এখনো ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাজস্থানের যোধপুরে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ৪৫ জনকে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়নি।
গত শনিবার দিল্লির এই জাহাঙ্গিরপুরি অঞ্চলে হনুমান জয়ন্তীর মিছিল ঘিরে দাঙ্গা হয়েছিল। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে লড়াই হয়েছিল।
ছবি: Rajib Choudhury/DW
বুলডোজার অভিযান
বুধবার সেখানেই একাধিক বুলডোজার নিয়ে পৌঁছায় উত্তর দিল্লির পুরসভা। দিল্লির এই পুরসভা বিজেপিশাসিত। অভিযোগ, শনিবারের ঘটনার 'বদলা' নিতে এদিন সেখানে বুলডোজার অভিযান চালিয়েছে পুরসভা।
ছবি: Rajib Choudhury/DW
পুরসভার বক্তব্য
পুরসভার বক্তব্য, ওই অঞ্চলের বেআইনি নির্মাণ ভাঙতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। দাঙ্গার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
ছবি: Rajib Choudhury/DW
বুলডোজার রাজনীতি
এর আগে উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে এই ঘটনা ঘটেছে। দাঙ্গার পরে প্রশাসন ওই অঞ্চলে বুলডোজার নিয়ে গিয়ে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নামে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ঘর ভেঙেছে বলে অভিযোগ।
ছবি: Rajib Choudhury/DW
দিল্লিতেও একই অভিযোগ
দিল্লিতেও অভিযোগ উঠেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে ওই অঞ্চল টার্গেট করেছে বিজেপি-শাসিত প্রশাসন। ওই অঞ্চলের আশপাশেও বহু তথাকথিত বেআইনি নির্মাণ আছে বলে অভিযোগ। কিন্তু দাঙ্গার অঞ্চলেই বুলডোজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ছবি: Rajib Choudhury/DW
সুপ্রিম কোর্টের প্রতিক্রিয়া
বুধবার সকালে বুলডোজার নিয়ে ভাঙচুর শুরু করার পরেই সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে। পরবর্তী শুনানির আগে সেখানে অভিযান চালানো যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
ছবি: Rajib Choudhury/DW
সুপ্রিম কোর্টকেও অমান্য
অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও পুরসভা অভিযান জারি রাখে। পুরসভার অবশ্য বক্তব্য, তাদের হাতে লিখিত নির্দেশ আসেনি বলেই অভিযান জারি রাখা হয়।
ছবি: Rajib Choudhury/DW
এলাকায় উত্তেজনা
গত দুই দিন উত্তেজনা খানিকটা প্রশমিত হয়েছিল এলাকায়। বুধবার পুরসভার অভিযান শুরু হওয়ার পরে ফের এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
ছবি: Rajib Choudhury/DW
8 ছবি1 | 8
গোটা ঘটনাটিই ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নিজের শহরে। ফলে প্রশাসন বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। যোধপুরের একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উদয় মন্দির এবং নাগোরি গেটে।
সোমবার রাতে ধর্মীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে প্রথম সংঘর্ষ হয়। একই সময় ঈদ এবং পরশুরাম জয়ন্তী থাকায় দুই সম্প্রদায়ের মানুষই একই জায়গায় ধর্মীয় পতাকা লাগানোর চেষ্টা করেন। সংঘর্ষ শুরু হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। দাঙ্গাকারীরা পুলিশের দিকে ইঁট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পাঁচজন পুলিশ আহত হন। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বুধবার সকালে বলেছেন, বিজেপি এই ধরনের উস্কানি দিচ্ছে। বিজেপি অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছে সরকারের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লি, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশেও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।