প্রতি বছর রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স সাহসী সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন বিভাগে অবদানের জন্য ‘প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড' দিয়ে থাকে৷ ২০২১ সালেও দেওয়া হলো এই পুরষ্কার৷
বিজ্ঞাপন
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান শহরে দেখা দেয় এক অজানা রোগ, যা আক্রমণ করছিল শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতাকে৷ সেই সময় কেউ ধারণাও করতে পারেননি হয়তো যে সেই রোগ এক বিশ্বব্যাপী অতিমারির আকার ধারণ করবে৷
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাংবাদিক ঝাং ঝান শাংহাই থেকে উহানে পৌঁছান এই নতুন রোগ বিষয়ে মাঠপর্যায়ে প্রতিবেদনের উদ্দেশ্যে৷ নিজের কাজের ক্ষেত্রে অসীম সাহস দেখানোর ফলে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স সংস্থা ২০২১ সালের প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ডের জন্য বেছে নিয়েছে তাকে৷
ঝাং ঝানের কাজ, যা মূলত সোশাল মিডিয়া থেকেই জনপ্রিয় হয়, তুলে ধরে করোনা অতিমারির প্রভাবে হাসপাতালে, শ্মশানে বাড়তে থাকা ভিড়ের চিত্র৷ তিনি বলেন শহরের বাসিন্দাদের উদ্বেগের কথা৷ ফলে, চীনা কর্তৃপক্ষের রোষের মুখেও পড়তে হয় ঝানকে৷
২০২০ সালের ১৪ মে পর্যন্ত একটানা নির্ভীক প্রতিবেদন চালিয়ে চান তিনি৷ কিন্তু ১৪ মে আচমকা নিখোঁজ হয়ে পড়েন ঝাং ঝান৷ একদিন পর জানা যায় যে তাকে গ্রেফতার করে শাংহাইতে নিয়ে আসা হয়েছে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই৷
‘অকারণে বিবাদ ও অশান্তি সৃষ্টির’ দায়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঝাং ঝানকে চার বছরের কারাবাসের শাস্তি দেওয়া হয়৷ প্রতিবাদে, এই ৩৮ বছর বয়েসি সাংবাদিক অনশনে বসেন, যা আজও চলছে৷ তার ওজন কমে এখন মাত্র ৪০ কিলোগ্রাম৷ কারাবাসে তাকে পেটের ভেতর নল ঢুকিয়ে জোর করে খাওয়ানো হয়৷ এই নল যাতে তিনি না বের করতে পারেন, সে জন্য তার হাত-পা বেঁধে রাখা হয় সব সময়৷
এই পুরস্কার দেবার মাধ্যমে ঝাং ঝানের কাজের দিকে আলোকপাত করতে চায় রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স৷
তথ্য উদ্ধার করে পুরস্কার
কীভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নাগরিক ও সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি চালায়, তা জানতে অনুসন্ধান চালায় ‘পেগাসাস প্রোজেক্ট’ গোষ্ঠী৷ এগারোটি রাষ্ট্রের মোট ৮০ সাংবাদিকের এই দল তার নাম রেখেছে নজরদারি সফটওয়ার ‘পেগাসাস’-এর আদলে৷
উল্লেখ্য, এই গোষ্ঠীর তৎপরতার ফলেই প্রকাশ্যে আসে পেগাসাস সফটওয়ারের বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের নানা তথ্য৷
সরকার প্রযুক্তির সাহায্যে আড়ি পাতলে তা গোটা বিশ্বের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বারবার জনতার সামনে তুলে ধরেছে ‘পেগাসাস প্রোজেক্ট'৷ ‘ইমপ্যাক্ট' বিভাগে তাই এবছরের প্রেস ফ্রিডস অ্যাওয়ার্ড পেলেন এই গোষ্ঠী৷
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের জার্মান বিভাগের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টিয়ান মির বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এইসব প্রযুক্তি৷ এবং এই প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতি হুমকিও বয়ে আনতে পারে৷’’
কার্যকর গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি?
গণমাধ্যমের কার্যকারিতা নিয়ে ১৬টি ডিজিটাল মিডিয়া স্টার্টআপের একটি দল কাজ করছে। মানসম্পন্ন সংবাদ প্রকাশ এবং টিকে থাকার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সংস্থাগুলোকে কি ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় জানালেন বিভিন্ন দেশের এই সাংবাদিকেরা।
ছবি: DW Akademie
ডিজিটাল মিডিয়ার অগ্রদূত যারা
১৬টি ডিজিটাল মিডিয়া স্টার্টআপের একটি দল গণমাধ্যমের কার্যকারিতা নিয়ে কাজ করছে। তারা জবাব দিচ্ছে: তাদের দেশে গণমাধ্যমের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে কি কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়?
ছবি: DW Akademie
লিকা আনতাদজে, জর্জিয়া, চায় খানা
‘’নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ সংবাদ পরিবেশন, একই সাথে দীর্ঘ সময় টিকে থাকা এবং ভালো পাঠক ও দর্শক তৈরি করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
তানিয়া এল মন্তালভো, মেক্সিকো, অ্যানিমেল পলিটিকো
‘’মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনা, মানসম্পন্ন সংবাদ পরিবেশন, মাথায় রাখা পাঠকরা কোন বিষয়গুলো জানতে চায়-এগুলোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
টিডিয়ানে হামাদৌ, সেনেগাল, ওয়েস্তাফ নিউজ
‘’গণমাধ্যমের উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর কোন বাধ্যবাধকতা জনগণের নেই। তবে নিরপেক্ষ সংবাদ মাধ্যম তাদের জন্য কিছু একটা করতে পারে এবং এটার একটা মূল্য আছে, এই বিষয়টা তারা ভালো বোঝে।‘’
ছবি: DW Akademie
পিং জিন থুম, সিঙ্গাপুর, নিউ ন্যারাটিফ
‘’দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে আইন করেছে সরকার। সরকারের সহযোগীদের হাতে বেশিরভাগ গণমাধ্যমের মালিকানা। নিরপেক্ষ গণমাধ্যমকে হয়রানি করা হয়, মামলা দেয়া হয় বা কিনে নেয়া হয়। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স বা বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচিতে এশিয়ার দেশগুলোর অবস্থান বেশ নিচে।‘’
ছবি: DW Akademie
লুসিয়া মেনেনডেজ, গুয়াতেমালা, নোমাডা
‘’যে দেশের পাঠকেরা মানসম্পন্ন সাংবাদিকতায় অভ্যস্ত না, তাদের নিরপেক্ষ সংবাদে অন্তর্ভুক্ত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
কিরিলো লুকেরেংকো, ইউক্রেন, রোমাদস্কে রেডিও
‘’আইনের অবৈধ ব্যবহার ইউক্রেনের গণমাধ্যমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
লুসিয়া মার্টিনেজ, আর্জেন্টিনা, চেকুয়াদো
‘’সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যা দীর্ঘ সময় ধরে মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা ধরে রাখবে।‘’
ছবি: DW Akademie
ডেভিড হিলাডগো ভেগা, পেরু, ওজো পাবলিকো
‘’লাতিন অ্যামেরিকায় গণমাধ্যমের কার্যকারিকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল, জনগণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরণের খবর পরিবেশন।‘’
ছবি: DW Akademie
রোমান ফিলিপভ, মলদোভা, রাইজ মলদোভা
‘’যে দেশে শাসকগোষ্ঠীর হাতে বেশিরভাগ গণমাধ্যম, সেখানে একটা নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে গুণগত ও মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
তামারা কারাইন, জার্ডান, এআরআইজে
‘’আয়, নেতৃত্ব এবং প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ।‘’
ছবি: DW Akademie
11 ছবি1 | 11
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সমালোচনা করেন যিনি
ফিলিস্তিনের সাংবাদিক মাজদোলিন হাসোনার সাংবাদিকতার ধরন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন, দুই পক্ষেই সমালোচিত হয়ে থাকে৷
ডয়চে ভেলেকে হাসোনা বলেন, ‘‘ইসরায়েল যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, আমি তার সমালোচনা করি৷ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়ের যেসব অবিচার করছে, আমি তার সমালোচনা করি৷ অন্যদিকে, আমি ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষের ভেতরে থাকা দুর্নীতিরও সমালোচনা করি৷ যেভাবে তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রোধ করে, তার সমালোচনা করি৷ এবং এসব করি বলেই দুই পক্ষই আমার ক্ষতি করতে চেষ্টা করে৷’’
২০১৫ সালে তুর্কি সংবাদসংস্থা টিআরটির সাথে যুক্ত হয়ে ইস্তাম্বুলে পাড়ি দেন হাসোনা৷ তার আগে বিভিন্ন ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমে কাজ করা ছাড়াও ১১ মাস তিনি ডুজ নিউজে কাজ করেন৷ ডুজ নিউজ ডয়চে ভেলে একাডেমি, জার্মান সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন ও নাবলুস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি যৌথ প্রকল্প৷
২০১৯ সালে নিজের দেশে গেলে তাকে ‘নিরাপত্তাজনিত' কারণে আটক করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ৷ এরপর থেকে পশ্চিম তিরে আটকে থাকলেও তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের সাংবাদিকতার কাজ৷
২০২১ সালের জুনমাসে ফিলিস্তিনি সরকারের সমালোচক নিজার বানাতের মৃত্যু হয়৷ তার পরিবারের মতে, কারাবাসে মারধর করার ফলে প্রাণ হারান তিনি৷ এই বিষয়ে প্রতিবেদন করলে হাসোনাকেও মারধর করা হয়৷
‘স্বাধীনতা' বিভাগে এবছরের প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড পেলেন মাজদোলিন হাসোনা৷
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এই ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ডের গুরুত্ব আমার কাছে অনেক৷ এই পুরস্কার যে কোনো সাংবাদিককে দেওয়া হয় না৷ এটা দেওয়া হয় সেই সব সাংবাদিকদের, যারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শিকার৷ যারা অন্য সবার মতো স্বাধীনভাবে কাজ করার, বাঁচার দাবি করেন৷’’
টমাস লাটশান/এসএস
২০২১: নোবেল কারা, কেন পেলেন
রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, শান্তি ও সাহিত্য, এই ছবিঘরে এক নজরে এবছরের নোবেল বিজয়ীদের ছবি দেখে নিতে পারেন৷
গণতন্ত্রের জন্য শান্তি পুরস্কার
ফিলিপাইন্সের মারিয়া রেসা ও রাশিয়ার ডিমিট্রি মুরাটভকে ‘স্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়ে গণতন্ত্র ও দীর্ঘমেয়াদী শান্তি নিশ্চিত করায়’ শান্তি পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে নোবেল কমিটি৷ বিশ্বের যে সাংবাদিকরা প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও নৈতিক সাংবাদিকতার চর্চা করছেন, তাদের প্রতিনিধি হিসাবে রেসা ও মুরাটভের এই স্বীকৃতি বলে জানাচ্ছে নোবেল কমিটি৷
সাংবাদিকতার লড়াই
২০১২ সালে র্যাপলার নামের একটি ডিজিটাল মিডিয়া সংস্থা চালু করেন মারিয়া রেসা, যার উদ্দেশ্যই ছিল ফিলিপাইন্সে ক্ষমতার অপব্যবহার, সহিংসতা ও রাষ্ট্রের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান সাংবাদিকতা চালানো৷ গণমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানো ও বিরোধী শক্তি দমনের বিরুদ্ধে সক্রিয় মারিয়া রেসার সংগঠনটি৷
ছবি: ProjectSpeaker
রাশিয়ায় বাক স্বাধীনতার লড়াই
কয়েক দশক ধরে রাশিয়ায় মুক্ত চিন্তা চর্চার জন্য লড়ছেন ডিমিট্রি মুরাটভ৷ ১৯৯৩ সালে নোভায়া গ্যাজেটা পত্রিকাটি চালু করেন তিনি৷ দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে রাশিয়া যেভাবে সামরিক তৎপরতা বজায় রাখে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন করে সরকারের রোষের শিকার হন তিনি৷ এছাড়া দুর্নীতি, ভোট চুরি ও আইন বহির্ভূত গ্রেপ্তারের বিষয়েও সোচ্চার মুরাটভের পত্রিকাটি৷
ছবি: Alexander Zemlianichenko/AP Photo/picture alliance
সাহিত্যের শরণ
‘‘যেভাবে এক শরণার্থী এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে লড়ে, সেই লড়াইয়ের কথা প্রবলভাবে বলে ও সমাজকে উপনিবেশবাদের প্রভাবকে গভীরভাবে বোঝানোর জন্য’ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতলেন তাঞ্জানিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে শরণার্থী হয়ে আসা লেখক আবদুলরাজাক গুরনাহ৷
গুরনাহের জন্ম ১৯৪৮ সালে টানজানিয়ার জানজিবারে৷ ষাটের দশকে যুক্তরাজ্যে আসেন শরণার্থী হয়ে৷ ৭৩ বছর বয়সি এই লেখকের ঝুলিতে রয়েছে ১০টি উপন্যাস৷ জয়ের খবর শুনে তিনি বলেন, ‘‘আমি অবাক কারণ আমি নিজের কানে না শুনে এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না৷’’ ১৯৮৬ সালের পর তিনিই এই বিভাগে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ বিজয়ী৷
ছবি: Ger Harley/StockPix/picture alliance
রসায়নে নোবেল
ডেভিড ম্যাকমিলানের সাথে রসায়নে নোবেলের যুগ্ম বিজয়ী হলেন জার্মান বিজ্ঞানী বেনজামিন লিস্ট৷ এসিমেট্রিক অর্গানো ক্যাটালাইসিস বিষয়ে তাদের কাজের জন্য পুরস্কার পেলেন তারা৷ দুজনের কর্মস্থল জার্মানির ম্যুলহাইম আন ডেয়ার রুর শহরের মাক্স প্লাংক ইন্সটিটিউটে৷
ছবি: Wolfgang Rattay/Reuters
উদযাপনের মরসুম
পুরস্কার ঘোষণা হবার পর লিস্ট ও তার স্কটিশ বংশোদ্ভূত সহকর্মী ম্যাকমিলান মাক্স প্লাংক ইন্সটিটিউটের সহকর্মীদের সাথে তা উদযাপন করেন৷ ছবিতে সেই দৃশ্য৷ নতুন ওষুধ তৈরির প্রক্রিয়া আরো সহজ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজে লাগবে তাদের গবেষণা৷
ছবি: Wolfgang Rattay/Reuters
চমকে দেওয়া খবর
সাধারণত ‘সুইডেন থেকে ফোন আসা’ নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঠাট্টা করতেন বেনজামিন৷ কিন্তু আমস্টারডামে ছুটি কাটানোর সময়েই যে নোবেল জয়ের ফোন সত্যি সত্যি আসবে সুইডেন থেকে, তা আশা করেননি বলে জানান তিনি৷
ছবি: Wolfgang Rattay/Reuters
পদার্থবিদ্যায় নোবেল
হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ক্লাউস হাসেলমান এবছরের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পদার্থবিদ্যায়৷ ছবিতে স্ত্রী ও কন্যার সাথে আনন্দঘন মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে তাকে৷
ছবি: Fabian Bimmer/Reuters
সহকর্মীদের সাথে জয়
জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানী সিউকুরো মানাবে ও ইটালিয়ান বিজ্ঞানী জর্জিও পারিসির সাথে মিলে নোবেল জিতলেন হাসেলমান৷ পৃথিবীর পরিবর্তনশীল আবহাওয়াকে বোঝার ক্ষেত্রে তাদের গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ৷
ছবি: Remo Casilli/Reuters
যা বললেন মানাবে
অ্যামেরিকার প্রিন্সটন থেকে মানাবে বলেন যে তাদের জয় আসলে নোবেল একাডেমির পরিবেশ সচেতনতার প্রতিফলন৷ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে চান মানাবে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যতটুকু জানি তার চেয়ে কয়েক লাখ গুণ বেশি জটিল জলবায়ু পরিবর্তন৷ আমার কাছে এখনও এটা একটা ধাঁধা৷’’
ছবি: Mike Segar/Reuters
স্বপ্নের মতো
হামবুর্গের মাক্স প্লাংক ইন্সটিটিউট ফর মিটিওরোলজিতে কর্মরত হাসেলমান বলেন যে এই খবর তার কাছে এক সুন্দর স্বপ্নের মতো৷ ‘‘আমি তো অবসর নিয়েছি৷ আজকাল অলস বোধ করি৷ তার মধ্যেই গবেষণা চালিয়ে চাই৷ এই সম্মান অনেক অনেক বড়৷’’
ছবি: Fabian Bimmer/Reuters
যা বললেন পারিসি
ইটালিয়ান বিজ্ঞানী জর্জিও পারিসি সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় তুলে ধরেন স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা আসন্ন পরিবেশ সম্মেলনের কথা৷ বিশ্ব নেতৃত্বকে মনে করিয়ে দেন পরিবেশের কথা ভাবার বিষয়টি৷
স্যান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডেভিড জুলিয়াস এবছর নোবেল জিতেছেন চিকিৎসা বিদ্যায় তার অবদানের জন্য৷ আডেম পাটাপুতিয়ানের সাথে মিলে এই পুরস্কার তারা পেয়েছেন তাপমাত্রার নতুন রিসেপ্টার আবিষ্কারের জন্য, যা ব্যাথা কমানোর ওষুধ আবিষ্কারের জন্য যুগান্তকারী হতে পারে৷
ছবি: Noah Berger/UCSF/Reuters
আডেম পাটাপুতিয়ান
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ সেন্টারের প্রফেসর আডেম পাটাপুতিয়ান এর আগে স্যান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতেন৷ জুলিয়াস ও তার কাজের মাধ্যমে শরীরে ব্যথার নতুন কারণ খুঁজে বার করা সম্ভব হবে৷