এক বছর বিরতির পর বাংলাদেশে আবারো অ্যানথ্রাক্স
৩০ মে ২০১২
২০১০ সালে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় অ্যানথ্রাক্স মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল৷ সরকারি হিসেবে তখন ৬০৭ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ তখন ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ায় পরের বছর, অর্থাৎ ২০১১ সালে, কেউ অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই৷ তবে এবছর আবার সংক্রমণ শুরু হয়েছে৷
রোগতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের প্রধান ড. মাহমুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, প্রধানত গবাদি পশু থেকে মানব দেহে এই রোগ ছড়াচ্ছে৷ তাই প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে, যাতে গাবাদি পশুদের ঠিক মতো অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেয়া হয়৷ আর যারা এই গবাদি পশু থেকে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আলাদা রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷ তিনি জানান, এই ধরনের অ্যানথ্রাক্স রোগ মানুষের দেহ থেকে ছাড়ায় না৷ ছড়ায় গবাদি পশু থেকে৷ তাই অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদি পশু জবাই না করার পরামর্শ দেন তিনি৷
ড. মাহমুদুর রহমান জানান, বাংলাদেশে যে অ্যানথ্রাক্স দেখা যাচ্ছে এতে মানবদেহের চামড়ায় সংক্রমণ হয়৷ এই ধরণের অ্যানথ্রাক্সে মৃত্যুর আশংকা খুবই কম৷ তাই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷
ড. মাহমুদ তাঁর টিম নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যেই অ্যানথ্রাক্সে আত্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ