1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজিত মিটার ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল অবধি ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন৷ তাঁর মতে সাম্প্রতিককালে সীমান্ত হত্যা অনেক কমে এসেছে৷ একদিন এই সীমান্তে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করবে, বলে তাঁর আশা৷

Rajeet Mitter Diplomat
ছবি: Rajeet Mitter

[No title]

This browser does not support the audio element.

ডয়চে ভেলে: বাংলাদেশিদের তরফ থেকে স্বভাবতই প্রথম প্রশ্ন হবে, সীমান্ত হত্যা কবে বন্ধ হবে?

রাজিত মিটার: আমি প্রথমেই বলব, সীমান্ত হত্যা অনেক কমে এসেছে৷ এটা একটা খুব জটিল সমস্যা৷ যে সব ঘটনা ঘটে, অবধারিতভাবে ঘটে রাত বারোটা থেকে ভোর চারটের মধ্যে৷ সীমান্তে অপরাধমূলক গতিবিধির সঙ্গে তার যোগ আছে – সাধারণত চোরাচালান৷ কাজেই দু'পক্ষের সীমান্তরক্ষীদের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন৷ কিন্তু সমস্যাটা আমাদের জ্ঞাত৷ গত তিন চার বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে (ভারতের) সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে৷ সমস্যার উপশম ঘটানোর যাবতীয় প্রচেষ্টা চলেছে৷ ২০১১ সালে দু'পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে জয়েন্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোল (যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ পরে তা আরো বাড়ানো হয়েছে৷ এখন সীমান্তের জেলা প্রশাসকরাও নিয়মিতভাবে মিলিত হয়ে তথ্যের আদানপ্রদান করেন৷

বাংলাদেশে পাচারের জন্য ভারতের গরু...ছবি: Shaikh Azizur Rahman

মৃত কিশোরীর লাশ কাঁটাতারে ঝুলছে, ফেলানী হত্যার সে দৃশ্য বাংলাদেশের মানুষ ভোলেনি৷ কাজেই বারংবার প্রশ্ন ওঠে: আপনি যেমন বললেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দু'টি দেশের সম্পর্কের লক্ষণীয় উন্নতি ঘটেছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি কেন?

সমস্যাটা তৈরি হয় অপরাধীরা মাঝরাতে সীমান্ত পার হয় বলে৷ অনেক সময়ে ভারতের বিএসএফ রক্ষীবাহিনী অপরাধীদের তরফ থেকে আক্রমণের সম্মুখীন হয়৷ মধ্যরাত্রে রক্ষী যদি থামতে বলে বা ‘সার্চ' করতে চায়, তাহলে কেউই থামে না, অন্তত অধিকাংশ ক্ষেত্রে নয়৷ তারা হয় পালানোর চেষ্টা করে, নয়তো টহলদারী রক্ষীদের আক্রমণ করার চেষ্টা করে৷ কাজেই এটা একটা খুব জটিল পরিস্থিতি৷ কিন্তু তা প্রতি সপ্তাহে ঘটছে বলে আমার মনে হয় না৷ সীমান্তে হত্যার ঘটনা লক্ষণীয়ভাবে কমে আসছে এবং এখন বিরল হয়ে উঠেছে বলেই আমার ধারণা৷

সীমান্তে কি শুধুই চোরাচালান...

(এ-সব ঘটনা যে) প্রধানত চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত, তা একটা সুপরিচিত তথ্য৷ ভারতীয় তরফ থেকে গরু পাচার আর কোনো কোনো ধরনের মাদক পাচার; বাংলাদেশি তরফ থেকে জাল ভারতীয় রুপি পাচার একটা বড় সমস্যা৷ মনে রাখতে হবে, চার হাজার তিনশ কিলোমিটার সীমান্ত, তার অনেকটাই দুর্গম৷ কাজেই কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং৷ কিন্তু দু'টি দেশ একযোগে তা নিয়ে কাজ করছে৷ বিএসএফ আর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সহযোগিতা বেশ ভালো বলেই আমার ধারণা৷ বেসামরিক কর্তৃপক্ষও সংশ্লিষ্ট, যেমন আমি আগেই বলেছি৷ পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি ঘটেছে বলে আমি মনে করি৷ তবে লক্ষ্য হল (সীমান্ত হত্যা) পুরোপুরি বন্ধ করা৷

সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে সীমান্ত পরিস্থিতি বা সীমান্ত সমস্যা আজ কী ভূমিকা নিচ্ছে?

পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে৷ আমার মতে শেখ হাসিনার সরকার দেখিয়েছেন যে, তাঁরা সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর৷ তাঁরা বারংবার বলেছেন যে, ভারতে যারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে লিপ্ত, তাদের বাংলাদেশকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না৷ উভয় দেশের নিরাপত্তা বিভাগগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আছে৷

ভবিষ্যতের চালচিত্র কী? আগামী পাঁচ-দশ বছরের মধ্যে সীমান্তের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে?

আমার মনে হয় এই সীমান্ত অন্য যে কোনো সাধারণ সীমান্তের মতো মানুষজনের সুসংবদ্ধ সীমান্ত পারাপারের পথ ও পন্থা হয়ে দাঁড়াবে৷ আজও স্থল সীমান্তগুলো দু'দিক থেকেই বৈধ পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হয়৷ বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভারতে আসেন পর্যটন বা চিকিৎসার জন্য; তাদের অনেকে স্থল সীমান্ত দিয়ে আসেন৷ কাজেই এটা অন্য যে কোনো সীমান্তের মতোই হয়ে যাবে৷ সীমান্তের দু'পারেই অবকাঠামোর উন্নতি ঘটানো হচ্ছে; পেট্রাপোল আর বেনাপোলে নতুন ইন্টেগ্রেটেড চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে; আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তেও একটি নতুন ইন্টেগ্রেটেড চেকপোস্ট আছে,যা মানুষ ও মালপত্র পারাপারের একটা ওয়ান-স্টপ শপ-এর মতো৷ কাজেই ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন মেজার বা বাণিজ্য সহজীকরণ পদক্ষেপের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে মানুষ ও মালপত্রের বৈধভাবে সীমান্ত পারাপার আরও সমস্যাবিহীন হয়৷

কাঁটাতারের বেড়া আর সশস্ত্র রক্ষীবাহিনী কি দু'দেশের সমস্যার সেরা সমাধান?

সীমান্তের একটা বড় অংশে বেড়া দেওয়ার ফলে অপরাধমূলক গতিবিধি কমাতে সাহায্য করেছে বলে আমার ধারণা৷ অবশ্যই এটা কোনো সুনিশ্চিত পন্থা নয়৷ প্রতিবছর বেড়া কাটার শত শত ঘটনা ঘটে, মানুষজন সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করে৷ এটা একটা একটানা চ্যালেঞ্জ – ভাগ্যক্রমে উভয় দেশই এ বিষয়ে অবহিত এবং উভয় দেশ তার সমাধানের জন্য একযোগে কাজ করছে৷ সেটাই হলো আসল কথা৷

বন্ধু, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যার সঠিক সমাধান কী বলে আপনি মনে করেন?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ