রাজিত মিটার ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল অবধি ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন৷ তাঁর মতে সাম্প্রতিককালে সীমান্ত হত্যা অনেক কমে এসেছে৷ একদিন এই সীমান্তে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করবে, বলে তাঁর আশা৷
বিজ্ঞাপন
[No title]
ডয়চে ভেলে: বাংলাদেশিদের তরফ থেকে স্বভাবতই প্রথম প্রশ্ন হবে, সীমান্ত হত্যা কবে বন্ধ হবে?
রাজিত মিটার: আমি প্রথমেই বলব, সীমান্ত হত্যা অনেক কমে এসেছে৷ এটা একটা খুব জটিল সমস্যা৷ যে সব ঘটনা ঘটে, অবধারিতভাবে ঘটে রাত বারোটা থেকে ভোর চারটের মধ্যে৷ সীমান্তে অপরাধমূলক গতিবিধির সঙ্গে তার যোগ আছে – সাধারণত চোরাচালান৷ কাজেই দু'পক্ষের সীমান্তরক্ষীদের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন৷ কিন্তু সমস্যাটা আমাদের জ্ঞাত৷ গত তিন চার বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে (ভারতের) সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে৷ সমস্যার উপশম ঘটানোর যাবতীয় প্রচেষ্টা চলেছে৷ ২০১১ সালে দু'পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে জয়েন্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোল (যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ পরে তা আরো বাড়ানো হয়েছে৷ এখন সীমান্তের জেলা প্রশাসকরাও নিয়মিতভাবে মিলিত হয়ে তথ্যের আদানপ্রদান করেন৷
মৃত কিশোরীর লাশ কাঁটাতারে ঝুলছে, ফেলানী হত্যার সে দৃশ্য বাংলাদেশের মানুষ ভোলেনি৷ কাজেই বারংবার প্রশ্ন ওঠে: আপনি যেমন বললেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দু'টি দেশের সম্পর্কের লক্ষণীয় উন্নতি ঘটেছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি কেন?
সমস্যাটা তৈরি হয় অপরাধীরা মাঝরাতে সীমান্ত পার হয় বলে৷ অনেক সময়ে ভারতের বিএসএফ রক্ষীবাহিনী অপরাধীদের তরফ থেকে আক্রমণের সম্মুখীন হয়৷ মধ্যরাত্রে রক্ষী যদি থামতে বলে বা ‘সার্চ' করতে চায়, তাহলে কেউই থামে না, অন্তত অধিকাংশ ক্ষেত্রে নয়৷ তারা হয় পালানোর চেষ্টা করে, নয়তো টহলদারী রক্ষীদের আক্রমণ করার চেষ্টা করে৷ কাজেই এটা একটা খুব জটিল পরিস্থিতি৷ কিন্তু তা প্রতি সপ্তাহে ঘটছে বলে আমার মনে হয় না৷ সীমান্তে হত্যার ঘটনা লক্ষণীয়ভাবে কমে আসছে এবং এখন বিরল হয়ে উঠেছে বলেই আমার ধারণা৷
সীমান্তে কি শুধুই চোরাচালান...
(এ-সব ঘটনা যে) প্রধানত চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত, তা একটা সুপরিচিত তথ্য৷ ভারতীয় তরফ থেকে গরু পাচার আর কোনো কোনো ধরনের মাদক পাচার; বাংলাদেশি তরফ থেকে জাল ভারতীয় রুপি পাচার একটা বড় সমস্যা৷ মনে রাখতে হবে, চার হাজার তিনশ কিলোমিটার সীমান্ত, তার অনেকটাই দুর্গম৷ কাজেই কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং৷ কিন্তু দু'টি দেশ একযোগে তা নিয়ে কাজ করছে৷ বিএসএফ আর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সহযোগিতা বেশ ভালো বলেই আমার ধারণা৷ বেসামরিক কর্তৃপক্ষও সংশ্লিষ্ট, যেমন আমি আগেই বলেছি৷ পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি ঘটেছে বলে আমি মনে করি৷ তবে লক্ষ্য হল (সীমান্ত হত্যা) পুরোপুরি বন্ধ করা৷
ভারতের সিদ্ধান্তে সমস্যায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মানুষ যেন গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয় সেজন্য ভারত থেকে বাংলাদেশ গরু পাচার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
ছবি: S. Rahman/Getty Images
সীমান্তরক্ষীদের নতুন দায়িত্ব
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ২,২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত পাহারা দেয়ায় নিয়োজিত প্রায় ৩০ হাজার ভারতীয় সৈন্যকে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ সেটা হলো, ভারতীয় গরু যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশে পৌঁছতে না পারে৷ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএসএফ সদস্যদের এই নির্দেশ দেন যেন ‘বাংলাদেশের মানুষ গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয়’৷
ছবি: Str/AFP/Getty Images
গরু পবিত্র
হিন্দুদের কাছে গরু একটি পবিত্র প্রাণী৷ তাই ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করতে চায়৷ রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবক সংঘ আরএসএস এর পশ্চিমবঙ্গের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘গরু জবাই কিংবা চোরাই পথে চালান, আর হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ করা বা হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা একই কথা৷’’
ছবি: Shaikh Azizur Rahman.
চার যুগের ইতিহাস
ভারত থেকে চোরাই পথে আসা গরুই এতদিন বাংলাদেশের মানুষের মাংসের প্রধান উৎস ছিল৷ গত চার দশক ধরে সেটা হয়ে আসছে৷ এর সঙ্গে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য জড়িয়ে আছে৷
ছবি: Shaikh Azizur Rahman.
দাম বেড়ে গেছে
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গরুর মাংস রপ্তানিকারক বেঙ্গল মিট এর সৈয়দ হাসান হাবিব গত জুলাই মাসে রয়টার্সকে জানান, ভারতের এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তাঁর কোম্পানির মাংস রপ্তানি প্রায় ৭৫ শতাংশ কমে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/Asia News Network/Jofelle P. Tesorio
চাকরি হারিয়েছে প্রায় ৪,০০০
বাংলাদেশ ট্যানারস অ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট শাহীন আহমেদ জানিয়েছেন, জুন পর্যন্ত চামড়া শিল্পে কর্মরত প্রায় চার হাজার কর্মীর চাকরি গেছে৷ আর ১৯০টি ট্যানারির মধ্যে ৩০টি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে৷
ছবি: Shaikh Azizur Rahman
ভারতীয় গরুর মাংস ভালো
বেঙ্গল মিট এর সৈয়দ হাসান হাবিব বলেন, তিনি এখন নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার থেকে মাংস আমদানির চিন্তা করছেন৷ কিন্তু ভারতীয় মাংস ও চামড়ার মান ভালো বলে জানান তিনি৷ উল্লেখ্য, ভারত গরুর মাংসের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক৷
ছবি: AFP/Getty Images
ভারতের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন মাংসের জন্য বাংলাদেশকে নতুন উৎস খুঁজে বের করতে হবে কেননা ভারত তার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে৷
ছবি: S. Rahman/Getty Images
7 ছবি1 | 7
সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে সীমান্ত পরিস্থিতি বা সীমান্ত সমস্যা আজ কী ভূমিকা নিচ্ছে?
পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে৷ আমার মতে শেখ হাসিনার সরকার দেখিয়েছেন যে, তাঁরা সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর৷ তাঁরা বারংবার বলেছেন যে, ভারতে যারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে লিপ্ত, তাদের বাংলাদেশকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না৷ উভয় দেশের নিরাপত্তা বিভাগগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আছে৷
ভবিষ্যতের চালচিত্র কী? আগামী পাঁচ-দশ বছরের মধ্যে সীমান্তের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে?
আমার মনে হয় এই সীমান্ত অন্য যে কোনো সাধারণ সীমান্তের মতো মানুষজনের সুসংবদ্ধ সীমান্ত পারাপারের পথ ও পন্থা হয়ে দাঁড়াবে৷ আজও স্থল সীমান্তগুলো দু'দিক থেকেই বৈধ পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হয়৷ বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভারতে আসেন পর্যটন বা চিকিৎসার জন্য; তাদের অনেকে স্থল সীমান্ত দিয়ে আসেন৷ কাজেই এটা অন্য যে কোনো সীমান্তের মতোই হয়ে যাবে৷ সীমান্তের দু'পারেই অবকাঠামোর উন্নতি ঘটানো হচ্ছে; পেট্রাপোল আর বেনাপোলে নতুন ইন্টেগ্রেটেড চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে; আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তেও একটি নতুন ইন্টেগ্রেটেড চেকপোস্ট আছে,যা মানুষ ও মালপত্র পারাপারের একটা ওয়ান-স্টপ শপ-এর মতো৷ কাজেই ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন মেজার বা বাণিজ্য সহজীকরণ পদক্ষেপের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে মানুষ ও মালপত্রের বৈধভাবে সীমান্ত পারাপার আরও সমস্যাবিহীন হয়৷
কাঁটাতারের বেড়া আর সশস্ত্র রক্ষীবাহিনী কি দু'দেশের সমস্যার সেরা সমাধান?
সীমান্তের একটা বড় অংশে বেড়া দেওয়ার ফলে অপরাধমূলক গতিবিধি কমাতে সাহায্য করেছে বলে আমার ধারণা৷ অবশ্যই এটা কোনো সুনিশ্চিত পন্থা নয়৷ প্রতিবছর বেড়া কাটার শত শত ঘটনা ঘটে, মানুষজন সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করে৷ এটা একটা একটানা চ্যালেঞ্জ – ভাগ্যক্রমে উভয় দেশই এ বিষয়ে অবহিত এবং উভয় দেশ তার সমাধানের জন্য একযোগে কাজ করছে৷ সেটাই হলো আসল কথা৷
বন্ধু, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যার সঠিক সমাধান কী বলে আপনি মনে করেন?
বিশ্বের কয়েকটি বিপজ্জনক সীমান্ত
দুই দেশের মধ্যে সীমানা নিয়ে যুদ্ধ কিংবা উন্নত জীবনের আশায় এক দেশের নাগরিকের প্রতিবেশী দেশে যাওয়া – ইত্যাদি কারণে বিশ্বের কয়েকটি সীমান্ত বিপজ্জনক বলে পরিচিত৷ ছবিঘরে থাকছে সেগুলোর কথা৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত
এই সীমান্তের ৪০টি ‘স্পর্শকাতর’ অংশে ‘লেজার’-এর বেড়া দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারত৷ পাকিস্তান থেকে ভারতে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ এর ফলে বেড়ার সংস্পর্শে কিছু আসলে উচ্চস্বরে সাইরেন বেজে উঠবে৷ ২০১১ সালের জুনে ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮০০ মাইল দীর্ঘ এই সীমান্তে নিহত হয়েছে এক লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Arif Ali/AFP/Getty Images
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে ৪৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে৷ আহত হয়েছে ৭৩ জন৷ এছাড়া অপহরণ করা হয়েছে ৫৯ জনকে৷ কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত শিগগিরই বেড়া দেয়ার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান৷
ছবি: Str/AFP/Getty Images
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত
উন্নত জীবনের আশায় মেক্সিকো থেকে প্রতিবছর অনেক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেন৷ আর তা করতে গিয়ে প্রাণ যায় অনেকের৷ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, গত ১৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ৬,০০০ এর বেশি লোক নিহত হয়েছে৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Gordon Hyde
ভূমধ্যসাগর
যুদ্ধ আর সংঘাত এড়াতে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশ করছে৷ এদের একটি বড় অংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করে৷ এতে প্রাণ যায় অনেকের৷ জার্মান ম্যাগাজিন ‘ডেয়ার স্পিগেল’ গত অক্টোবরে এক প্রতিবেদনে ভূমধ্যসাগরকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত বলে আখ্যা দেয়৷ ২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগরে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩,৭৭০৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Palacios
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত
প্রায় দেড় হাজার মাইল দীর্ঘ ‘ডুরান্ড লাইন’ নামে পরিচিত সীমান্ত এখনও মেনে নেয়নি আফগানিস্তান৷ পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখা রাজ্যের পশতুন অধ্যুষিত এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে আফগানিস্তান৷ এই সীমান্তকে ঘিরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে৷
ছবি: Reuters
উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে সামরিক সজ্জায় সজ্জিত সীমান্ত বলা হয় একে৷ ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রায় দেড়শো মাইল দীর্ঘ এই সীমান্তের দুই পাশ থেকে সৈন্যদের সরিয়ে দেয়া হয়৷ তখন থেকেই দুই দেশের সৈন্যরা প্রায় আড়াই মাইল প্রশস্ত এই সীমান্তের দুই পাশে অবস্থান করছে৷