1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘এটাকে আমি নির্বাচন বলছি না, এটা একটা আনুষ্ঠানিকতা’

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রত্যাশার বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘আমি এটাকে কোন নির্বাচন বলে মনে করছি না৷’’

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে অতিথি হিসেবে রয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো ড. আলী রীয়াজ৷
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোয়ের একটি দৃশ্যছবি: DW

‘‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'' টকশো-তে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ‘‘দেশ কোন পথে''৷ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো ড. আলী রীয়াজ৷

‘‘সব কিছুরই কয়েকটা মৌলিক ক্রাইটেরিয়া থাকে৷ তেমনি নির্বাচনেরও তিনটা মৌলিক ক্রাইটেরিয়া থাকে৷ কিন্তু এই নির্বাচনে সেগুলো অনুপস্থিত৷ এটাকে আমি নির্বাচন বলছিনা, এটা একটা আনুষ্ঠানিকতা,'' বলেন ড. আলী রীয়াজ৷

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অপর অতিথি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বিএনপির নির্বাচন বর্জন করার ব্যাপারে বলেন, ‘‘নির্বাচন একটা দল নাই করতে পারে৷ কিন্তু সিদ্ধান্ত যদি আগে থেকেই নেয়া থাকে যে নির্বাচন করবে না, তার প্রভাব কম৷ এইবার অনেক ভোটার টার্নওভার হবে৷'' 

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে প্রশ্ন করেন, বিএনপি জয় লাভ করবে এমন নিশ্চয়তা পেলেই কি নির্বাচনে আসবে শুধু? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি বলুক অথবা না বলুক, ২০১৪, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে এইরকম একটা প্রশাসনের অধীনে কী করে বিএনপি নির্বাচনে যাবে?''

২০১৪ সালের নির্বাচনের দায় আওয়ামী লীগের উপরে কী করে পরে জানতে চাইলে আলী রিয়াজ বলেন, ‘‘কোনো গণভোট ছাড়াই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী করা হয়৷ যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে অবস্থায় কোন দল কেন আসবে নির্বাচনে?''

অপরদিকে ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘‘২০১৪, ২০১৮ এর আগেও সবচেয়ে কলুষিত নির্বাচন শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান৷ সেই নির্বাচন নিয়ে তো কোন কথা হয় না৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে শিক্ষকদের আলোচনা সভা শুরুর আগেই অনুমোদন বাতিল করে কীভাবে মনে করেন যে এখানে সরকারকে হেয় করা হতে পারে জানতে চাইলে অধ্যাপক রহমান বলেন, ‘‘এদের এতো সামর্থ্য নাই যে পুরো ব্যবস্থাকে ভেঙে দিবে৷ আলোচনা সভা করতে না দেয়া খারাপ হয়েছে৷''

আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘এটা থট পুলিশিং৷ মানুষের চিন্তা ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করা৷ সরকারের সমালোচনা ও রাষ্ট্রের আলোচনা দুটি ভিন্ন জিনিস৷ নাগরিকের এই অধিকার আছে৷''

দেশের অর্থনীতির খারাপ অবস্থায় এই সরকারকে কতটুকু দায়ী করবেন? জবাবে ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘এগুলো পলিসির কারণে হয়েছে৷ ১২ বিলিয়ন ডলারের খোঁজ নেই৷ এটা কি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে হয়েছে? আপনি ঋণ নিয়েছেন, কিন্তু শোধ করবেন কীভাবে, তা ভাবেননি কেন?''

একই বিষয়ে অধ্যাপক  মীজানুর রহমান বলেন, ‘‘এটি শুধু আমাদের না, একটি বৈশ্বিক সমস্যা৷ আমাদের কৃষির উৎপাদন বেড়েছে, শিল্প উৎপাদন বেড়েছে, বৈদেশিক রেমিটেন্স বেড়েছে৷''

এসএইচ/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ