1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আল্ট্রা-লাইট সোলার প্লেন

২ মে ২০১৬

সোলার ইম্পাল্স ২ একটি সৌরশক্তি চালিত বিমান, যা শুধু সৌরশক্তি সম্বল করে অর্ধেক পৃথিবী ঘুরে এসেছে৷ আল্ট্রালাইট বিমানটির ওজন একটি জাম্বোজেটের ১৫০ ভাগের এক ভাগ৷

Kalifornien San Francisco Solar Impulse 2
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Berger

বায়ার মেটিরিয়াল-সায়েন্স কোম্পানিতে একটি সৌরশক্তি চালিত অতি হালকা বিমান তৈরি করা হয়েছে, যার নাম সোলার ইম্পাল্স ২৷ এই হাইটেক বিমানটির ওজন একটি জাম্বোজেটের ১৫০ ভাগের এক ভাগ৷ বিমানটির লাইটওয়েট বডি আর স্কিনের একাংশ তৈরির দায়িত্বে আছেন ব্যার্ন্ড রোটে৷ বিমান তৈরির মালমশলার ওজন যতদূর সম্ভব কম রাখার জন্য রোটে চেষ্টা করছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সেই সব পদার্থের ঘণত্ব কমাতে৷ লক্ষ্য হলো, একটি আল্ট্রা-লাইট রিজিড ফোম বা শক্ত ফেনা সৃষ্টি করা৷

পরীক্ষাগারে গবেষকরা নানা ধরনের মিশ্রণ পরীক্ষা করে দেখছেন৷ ডিজাইনার আর ইঞ্জিনিয়ারদের সব প্রয়োজন মেটানোর ক্ষমতা থাকা চাই এই মিক্সচারের৷ শেষমেশ সেরা মিশ্রণটি বেছে নেওয়া হয়৷ ফোমের ‘পোর', অর্থাৎ ফেনার ফুটোগুলোর আকারের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে৷ ফুটোগুলোর ব্যাস যত ছোট হবে, ততই তার ইনসুলেশন বা অন্তরণ বেশি হবে৷ কিছুক্ষণ পরে ফোম শক্ত হয়ে এলে, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে৷

রোবোটের পরের কাজ হলো এই মেগা-ইনসুলেশন ফোমের একটি পাত তৈরি করা৷ মিক্সিং হেড থেকে হাই প্রেসারে বের হওয়ার পর আঠালো পদার্থটি মোল্ডের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ ২০ মিনিটের মধ্যে ফোম শক্ত হয়ে আসে৷ পাতটা আরো ভালো করার কোনো পন্থা আছে কিনা সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হয়৷ ব্যার্ন্ড রোটে আর তাঁর সহযোগীরা ফলাফল দেখে সন্তুষ্ট৷ প্যানেল বা পাতগুলো শক্ত আর নমনীয়, একই সঙ্গে হালকা৷

হাওয়াইতে সোলার ইম্পাল্স ২ বিমানের বৈমানিক ব্যারত্রঁ পিকার ও অন্দ্রে বর্শব্যার্গছবি: Getty Images/AFP/E. Tanner

হাইটেক সর্বত্র

ককপিটের ‘স্কিন' তৈরির জন্য এই ‘রিজিড ফোম' আদর্শ৷ এই স্কিন বা ত্বক মাত্র তিন সেন্টিমিটার পুরু৷ এটা দিয়ে বিমানটিকে ইনসুলেট ও স্ট্যাবিলাইজ করা যায়৷ এছাড়া এই ত্বক আবার আল্ট্রা-লাইট৷ ককপিটের স্কিনের ওজন হলো মাত্র ৩০ কিলোগ্রাম৷ হাইটেক পাইলটের সিটটা মাল্টিফাংকশনাল৷ এটাকে শোবার অবস্থাতেও আনা যায়, টয়লেট হিসেবে ব্যবহার করা যায়, আবার এই সিট ২৪ ঘণ্টা মেডিক্যাল মনিটরিং করতে পারে৷ বলতে কি, সৌরশক্তি চালিত বিমানটি একটি উড়ন্ত ল্যাবরেটরি৷

সব কিছু মাল্টিফাংকশনাল হওয়া দরকার, মানে একাধিক কাজে লাগা দরকার, কেননা বিমানের ভেতরটা এতই ছোট যে, ক্রু-র প্রায় নড়াচড়া করার জায়গা নেই৷ ডক্টর ব্যার্ন্ড রোটে বললেন, ‘‘আমরা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন পদার্থ ব্যবহার করেছি; যেমন রিজিড ফোম ইনসুলেশনের কাজে লাগে৷ এটা বিশেষ রকম হালকা, অথচ বিমানচালক যাতে ঠান্ডা বা গরমে বেশি কষ্ট না পান, তার ব্যবস্থা করে৷ ককপিটটা একটা অতি পাতলা আস্তরণ দিয়ে মোড়া, যা আর্দ্রতা ও সৌর বিকিরণের হাত থেকে রক্ষা করে ও রিজিড ফোমটাকে আরো জোরদার করে৷''

আরেক আশ্চর্য: পলিকার্বনেট

ব্যার্ন্ড রোটে আর তাঁর সহযোগীদের কাজের কল্যাণে সোলার ইম্পাল্স ২ উড়তে পেরেছে৷ তাঁরা যে সব পদার্থ ব্যবহার করেছেন, তা বিমানটিকে চরম আবহাওয়ায় উড়তে সাহায্য করেছে৷ ককপিটের জানালার কাঁচ তৈরি হয়েছে পলিকার্বনেট নামের এক আশ্চর্য পদার্থ দিয়ে, যা ছোট ছোট প্লাস্টিকের বলের আকারে পাওয়া যায়৷ এই ছোট প্লাস্টিকের বলগুলো ৩০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে গলে যায়৷ ফলটা দেখার মতো৷ জানালার কাঁচ স্বচ্ছ, শক্ত, তাতে আঁচড় পড়ে না৷ এছাড়া এই কাচ দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মি ঢোকে না; আবার এই কাঁচ নিজে থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়৷

এই হাইটেক বিমান শুধুমাত্র সৌরশক্তি ব্যবহার করে অর্ধেক পৃথিবী ঘুরে এসেছে৷ এই হলো মেটিরিয়াল সায়েন্সের কেরামতি৷ সোলার ইম্পাল্স ২ থেকে ব্যার্ন্ড রোটে ও তাঁর টিম যা শিখেছে,ন তা ভবিষ্যতের বিমান তৈরিতে কাজে লাগবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ