জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকার ও তার অধীনে পরিচালিত সংস্থাগুলোতে ২০১৭ সালে ১২০ কোটির বেশি কাগজ ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ সরকারের এত কাগজ ব্যবহারের সমালোচনা করেছে অন্যতম বিরোধী দল এফডিপি৷
ছবি: Imago/Westend61
বিজ্ঞাপন
ব্যবসাবান্ধব বলে পরিচিত মুক্ত গণতন্ত্রী বা এফডিপি দল সরকারের কাগজ ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েসংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল৷ এর উত্তরে সরকার জানিয়েছে, ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ১৪ কোটি ৮০ লক্ষ কাগজ ব্যবহার করেছে৷ আর সরকারের সব সংস্থার হিসেব ধরলে সংখ্যাটি ১২০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে৷
সরকারের এখনো এত কাগজ ব্যবহারের সমালোচনা করেছেন এফডিপির রাজনীতিবিদ রোমান ম্যুলার-ব্যোম৷ প্রকাশনা গোষ্ঠী ‘ফুংকে মিডিয়েনগ্রুপে'কে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অনেক দেশে ফাইবার-অপটিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে এবং কাগজহীন সরকার পরিচালিত হচ্ছে৷
২০১৯ সালে এসে এখনো ফ্যাক্স মেশিন ব্যবহার করার জন্যও জার্মান সরকারের সমালোচনা করেছে এফডিপি৷
উল্লেখ্য, ডিজিটাল অবকাঠামো বিবেচনায় জার্মানি এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে৷ দেশটির অনেক জায়গায় এখনো দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন পৌঁছেনি৷
পরিস্থিতির উন্নতি করতে গত বছর আগস্টে সরকার ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরোর একটি প্রাথমিক তহবিল গঠন পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে৷ এর মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের প্রসার ঘটানো হবে৷ এছাড়া স্কুলগুলোতে ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নত করার চেষ্টা হবে৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)
পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
পরিবেশ নিয়ে জার্মানরা বরাবরই সচেতন৷ তা জৈব খাবার হোক, জ্বালানি সাশ্রয় কিংবা আবর্জনা আলাদা বা পুনর্ব্যবহার করা – এ সব নিয়ে জার্মানদের ভাবনার শেষ নেই৷ তবে এরপরও অনেকেরই রয়েছে নানা ভুল ধারণা৷ তারই কিছু নমুনা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দেশীয় ফল ও সবজি
দেশীয় ফল ও সবজি খাওয়ার কথা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়৷ কিন্তু নিজের দেশের শাক-সবজি ও ফল তখনই ভালো, যদি সেসব ফ্রিজে রাখা না হয়৷ অর্থাৎ মৌসুমি ফল আর সবজি৷ ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণে যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয়, বিদেশ থেকে জাহাজে পণ্য পরিবহণ করতে তার চেয়ে অনেক কম নিঃসরণ হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
পানির অপচয় নয়
দাঁত ব্রাশের সময় ট্যাপের পানি ছেড়ে রাখা মানেই পানির অপচয়! তাই পানির খরচ কমাতে প্রায় সকলেই এ ব্যাপারে সচেতন জার্মানিতে৷ কিন্তু পানির বড় বড় পাইপগুলোতে জলবণ্টন বা পানির ফোর্স বাড়ানোর যে বাড়তি জল দেওয়া হয়, তা নিয়ে কেউ ভাবেন না৷ এতে যে জল অপচয় হয়, তা নিয়ে প্রশ্নও করেন না কেউ!
ছবি: picture-alliance/dpa/J.Büttner
বিদ্যুৎ সাশ্রয়
জার্মানিতে অনেকেই এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার সময় লাইট অফ করে যান৷ ধারণা, এতে করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে৷ কিন্তু সেটা মোটেই ঠিক নয়৷ বরং কিছুক্ষণ পর আবারো নতুন করে লাইট ‘অন’ হতে যে জ্বালানি খরচ হয়, তা কিছুক্ষণ ‘অফ’ থাকার চেয়ে অনেক বেশি৷
ছবি: Fotolia/Marco2811
ওয়াশিং মেশিনের শর্ট প্রোগ্রাম বিদ্যুৎ বাঁচায়?
মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ‘শর্ট প্রোগাম’ বা দ্রুত কাচার ‘অপশন’-টি বেছে নিলে কম জ্বালানি খরচ হয় বলেই বিশ্বাস করেন কেউ কেউ৷ এটাও কিন্তু সঠিক নয়৷ কারণ অনেকক্ষণ ধরে মেশিন চললে এবং ধীরে ধীরে চললে জ্বালানি খরচ তো কম হয়ই, কাপড়ও ভালো পরিষ্কার হয়৷ হালের মেশিনগুলোতে অবশ্য পরিবেশবান্ধব ‘ইকো প্রোগ্রাম’ রয়েছে, যা জ্বালানি সাশ্রয় করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/gms AEG
হাত দিয়ে বাসন ধোয়া কি পরিবেশবান্ধব?
মোটেই না৷ কারণ ট্যাপের গরম পানি ছেড়ে রেখে একটি করে বাসন ধুলে, বিদ্যুৎ এবং পানি দু’টোরই বেশি খরচ হয়৷ অন্যদিকে মেশিনে ধোয়ার সময় বিদ্যুৎ ও পানি – দু’টোই কম খরচ হয়৷ তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ডিশওয়াশারটি বাসন দিয়ে পুরো ভরে নিয়ে তারপর চালানো হয়৷ এতে কম খরচে একসঙ্গে অনেক বাসন ধোয়া হয়ে যায়!