1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখনই কামান দাগান

৬ জানুয়ারি ২০২০

মশা মারতে কামান দাগাতে হবে এখনই৷ ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়া বা মশাবাহিত অন্য রোগে আর মানুষের মৃত্যু দেখতে চাই না৷ প্রিয়জনেরা হাসপাতালে দিনের পর দিন কাঁতরাবে তাও দেখতে চাই না৷

Symbolbild Denguefieber
ছবি: picture-alliance/dpa/EPA/G. Amador

‘গোল্ডফিশ' দেখতে খুব সুন্দর একটা মাছ৷ এত রূপের মাঝেও কলঙ্ক খুঁজে পেলেন কেউ কেউ৷ বললেন, গোল্ডফিশের স্মৃতি থাকে মাত্র তিন সেকেন্ড৷ এই অপবাদ বয়ে আজও চলতে হয় তাকে৷ অথচ বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, কোনো ঘটনা কমপক্ষে পাঁচ মাস মনে রাখে সোনারঙের মাছগুলো৷তাই এই অপবাদ নিতান্তই অমানবিক৷

তবে তারচেয়েও বড় অমানবিক হলো মানুষকে এই গোল্ডফিশের সঙ্গে তুলনা করা৷ কিন্তু পৃথিবীজুড়ে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকলে কারো আসলে সব মনে রাখা কঠিন৷ আবার সব মনে না রাখলেও সুখি থাকা যায়৷ কিন্তু সব সুখ ভালো নয়৷ তাই এই গেল বছরও যেভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেল, তা ভুলে যাওয়া একেবারে চলবে না৷

স্থানীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব বলছে, ২০১৯ সালে মে মাসে হঠাৎ করে বেড়ে যায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা৷ পরে ডিসেম্বর পর্যন্ত গোটা বছরে এক লাখের বেশি রোগী ভর্তি হয়৷ তবে আগষ্টে আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি৷ গেল বছর মোট ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫৬৷ এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ জন৷ ২০১৯-এই প্রথম সারাদেশের সবগুলো জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে৷

যুবায়ের আহমেদ, ডয়চে ভেলে

রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন একটি মতবিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজন করে৷ সেখানে যারা এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ তারা একরকম সতর্কবাণীই  দিলেন৷ সেখানে কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, অনেকে যেমন ভাবছেন পরপর দুই বছর ডেঙ্গুর বড় ধরনের প্রকোপ হওয়ার আশঙ্কা কম, তা যথেষ্ট বিজ্ঞানভিত্তিক নয়৷ কোরবানির ঈদের সময় এ বছরও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়ার আশঙ্কার কথা বলেন তিনি (প্রথম আলো, ০৬ জানুয়ারি, ২০২০)৷

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান বলেছেন, এ বছর এরই মধ্যে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ এটি খুবই আশার কথা৷ এই কাজ যেন আরো জোরদার হয় এবং বলবৎ থাকে৷ শুধু উত্তর নয়, দক্ষিণ সিটিতেও কাজ চালাতে হবে, সঙ্গে পুরো দেশে৷ গত বছর ঢাকার বাইরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন৷

আর সরকারকে প্রয়োজনে এক্ষেত্রে বাজেট বাড়াতে হবে৷ এভাবে শুধু মশার কামড় খেয়ে মানুষ মারা যাবেন, তা মেনে নেয়া যায় না৷ শুধু সিটি করপোরেশন বা নগর কর্তৃপক্ষ নন, গণপূর্ত বিভাগ, আবহাাওয়া অধিদপ্তর কিংবা আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও সহযোগিতা করতে হবে৷ গ্রামাঞ্চলেও সচেতনতা ও সেবার পরিধি বাড়াতে হবে৷

আর জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে৷ আপনার চারপাশে যদি এডিস মশার বংশবৃদ্ধির পরিবেশ থাকে, তাহলে পরিষ্কার করুন৷ অথবা নিজে না পারলে কর্তৃপক্ষকে জানান এবং তাগিদ দিন৷ সবার সমন্বিত অংশগ্রহণই পারে ডেঙ্গুর মতো রোগ থেকে বাঁচাতে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ