এনএসএ-র শীর্ষে নতুন মুখ
৩১ জানুয়ারি ২০১৪এডোয়ার্ড স্নোডেন এনএসএ-র কার্যকলাপ সম্পর্কে এমন সব তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন যে, তার ফলে দেশে-বিদেশে বেশ চাপের মুখে পড়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা৷ বিপাকে পড়েছে ওবামা প্রশাসন৷ এবার সংস্থার শীর্ষে রদবদলের পালা৷ মার্কিন সেনেটের অনুমোদন প্রক্রিয়া ঠিকমতো চললে ভাইস অ্যাডমিরাল মাইক রজার্স আগামী মার্চ মাসে এই নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চলেছেন৷ বিতর্কে জেরবার বিদায়ী প্রধান কিথ আলেক্সান্ডার একই সময়ে অবসর নিতে চলেছেন৷
নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যক্তিস্বাধীনতা – এই তিনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে মাইক রজার্স উপযুক্ত ব্যক্তি – এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করা হয়েছে৷ তিনি বর্তমানে নৌ-বাহিনীর ‘সাইবার কমান্ড' বিভাগের শীর্ষ স্থানে রয়েছেন৷ তিনি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্রিপটোলজিস্ট৷ ফলে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল তথ্য সম্পর্কে তাঁর ভালোই ধারণা রয়েছে৷ বর্তমান প্রথা অনুযায়ী সেই দায়িত্ব বজায় রেখেই তিনি এনএসএ-র শীর্ষ পদ গ্রহণ করবেন৷ ওবামা প্রশাসন এখনো এই দুই কাজের দায়িত্ব এক ব্যক্তির হাতে রাখতে চায়৷
সম্প্রতি এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ওবামা মিত্র দেশের শীর্ষ নেতাদের উপর গোয়েন্দাগিরি চালানোর কর্মসূচি বন্ধ করার ঘোষণা করেছেন৷ ঢালাওভাবে মার্কিন নাগরিকদের টেলিফোন সংলাপ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজও বন্ধ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷
নাইন ইলেভেনের পর অ্যামেরিকায় নিরাপত্তার বিষয়টি এত বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল, যে নাগরিক অধিকার খর্ব হলেও তা নিয়ে বেশি উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি৷ বিদেশের মাটিতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কার্যকলাপ সম্পর্কেও বিস্ময়ের কোনো কারণ ছিল না৷ কিন্তু আঙ্গেলা ম্যার্কেল সহ মিত্র দেশগুলির শীর্ষ নেতাদের টেলিফোনে আড়ি পাতার ঘটনার জের ধরে ওবামা প্রশাসন বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে৷ ব্যক্তিগত স্তরে আস্থার এমন অভাব থাকলে যে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন হবে, মার্কিন নেতৃত্ব তা ক্রমশ বুঝতে পারছেন৷ মাইক রজার্স সেই আস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে কতটা অবদান রাখতে পারেন, সে দিকেই সব মহলের নজর থাকবে৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)