দীর্ঘ আলোচনার পরেও জোট হল না৷ তাই এক বছরের মধ্যে ইসরায়েল তৃতীয়বার ভোটে যাচ্ছে৷ পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২ মার্চ আবার নির্বাচন৷
বিজ্ঞাপন
জোট গঠন নিয়ে অচলাবস্থা কাটল না৷ তাই আবার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট৷ ফলে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি দেখা দিল৷ এক বছরের মধ্যে তৃতীয়বার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ইসরায়েলের ভোটদাতারা। আগামী ২ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে৷
গত নির্বাচনে কোনও একটি দল সরকার বানাবার মতো গরিষ্ঠতা পায়নি৷ সরকার বানানোর জন্য তাই ভোট পরবর্তী জোট দরকার ছিল৷ দীর্ঘ আলোচনার পরেও সেই জোট তৈরি হয়নি। দলগুলো এখন একে অপরকে দোষারোপ করছে। এর প্রতিক্রিয়া ভোটদাতাদের ওপর পড়তে পারে এবং তাঁদের মনে অবিশ্বাস তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷
চলতি বছরে এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হয়৷ সেখানে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দক্ষিণপন্থী লিকুদ ৩১ ও বেনি গান্টস এর ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি ৩২ আসনে জেতে৷ এরপর নেতানিয়াহু ও গ্রান্টস সরকার গঠন করা নিয়ে আলোচনা করেন৷ কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি৷ নেতানিয়াহু ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ''আমাদের ওপর জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হল।'' তিনি সরাসরি এর জন্য গ্রান্টসকে দায়ী করেছেন।
গ্রান্টস পাল্টা বলেছেন, ''নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো বিপাকে৷ সেটাই সরকার না হওয়ার মূল কারণ৷ নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগের হাত থেকে বাঁচতে চাইছিলেন। আমরা তার বিরোধিতা করছিলাম। তাই এক বছরের মধ্যে তৃতীয় বার নির্বাচন হবে৷''
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি চাইতে পারেন নেতানিয়াহু৷ সেই পরিস্থিতিতে সত্তর বছরের এই রাজনীতিককে পার্লামেন্ট রেহাই দেবে কি না, তা জানার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে৷
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল: যে সম্পর্ক বিভাজনের
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলুস ঘুরেছেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক জুলফিকার এবানি৷ তুলে এনেছেন সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা আর পাশাপাশি থেকে ইসরায়েলিদের সাথে তাদের যোজন যোজন দুরত্বের চিত্র৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
ডাক টিকিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড
পশ্চিম তীরে নাবলুসের একটি সড়ক৷ পাশেই ইসরায়েল কিন্তু ফিলিস্তিনের কোনো ডাক টিকিট চলে না সেখানে৷ আবার বিপরীতে ইসরায়েলের কোনো ক্রেডিট কার্ড আপনি ফিলিস্তিনে ব্যবহার করতে পারবেন না৷ ওয়ার্ল্ড অফ হোটেলে অবস্থানকালে ডয়চে ভেলের জুলফিকার এবানিকে সেখানকার ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির পাঠানো বার্তায় লেখা হয়েছে, ‘‘অবস্থান প্যালেস্টাইন অঞ্চলে৷ লেনদেন সম্ভব নয়৷ আপনি কার্ডটি এই দেশে ব্যবহার করতে পারবেন না৷’’
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
বিভাজনের দেয়াল
জুলফিকার এবানি ফিলিস্তিনে অবস্থান করেছেন ‘ওয়ার্ল্ড অফ হোটেলে’৷ তাঁর ভাষায় বিশ্বের সবচেয়ে ‘নিকৃষ্ট দৃশ্য’ অবলোকন করা যায় হোটেলটি থেকে৷ ফিলিস্তিন থেকে যে দেয়াল পৃথক করেছে ইসরায়েলকে সেটি দেখতে পাবেন এই হোটেলের জানালা দিয়ে৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
চাকুরি না বিদ্যা?
আন-নাজাহ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়৷ ছবিতে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি নিউজলেটার দেখা যাচ্ছে৷ যার শিরোনাম ছিল ‘দখলদারিত্বের ১৯ বছর’৷ ফিলিস্তিনের ৪০ ভাগ স্নাতোকোত্তরই বেকার৷ যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি চাকুরি সংকট আছে এমন কিছু বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা বন্ধ করে দিচ্ছে৷ জোর দেয়া হচ্ছে গণিত আর প্রকৌশলে৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
যে বিশ্ববিদ্যালয় বিচ্ছিন্ন বিশ্ব থেকে
আন-নাজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নাহের নাতসেহ৷ ফিলিস্তিনের অন্য বিজ্ঞানীদের মতো তিনিও একটা সময় পর্যন্ত বিদেশে থেকে ফিরে এসেছেন দেশে৷ তাঁর জন্ম জেরুজালেমে৷ কাজ করেছেন মিশরের কায়রো, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়াতে৷ নাহের নাতসেহ জানান বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে তারা আমন্ত্রণ জানাতে পারেন না৷ এমন কি নিরাপত্তার কারণে ইসরায়েলিদের আনা সম্ভব না৷
ছবি: DW/Z. Abbany
তবুও বড় স্বপ্ন
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আরবের শীর্ষ দুই ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছে আন-নাজাহর পরিচালকরা৷ যদিও সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কয়েকগুণ কম বাজেট নিয়েই চলছেন তারা৷ তবে আন-নাজাহর কমপ্লেক্স কিন্তু বেশ আধুনিক আর দৃষ্টিনন্দন৷ যেমনটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
ফিলিস্তিনের কাঁচা বাজার
এটি ফিলিস্তিনের একটি কাঁচা বাজার৷ কিন্তু এখানকার ব্যবসায়ী আর বাসিন্দারা প্রায়ই ইসরায়েলি সৈন্যদের তল্লাশীর মধ্যে পড়েন বলে জানান ব্যবসায়ীরা৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
কানাফে বা কুনাফার স্বাদ
ফিলিস্তিনের একটি রেস্টুরেন্টের ছবি৷ সেখানে বেশ জনপ্রিয় কানাফে৷ যা কুনাফা নামেও পরিচিত৷ এটি মূলত এক ধরনের মিষ্টান্ন যা শুধু ফিলিস্তিন নয় গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই সমান জনপ্রিয়৷
ছবি: DW/Zulfikar Abbany
অদৃশ্য সীমান্ত
ফিলিস্তিনের ব্যস্ত কোন বাজার বা পথ ধরে হাটতে গিয়ে ঢুকে পড়তে পারেন ইসরাইলে৷ যেমন এই মার্কেটটি৷ এর এক পাশে ফিলিস্তিন অন্য পাশে ইসরায়েল৷ তবে ইসরায়েল অংশে ট্যাংক কিংবা ভারি যানবাহন নিয়ে সবসময় প্রহরায় থাকে সেনারা৷