‘এখনো প্রকাশ করার অনেক কিছু আছে, মিডিয়া সব প্রকাশ করছে না’
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক খান৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে সংবাদ মাধ্যমের অবস্থা নিয়ে৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলে: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের এখন পরিস্থিতি কী?
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক খান: আগে যেটা ছিল সেটা তো ‘গদি মিডিয়া’৷ আগে তো বাংলাদেশে সেই অর্থে সাংবাদিকতা আমরা দেখিনি৷ সাংবাদিকতা যেটা একটা চ্যালেঞ্জিং, সেটা তো ছিল না৷ তবে এখন পর্যন্ত আমি তার কোনো পরিবর্তন দেখছি না৷ আগের মতোই৷ এখনো তো আমরা মিডিয়ায় অনেক কিছু দেখছি না৷ জানি না সরকারের এখানে ভূমিকা কী৷ মিডিয়া , সাংবাদিক যে ফ্রিডম এনজয় করে সেটা এখানো আসেনি৷ মনে হয় সেটা হতে আরো সময় লাগবে৷
কী বৈশিষ্ট্যের কারণে আগের এবং এখনকার মিডিয়া আপনার কাছে একই মনে হয়?
আমার মনে হয় আমাদের মিডিয়াগুলো আগে থেকেই প্রো-পাওয়ার হয়ে গেছে৷ সেল্ফ সেন্সরশিপ আরোপের যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তা থেকে তারা বের হতে পারেনি৷ তারা আগের সরকারের অন্যায়-অনাচার চেপে রাখতো, প্রকাশ করতো না৷ আর এখনো প্রকাশ করার অনেক কিছু আছে, কিন্তু মিডিয়া সব কিছু প্রকাশ করছে না৷ এই যে মেরে ফেলা, মব জাস্টিস মিডিয়ায় ঠিক মতো আসছে না৷ তবে আমি মনে করি, যত সময় যাবে, মিডিয়া হয়ত আরো স্বাধীন হবে৷
তাহলে এখন সংবাদ মাধ্যম কি নিরপেক্ষভাবে সবকিছু প্রকাশ করছে না?
আপনি দেখেন লিঞ্চিং, মব জাস্টিস সবখানে হচ্ছে৷ এটা কেন হবে? এটা সংবাদমাধ্যমে আরো ডিটেইল আসা উচিত৷ সরকার, সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তো এখানে ব্যর্থতা বলবো না, বিচ্যুতি আছে৷ আমার মনে হয়, প্যাটার্নগুলোর পরিবর্তন হয়নি৷ ক্ষমতায় এক সরকার আসবে, সরকার যাবে শুধু এটা হলেই তো হয় না৷
আপনি বলছিলেন মিডিয়ায় এখনো সেল্ফ সেন্সরশিপ আছে৷ এটা কেন? কোনো সমস্যা আছে?
মিডিয়া, মিডিয়া পার্সোনালদের মধ্যে এক ধরনের ভয় থাকে৷ সেই জন্য তারা সেল্ফ-সেন্সর করে৷ আর এর আগে যেটা হয়েছে, মিডিয়া উলঙ্গভাবে সরকারকে সমর্থন করেছে৷ এটা তো কোনো সাংবাদিকতা হতে পারে না৷
আগের ভয়ের অভিজ্ঞতা থেকে কি মিডিয়া এখনো সেল্ফ-সেন্সর করছে?
আমার মনে হয় আগের ভয়ের অভিজ্ঞতা থেকে তারা পর্যবেক্ষণ করছে৷ তারা হয়তো একটু দেখে শুনে এগোতে চায়৷
আগে প্রাইভেট টেলিভিশনগুলো সরকার পরিচালিত বিটিভির নিউজ দেখাতে বাধ্য হতো৷ এখন তো সেই বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে৷
বিটিভির নিউজ বর্জন এক কথা, কিন্তু আমি মনে করি বিটিভির একটা নিউজ দেখানো উচিত৷ তারা তো ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার৷ এটা বরং দেখালে মানুষ জানতে পারবে, বিটিভি কি দেখায় আর প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কী দেখায়৷ জনগণ বুঝতে পারতো যে পার্থক্যটা কোথায়৷
যাকে ‘বাতাবি লেবুর’ বাম্পার ফলনের টিভি বলা হয়, সেই বিটিভির এখন কী অবস্থা? কোনো উন্নয়ন হয়েছে?
বিটিভি তো আমি দেখি না৷ তারপরও আমার মনে হয় না যে, তেমন কোনো পরিবর্তন এসেছে৷ বিটিভি বঙ্গবন্ধু ন্যাশনালাইজ করেন৷ তারপর থেকেই এটা প্রো-পাওয়ার টেলিভিশন৷ সরকারের প্রচার যন্ত্র হিসেবে কাজ করছে৷ যারা যখন সরকারে ছিল, তারাই কেউই চায়নি যে বিটিভি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হোক৷
ডিগনিটি ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করতে হবে: ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক খান
ভয়ের একটা বিষয় তো ঢুকে গেছে৷ তাহলে করণীয় কী? অন্তবর্তী সরকারের কোনো সিগনাল দেয়ার দরকার আছে? প্রধান উপদেষ্টা তো স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে বলেছেন৷
সরকারের সিগনাল দেয়ার বিষয় আছে৷ সরকার পেশাদার সাংবাদিকতা উৎসাহিত করবে, সহায়তা করবে৷ আগে কিন্তু চাপের মুখেও কেউ কেউ স্বাধীন সাংবাদিকতা করেছেন৷ আপনারা যেমন করেছেন৷ আপনারা পেরেছেন, কারণ, আপনারা প্রভাবশালী বিদেশি সংবাদমাধ্যমে কাজ করছেন৷ সরকার মিডিয়া পিপলের সঙ্গে যত বেশি ডায়ালগ করবে, আমার মনে হয় সংবাদ মাধ্যম তত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পরবে৷
সরকার কিন্তু এখনো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, যেটা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্যতম বাধা, সেটা এখনো বাতিল করেনি৷ এটা বাতিলের দাবি ছিল সাংবাদিবসহ বিভিন্ন মহলের৷
আমার মনে হয় সরকারের এই আইনটি বাতিল করে দেয়া উচিত৷ আমি ভলতেয়ারের সেই কথাটা বিশ্বাস করি- আমি তোমার মতের সাথে ভিন্নতা পোষন করতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের জন্য আমার কল্লাটা দিয়ে দিতে পারি৷ এটাই সভ্য সমাজের নীতি৷ সরকারের এই ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত৷
সম্পাদক পরিষদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা না করে ঢালাও মামলার সমালোচনা করেছে৷ তারা চাটুকার সাংবাদিকতারও সমালোচনা করেছে৷
আমিও ঢালাও মামলার বিরোধিতা করি৷ এটা বৈষম্য হয়ে গেল না? আপনি বলছেন, আগের চেয়ে ভালো অবস্থার কথা৷ আগেও আমরা ঢালাও মামলা দেখেছি৷ এখনো সেটা হলে তো আর হলো না৷ এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ আমরা মনে হয়, এই সরকার ভিন্নমত প্রকাশে ভয় পায় কিনা৷ ভিন্নমত আসুক না৷ ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে৷
‘দালাল সাংবাদিকের’ তালিকা প্রকাশ মুক্ত সাংবাদিকতার পথে বাধা? যে ‘দালাল’, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়৷ মানুষ তাকে প্রত্যাক্ষাণ করবে৷ কিন্তু কোনো সংগঠন এই তালিকা প্রকাশ করতে পারে?
এভাবে কোনো তালিকা প্রকাশ আমি সমর্থন করি না৷ যে অপরাধী, তাকে আপনি আইনের মাধ্যমে ধরেন৷ ইনফর্মেশন অ্যাডভাইজার বলেছেন, যারা এর সঙ্গে জড়িত সাংবাদিক, লেখক, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ একজন দায়িত্বশীল মানুষ এভাবে বলতে পারেন না৷ আপনি প্রমাণসহ ধরেন৷
সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দায়ের না করে এভাবে কথা বললে তা সাংবাদিকদের জন্য আগের মতো ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করবে না?
সাংবাদিকদের যে কোনো পরিবেশে ডিগনিটি ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করতে হবে৷ আর এটা নিয়ে সরকারকে বলতে হবে৷ ডায়ালগ করতে হবে৷ স্বাধীন সাংবাদিকতার দাবি সব সময় জারি রাখতে হবে৷
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা এখন যেমন চলছে
৫ আগস্ট সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে৷ ঐ শাসনামলে সাংবাদিকদের অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়৷ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে পরিস্থিতি কেমন?
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
‘পত্রিকাগুলো বিপ্লবী সরকারের মাউথপিস হয়েছে’
নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনিম খলিল ৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের পত্রিকাগুলো আগে আওয়ামী সরকারের মাউথপিস ছিল, এখন বিপ্লবী সরকারের মাউথপিস হয়েছে৷ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ভাষ্য/প্রেস রিলিজ হুবহু খবর আকারে ছাপিয়ে দিলে পত্রিকা বের করার দরকার কী?’’
ছবি: Privat
‘গুমের শিকারদের পরিবার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারছি’
সময় টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মার্জিয়া হাশমী মুমু বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত তার প্রতিষ্ঠান আওয়ামী সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল৷ ‘‘প্রতিবেদকরা ফিল্ড থেকে নিরপেক্ষভাবে প্রতিবেদনের স্ক্রিপট লিখে পাঠালেও সেটা পরিবর্তন করে দেয়া হতো,’’ বলেন তিনি৷ আর এখন তিনি বুক ভরে শ্বাস নিতে পারছেন বলে জানান৷ ‘‘গুমের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারদের নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারছি৷ আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলা লাগছে না,’’ বলেন মুমু৷
ছবি: DW
‘ঢালাওভাবে হত্যা মামলা দায়ের হচ্ছে’
ডেইলি স্টারের বাংলা বিভাগের সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা বলেন, আগে যে ভয়ের সংস্কৃতি ছিল সেটা কিছুটা দূর হয়েছে৷ কিন্তু পত্রিকা বা টেলিভিশনগুলো সরকারকে খুশি করার সাংবাদিকতা করছে, বিএনপিকে খুশি রাখার চেষ্টাও আছে৷ এটা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক দিক৷ আগে যেসব নিয়ে কথা বলা যেত না, এখন বলা যাচ্ছে৷ তবে আরেক ধরনের ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে৷ সেটা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে৷
ছবি: DW
‘স্বাধীন সংবাদ প্রচার বেড়েছে’
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের শিক্ষক ফারজানা আক্তার মনে করেন, জুলাই পরবর্তী সময়ে স্বাধীন ও সংস্কারমূলক সংবাদ প্রচার বেড়েছে৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যায় অল্প হলেও কিছু নীতিবহির্ভূত সংবাদচর্চা অপশাসনকে আবারও আমন্ত্রণ করতে পারে৷’’ সংবাদ পরিবেশন এখন অনলাইন পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় আরো বেশি জনবান্ধব ও গণতন্ত্রমুখী সংবাদ পরিবেশন জরুরি বলে মনে করেন তিনি৷
ছবি: DW
‘পুরোপুরি ভয়মুক্ত বলা যাবে না’
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান আলোকচিত্রী আব্দুল গনি জানান, ১৫ আগস্টের ছবি তুলতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন৷ তার তোলা ছবি মুছে দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এখনও সাংবাদিকতার পরিবেশ পুরোপুরি স্বচ্ছ নয়৷ আগের বাধাগুলো এখনো পুরোপুরি কাটেনি৷ আগের তুলনায় ছবি প্রকাশ অনেক স্বাভাবিক হয়েছে, তবে পুরোপুরি ভয়মুক্ত বলা যাবে না৷’’
ছবি: DW
‘অগাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে’
ক্যানভাস ম্যাগাজিনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফুয়াদ রূহানী খান মনে করছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে অগাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে৷ গত একমাসে গণমাধ্যম অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতার পাশাপাশি দেশে সংঘটিত নানা ধরনের অসামঞ্জস্য তুলে ধরেছে৷ বিগত সরকারের অপশাসনের পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের গৃহীত নানা কর্মসূচি তুলে ধরতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW
‘সাংবাদিকতা অপরাধ নয়’
ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জায়মা ইসলাম বলেন, গত এক দশকে চরমমাত্রার সেন্সরশিপের ফলে গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে এবং পাঠকদের বিশ্বাস হারিয়েছে৷ এমন পরিবেশে সাংবাদিকরা প্রতিদিন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন৷ বিগত শাসকের প্রতি অনুগত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের উদ্বেগজনক৷ যতই একপেশে হোক না কেন, সাংবাদিকতা অপরাধ নয়৷ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কোনোভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না৷
ছবি: Philipp Böll/DW
‘ভিন্নরকম বাধার জন্ম হচ্ছে’
নিউ এজ পত্রিকার সিনিয়র কার্টুনিস্ট মেহেদী হক বলেন, ৫ আগস্টের আগে একটি অস্বস্তিকর চাপা পরিবেশ বিরাজ করতো, যা এই মুহূর্তে অনেকটাই শিথিল৷ আগে যেসব বাধা ছিল তা এখন না থাকলেও ভিন্নরকম বাধার জন্ম হচ্ছে৷ বেশ কিছু দৃশ্যমান নৈরাজ্য, সংখ্যালঘু অত্যাচার ও মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে মূলধারার অনেক মিডিয়াই এখনও যেন ঠিক স্বচ্ছন্দ নয়৷
ছবি: DW
‘সাংবাদিকতা প্রত্যাশিত মানে পৌঁছায়নি’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী বলেন, আগে সাংবাদিকতা ছিল বাক্সবন্দি৷ সরকারি সংস্থাগুলোর নির্দেশ অনুসরণে সাংবাদিকতার মূলনীতিগুলো ছিল আপসকামী৷ এখন পরিস্থিতির বদল হয়েছে, কিন্তু সাংবাদিকতা প্রত্যাশিত মানে পৌঁছায়নি৷ উল্টো সাংবাদিকতা হয়ে গেছে প্রটৌকল নির্ভর৷ উপদেষ্টা পরিষদ, সেনাবাহিনী, সমন্বয়ক, প্রভাবশালী দলের প্রটৌকল মেনে তথ্য দেওয়া নিয়ত অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে৷
ছবি: bdnews24.com
‘গণমাধ্যমে সংস্কার দরকার’
লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার সাংবাদিক রেদওয়ান আহমেদ মনে করেন মিডিয়ায় সংস্কার দরকার৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘বেশিরভাগ সিনিয়র সাংবাদিক যারা হয়তো বদলটা আনতে পারতেন, তারা এখন কার্যত অচল৷ তারা শুধু দল পাল্টাবেন, ভোল পাল্টাবেন৷ ক্ষমতার কাছে থেকে ফায়দা নেয়ার পাঁয়তারা করছেন ও করবেন৷ তাই তরুণদের মধ্য থেকে নতুন নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে৷ তা না হলে আমি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা নিয়ে নিকট-ভবিষ্যতে অতোটা আশাবাদী না৷’’
ছবি: DW
আয়নাঘরের পেছনের কুশীলবদের দেখতে চান হাসান
বর্তমানে অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোবাশ্বার হাসান ২০১৭ সালে প্রায় দেড় মাস নিখোঁজ ছিলেন৷ ৩১ আগস্ট ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘‘মিডিয়ার কাছে জানতে চাই গণহত্যা চালানোর পেছনে কুশীলব কারা? প্রাক্তন শাসক দলের কারা গণহত্যায় অংশ নিয়েছেন, আয়নাঘরের পেছনের কুশীলব কারা, চেহারা কেমন?’’ বাংলাদেশের ইতিহাসের কঠিনতম নিপীড়নের মুখে বিএনপি কীভাবে শক্তিশালী হয়ে টিকে আছে (তার মতে) তা নিয়ে প্রতিবেদন চান তিনি৷