1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব স্বীকার

৪ মে ২০১৫

ভারতীয় উপমহাদেশের আল-কায়েদার প্রধান আসিম উমর এক ভিডিও বার্তায় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী একটি ওয়েবসাইট৷

Blogger Avijit Roy ###ACHTUNG SCHLECHTER QUALITÄT###
ছবি: Privat

সাইট ইন্টিলিজেন্স' নামের ঐ ওয়েবসাইটে বলা হয়, অভিজিৎ হত্যার দায় স্বীকার করে দেয়া একটি ভিডিও বার্তা শনিবার ইন্টারনেটে প্রকাশ করেন আসিম উমর৷

গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে৷ শাহবাগ আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী মাহমুদুল হক মুন্সীর মনে কয়েকটি বিষয় ঘুরপাক খাচ্ছে৷ ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি সেটা তুলে ধরেছেন৷ প্রথমত তিনি মনে করছেন, বাংলাদেশের আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে হয়ত সত্যিই আল-কায়েদার যোগাযোগ রয়েছে৷ আল-কায়েদার কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বাংলাদেশে তারা আল-কায়েদার একটি ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি' খুলেছে৷ শুরুটা তারা করেছে নাস্তিক হত্যা করে৷ ভবিষ্যতে হয়ত বড়কিছুর জন্য তৈরি হচ্ছে আনসারুল্লাহ, এমনটাই ধারণা মুন্সীর৷

তাঁর আরেকটি ধারণা, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র হয়ত বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন এলাকায় সামরিক উপস্থিতির পরিকল্পনা করছে৷ ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গি গোষ্ঠীর দোহাই দিয়ে অ্যামেরিকার সেন্টমার্টিনে বেইজ করার লোভের ভিত্তি গড়ে দেয়া হচ্ছে আল-কায়েদার ঘোষণার মাধ্যমে৷ যেহেতু গুজব রয়েছে আমেরিকা নিজেই আল-কায়েদা, সুতরাং ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায়' বাংলাদেশে আব্বাহুজুরেরা তশরিফ রাখতে আসতেই পারেন'', বলে মনে করেন তিনি৷

অভিজিতের হত্যাকাণ্ডে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভছবি: DW

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় অভিজিৎ হত্যার তদন্ত করতে বাংলাদেশে গিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই৷ আল-কায়েদা হতার দায় স্বীকার করায় সুপ্রীতি ধর মনে করছেন, এর মাধ্যমে এফবিআই আল-কায়েদাকেই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করে দিলো৷ ‘‘...শেষপর্যন্ত আল-কায়দা অভিজিৎ হত্যার দায় স্বীকার করলো৷ ফারাবির স্বীকারোক্তি তাহলে বিফলে গেল, কী বলেন? ফারাবিকে কবে ছাড়া হচ্ছে বা হয়ে গেছে কিনা তলে তলে, কেউ কী জানাবে! আল-কায়েদা তো ওই ৪৮ ঘণ্টার মতোই একটা বায়বীয় বিষয়৷ এফবিআই এতদিন ধরে খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে আল-কায়দাকেই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করে দিলো....বিশ্বমানের প্রহসন বলেই মনে হচ্ছে...৷''

এদিকে, আল-কায়েদার দায় স্বীকারের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের একটা সংযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন মুহাম্মদ খন্দকার৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সাবাশ! এই তো বের হয়ে গেছে! ব্লগার-লেখক অভিজিত রায়ের হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা৷ তাদের নেত্রীকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য এর চেয়ে মুখরোচক খাবার আর কি হতে পারতো? এরপর বিডিআর ম্যাসাকার, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড, হেফাজতের গণহত্যা – এ সব থেকেও নেত্রীকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য এ ধরণের সংগঠনের আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় থাকলাম৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে দায়মুক্তি নিয়ে আর কতকাল তিনি চলতে পারবেন?

আর ইসলামকে গালি দিয়ে ‘বিজ্ঞানমনস্ক' আর ‘মুক্তমনা' সাজা ব্লগাররা সাবধান! আপনাদের নেত্রী কিন্তু দেশে ইতিমধ্যে আল-কায়েদা নিয়ে এসেছেন!! একটা একটা করে ব্লগার খাওয়াও শুরু হয়ে গেছে!!! এরপর হতে পারে আপনারই পালা, হু নোউজ?''

অভিজিত রায়ের ফেসবুক পাতা

অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের এতদিন পরও এর সঙ্গে জড়িতদের ধরতে না পারায় হতাশ আজম খান৷ এর মধ্যে এতদিন পর হত্যার সঙ্গে আল কায়েদার দায় স্বীকারের ঘটনাকে ব্যঙ্গ করে তিনি লিখেছেন, ‘‘আল-কায়েদার বাজার এই দুই বছর আগেও বেশ ভালো ছিল৷ পশ্চিমা বিশ্বের ডলার-পাউন্ড-ইউরো মুদ্রার দেশ সমুহ হতে প্রচুর মুসলমান ছাগু চুরি করে ডোনেশন দিতো৷....মার্কেট পড়ে গেল নাট্যমঞ্চে আইসিস আসার পরে৷ এরা উগ্রতা এবং নৃশংসতায় গুরু আল-কায়েদাকে ছাড়িয়ে গেল৷ গুরু মারা বিদ্যা দেখে মুমিনেরা দলে দলে হাততালি দিতে দিতে আইসিসের দিকে ঝুঁকে পড়লো৷ পুরা রমরমা অবস্থা৷ ওদিকে আল-কায়েদার পেটে লাথি পড়ছে৷ কোনো কৌশলেই মুরগি ধরা যাচ্ছে না৷ অবস্থা এতই খারাপ দাঁড়াইল যে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের দায় ঘটনার তিন মাস পরে স্বীকার করতে হইলো৷''

এতদিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় হতাশ আজম খান লিখেছেন, ‘‘... মূল্য ব্যাপার হচ্ছে অভিজিৎ রায় আর আমাদের মাঝে নেই৷ খুনের তিন মাস চলে যাবার পরেও দোষীদের গ্রেপ্তার করা দূরে থাক, কোনো কূলকিনারা করে উঠতে পারে নাই৷ লজ্জা, বিরাট লজ্জা৷ এভাবে লজ্জা পেতে পেতে দেশটা এক সময়ে লজ্জাবতী রাজকুমারীর মত নির্বাক হয়ে যাবে৷''

শওগাত আলী সাগর লিখেছেন, ‘‘আল-কায়েদাও তো দেখছি সরকার সমর্থক হয়ে গেছে৷ ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশকে খাটাখাটির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে৷ পুলিশের তো এখন আর কোনো কাজ নেই৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ