যারিস চুক্তি বর্জন করেছেন, তার ফলে বাকি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ও ক্রোধ দেখা গেছে৷ ট্রাম্প অ্যামেরিকাকে বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কাঠামো থেকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলে এসেছেন৷ কার্যক্ষেত্রে অবশ্য ন্যাটোর মতো জোট ত্যাগ করেননি তিনি৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
ইরানের বিরুদ্ধে তোপ
২০১৫ সালে ওবামা প্রশাসন বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে যে চুক্তি করেছিলো, ট্রাম্প তার ঘোরতর বিরোধী৷ বিশেষ করে সে দেশের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও আঞ্চলিক সংকটে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ৷ তবে চরম সমালোচনা সত্ত্বেও তিনি এখনো এই চুক্তি থেকে সরে আসেননি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Marovich
ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনার আশায় এ পর্যন্ত সব মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কমবেশি চেষ্টা চালিয়ে এসেছে৷ জেরুসালেম শহরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করার মাধ্যমে ট্রাম্প সেই ধারা ভেঙে দিয়েছেন৷ দেশ-বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরোয়া করেননি তিনি৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
উত্তর কোরিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি
নরম-গরম বার্তা পাঠিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সম্পর্কে নিজের অবস্থান অস্পষ্ট রেখেছেন ট্রাম্প৷ কখনো ‘লিটল রকেট ম্যান’-কে ধমক দিয়েছেন, কখনো তাঁর সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷ চীনকে কাছে টেনে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে রাশ টানার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/E. Contini
মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর
বেআইনি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তার ব্যয়ও মেক্সিকোকে বহন করতে হবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি৷ মেক্সিকো ও ক্যানাডার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করারও হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প৷ এখনো পর্যন্ত দুটি ক্ষেত্রেই কোনো অগ্রগতি ঘটেনি৷
ছবি: Reuters/E. Garrido
7 ছবি1 | 7
স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্যনীতি, যেটি ‘ওবামাকেয়ার’ নামে পরিচিত, সেটি বাতিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প৷ তবে ওবামাকেয়ারে সব মার্কিন নাগরিকের স্বাস্থ্যবিমার অধীনে থাকার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা বাতিল করতে সমর্থ হয়েছেন তিনি৷ এর ফলে দেশটিতে বিমাহীনের সংখ্যা বেড়ে ১৩ মিলিয়ন হতে পারে বলে মনে করছে ‘কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস'৷
পাবলিক ডিসকোর্স
ওয়াশিংটন পোস্টের হিসেবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত এক বছরে দুই হাজারের বেশি মিথ্যা অথবা বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্বলিত মন্তব্য করেছেন৷ শুরুটা হয়েছিল তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জনগণের উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে৷ গণমাধ্যমে উপস্থিতির হার কম বলা হলেও তাঁর প্রশাসনের দাবি ছিল, তা ঠিক নয়৷ এছাড়া সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কিছু শব্দ হয় বাদ বা সংশোধন করে ব্যবহার করা হয়েছে৷ যেমন ‘ক্লাইমেট' বা জলবায়ু শব্দটি ‘পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা’ বা ইপিএসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিকল্প উপায়ে ব্যবহার করা হয়েছে৷
সরকারের কর্মী সংখ্যা
সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ১৬ হাজার কম ছিল৷ এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদ এখনও শূন্য আছে৷ ‘পার্টনারশিপ ফর পাবলিক সার্ভিস’ নামের একটি নির্দলীয় সংস্থা এসব তথ্যের দিকে নজর রাখে৷ তারা বলছে, যেসব চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সেনেটের অনুমোদন লাগে সেরকম ৬৩৩টি পদের মধ্যে ২৪৫টি পদ এখনও খালি আছে৷
বিচারক নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আদালতে প্রায় ২০ জন বিচারকের নিয়োগ সেনেট থেকে নিশ্চিত করাতে পেরেছেন ট্রাম্প৷ অর্থাৎ আগামী বেশ কয়েক বছর মার্কিন বিচার ব্যবস্থায় ছাপ রাখতে পারবেন ট্রাম্পের বিচারকেরা৷
‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’: ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে একনজর
মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের বই ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ প্রকাশের আগেই ওয়াশিংটনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে৷ বইতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার রয়েছে৷ হোয়াইট হাউসের অন্য চিত্র ফুটে উঠেছে এতে৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS/D. Higgins
‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’
মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের নতুন বই ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’৷ এই বইয়ের বিশেষ কিছু অংশ মার্কিন এবং ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে৷ বইটিতে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে হোয়াইট হাউসের এক অন্য ছবি উঠে এসেছে৷ ম্যাকডোনাল্ড বার্গারের প্রতি ভালোবাসা থেকে ইভানকা’র প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন এমন নানা বিষয় উঠে এসেছে এতে৷
ছবি: picture-alliance/AP/B. Camp
‘মেলানিয়ার চোখে জল’
‘‘নির্বাচনের রাতে, ৮টার একটু পরে, যখন মোটামুটি নিশ্চিত ট্রাম্প হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট, ট্রাম্প জুনিয়র তার বন্ধুকে বলেছিলেন, তার বাবাকে এমন দেখাচ্ছিল, যেন ভূত দেখেছেন৷ মেলানিয়ার চোখে ছিল জল, তবে তা আনন্দের নয়৷ এর এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে হতবাক ট্রাম্পকে এমন দেখাচ্ছিল যেন তিনি ঠিক বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাঁকে দ্বিধাগ্রস্ত আর ভীত দেখাচ্ছিল৷’’
ছবি: picture-alliance/AP/V. Mayo
ইভানকা ট্রাম্প প্রথম ‘নারী প্রেসিডেন্ট’?
‘‘কোনো পুরস্কার পেতে হলে ঝুঁকি নিতে হবে– জ্যারেড এবং ইভানকা এটা মেনে নিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছেন, অন্যদের পরামর্শ মেনে কাজ করছেন৷ দু’জনের মধ্যে যেন এক অলিখিত চুক্তি: ভবিষ্যতে কখনো যদি সুযোগ আসে, ইভানকাই লড়বেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিলারি নন, হবেন ইভানকা৷’’
ছবি: picture-alliance/AP/M. Sohn
ফাস্ট ফুড খেতে লাগে ভালো
‘‘অনেক আগে থেকে ট্রাম্পের মধ্যে একটি চিন্তা কাজ করে যে, কেউ তার খাবারে বিষ মিশিয়ে দিবে– এই চিন্তা থেকেই ম্যাকডোনাল্ডসের খাবার বেছে নিয়েছেন তিনি৷ কেননা, ম্যাকডোনাল্ডসের খাবার আগে থেকেই তৈরি থাকে৷ তাই কেউ জানে না যে ট্রাম্প সেটা খাবেন৷’’
ছবি: Instagram
ব্যাননের তত্ত্ব
‘‘ব্যাননের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শত্রু হলো চীন৷ নতুন শীতল যুদ্ধের প্রথম ফ্রন্ট হলো চীন৷ চীনকে নিয়েই মাথা ঘামানো উচিত, আর কিছু নিয়ে নয়৷ চীনের সঙ্গে যদি সম্পর্ক ঠিক না থাকে, কোনো কিছুই ঠিক থাকবে না৷ পুরো ব্যাপারটা খুব সহজ৷ চীনের বর্তমানে যা অবস্থা, ১৯২৯ থেকে ১৯৩০ সালে জার্মানির নাৎসিদেরও এমন অবস্থাই ছিল৷ চীনারা, জার্মানদের মতোই ভীষণ বাস্তববাদী৷’’
ছবি: picture-alliance/AP/B. Anderson
ব্যানন: ডোনাল্ড জুনিয়র ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’
‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, জ্যারেড কুশনার এবং নির্বাচনি প্রচারণার ব্যবস্থাপক পল ম্যানাফোর্ট মনে করেন, ট্রাম্প টাওয়ারের ২৬ তলায় সম্মেলন কক্ষে বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকটি একটি ভালো পরিকল্পনা ছিল৷ সেখানে কোনো আইনজীবী ছিল না৷ এখন যদি আপনার কাছে মনে হয় এটা রাষ্ট্রদ্রোহ না, দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড নয়, তারপরও আমি বলবো, এটা রাষ্ট্রদ্রোহ৷ আমাদের ঠিক সেই মুহূর্তেই এফবিআইকে খবর দেয়া উচিত ছিল৷’’
ছবি: picture-alliance/AP/C. Kaster
‘হেরে গেলেও জিতে জেতেন’
‘‘ট্রাম্প যদি নির্বাচনে হেরেও যেতন, তাহলেও বিখ্যাত হতেন৷ তার মেয়ে ইভানকা এবং জামাই জ্যারেড আন্তর্জাতিক তারকা বনে যেতো৷ স্টিভ ব্যানন হতো টি-পার্টি আন্দোলনের ডি ফ্যাক্টো প্রধান৷ অর্থাৎ হেরে গেলেও তাদের অন্যরকম জয় হতো৷’’
ছবি: picture-alliance/AP/B. Anderson
7 ছবি1 | 7
পররাষ্ট্রনীতি
ন্যাটোর কিছু সদস্যরাষ্ট্র পর্যাপ্ত চাঁদা না দেয়ায় প্রায়ই তাদের সমালোচনা করেন ট্রাম্প৷ গত এক বছরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নিয়মিতই বিবাদে জড়াতে দেখা গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে৷ জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মুসলিম বিশ্বসহ সারা বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ কিউবা ও ইরানের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে ট্রাম্পকে৷
অভিবাসন
ট্রাম্পের প্রথম বছরে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ির হার প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নিবন্ধনহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে দেয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আদালতে বিবেচনাধীন আছে৷ ডিভি লটারি কার্যক্রমেরও সমালোচনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তিনি এটি বাতিল করতে চান৷ অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সংখ্যা কমলেও ট্রাম্প এখনও যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তৈরি করতে চান৷
পরিবেশ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম নেয়া কয়েকটি সিদ্ধান্তের একটি ছিল পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান হিসেবে স্কট প্রুইটকে নিয়োগ দেয়া৷ গত এক বছরে তিনি কার্বন নির্গমনকারী বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন কয়লা ও গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পরিবহণ, মাইনিং, তেল ও গ্যাস ড্রিলিং ইত্যাদির জন্য নিয়মনীতি শিথিল করেছেন৷ এছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প৷