ড. কামাল হোসেনের বিএনপি'র সঙ্গে জোট গঠনের পর, কাদের সিদ্দিকীর ঐক্যফ্রন্টে এবং বি চৌধুরীর মহাজোটে যোগদান আলোচনায় ছিল৷ তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইয়িদ এবং গোলাম মাওলা রনি'র দল বদল আরো আলোচনার জন্ম দিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে৷ তবে এর মধ্যে দল বদলের খেলা নিয়ে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁরা সে বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন৷ ভোটের আগে দল বদলের পালায় শেষ নামটি পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, যিনি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন৷
প্রযোজক লস্কর নিয়াজ ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘এবারের নির্বাচনকে অলিম্পিকের আসর মনে হচ্ছে৷ খেলা শুরু হয়েছে জিমন্যাস্টিকস দিয়ে৷ প্রথম রাউন্ডে সব দলের খেলোয়াড়রা ডিগবাজি প্রদর্শণ করছে৷ যারা প্রথম রাউন্ডে নির্বাচিত হয় নাই, তাদের কেউ কেউ আবার কান্নাকাটি করছেন৷ এত বড় আসরে এরকম একটু-আধটু হয়৷ এর পরে শুরু হবে হাই জাম্প, লং জাম্প৷''
সাংবাদিক মাসুদ কামাল প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাগ্নে'র মনোনয়ন নিয়ে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘পটুয়াখালী-৩ আসনের বর্তমান এমপি খ ম জাহাঙ্গীর৷ ইনি একাধিকবার এমপি ছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক৷ কিন্তু এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি, পেয়েছেন এস এম শাহজাদা৷ কে এই শাহজাদা? আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের নেতা তিনি? তিনি কি বড় কোনো সমাজসেবক? না, এসবের কোনোটাই নয়৷ তার পরিচয় হচ্ছে, তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা'র ভাগ্নে! সিইসির ভাগ্নে পরিচয়টি শাহজাদার মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ছিল কিনা– সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করেছিল খ ম জাহাঙ্গীরকে৷ জবাবে তিনি বলেন, ‘এর বাইরে তার কোনো পরিচয় আছে বলে আমার জানা নেই৷' সিইসি মামা'র পরিচয়ের জোরে যদি মনোনয়ন পাওয়া যায়, তাহলে সেটা কি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতার জন্য কিছুটা হলেও ঝুঁকির কারণ হবে না?''
নির্বাচনে জয়ে ইশতাহারের ভূমিকা কতটুকু?
ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনি ইশতাহার সাধারণ ভোটারদের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে? এগারোজন ভোটারের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছিল ডয়চে ভেলে৷
ছবি: DW/M. Mamun
লিয়াকত আলী বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা
বাবুল স্বাধীনতার পর থেকে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে৷ তিনি কখনোই দলের কোনো নির্বাচনি ইশতাহার পড়ে দেখেননি৷ তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলেই তিনি আওয়ামী লীগকে ভোট দেন৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারায় সামনেও তিনি তাদেরই ভোট দেবেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
আহমেদ দিপু, শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে বের হওয়া আহমেদ দিপু আগে একবার ভোট দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচনে৷ সে সময় যে দলকে ভোট দিয়েছিলেন সেই দলের নির্বাচনি ইশতাহার কী, সেটা জানতেন না৷ পছন্দের দলকেই ভোট দিয়েছিলেন৷ আসন্ন ভোটেও তিনি যে দলকে ভোট দেবেন সে দলের ইশতাহার জানার খুব একটা আগ্রহ তাঁর নেই৷ সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েই রেখেছেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
নূরে আলম, চাকরিজীবী
বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন নূরে আলম৷ দশম জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজের ভোটই প্রয়োগ করতে পারেননি তিনি৷ তবে তিনি যে দলকে ভোট দেন সে দলের নির্বাচনি ইশতাহার জানার প্রয়োজন কখনোই তিনি মনে করেননি৷
ছবি: DW/M. Mamun
আব্দুল মান্নান, ব্যবসায়ী
আব্দুল মান্নান নির্বাচনি ইশতাহার দেখে কখনো ভোট দেন না৷ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বলে সারাজীবনই তাঁর দলকে ভোট দিতে চান তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
সাথী পাল
মানিকগঞ্জের সাথী পাল ভোটের ক্ষেত্রে দলের নির্বাচনি ইশতাহার দেখেন না কখনোই৷ তবে বিভিন্ন সরকারের কাজের মূল্যায়ন করে তিনি ভোটের সিদ্ধান্ত নেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
হুমায়ুন কবির, কৃষক
হুমায়ুন কবির এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তাতে কখনোই ইশতাহার প্রভাব ফেলেনি৷ এমনকি তিনি কখনো ইশতাহার জানতেও চাননি৷ পছন্দের দলকেই ভোট দিয়েছেন সবসময়৷
ছবি: DW/M. Mamun
আনোয়ার হোসেন, পোশাক শ্রমিক
তিনি ভোট দেন দল দেখে, নির্বাচনি ইশতাহার দেখে নয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
আব্দুর রশিদ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী
রশিদ নির্বাচনি ইশতাহার প্রার্থীদের মুখে শুনলেও তিনি তার প্রতিফলন খুব একটা দেখেননি কখনো৷ তাই ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে দল ও প্রার্থীই তাঁর কাছে মুখ্য৷
ছবি: DW/M. Mamun
প্রশান্ত বণিক, ব্যবসায়ী
প্রশান্ত বণিক কখনোই কোনো দলের নির্বাচনি ইশতাহার দেখেননি৷ শুরু থেকেই একটি নির্দিষ্ট দলের প্রার্থীকে ভোট দেন তিনি৷ দল ভালো করুক কিংবা খারাপ, ভোট সেই দলকেই দেন তিনি৷
ছবি: DW/M. Mamun
নজরুল ইসলাম
নজরুল ইসলামও ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে দলের নির্বাচনি ইশতাহার কখনও দেখেন না৷ পছন্দের দলই তাঁর কাছে মুখ্য বিষয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
জহির উদ্দীন, শিক্ষক
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান দু’টি দলের নির্বাচনি ইশতাহার পড়ে দেখেছিলেন স্কুল শিক্ষক জহির উদ্দীন৷ সে মোতাবেক ভোটও দিয়েছিলেন পছন্দের দলকে৷
ছবি: DW/M. Mamun
11 ছবি1 | 11
বাংলাভিশনের বার্তা প্রধান মোস্তফা ফিরোজ আওয়ামী লীগ নেতা নানককে মনোনয়ন না দেয়ার বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন, ‘‘নানক ভাই দলের মনোনয়ন না পাওয়ায়আমি দুঃখিত হয়েছি, কেননা, আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রনেতা ছিলেন৷ কাছ থেকে দেখেছি তাকে৷ সাবেক এই ছাত্রনেতার কাছ থেকে শেখার আছে দলীয় অন্য নেতা কর্মীদের৷'' এছাড়া গোলাম মাওলা রনি'র বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘আওয়ামী লীগ বলয়ের রাজনীতিকরা এতদিন যাচ্ছিলেন গণফোরামে, কিন্তু গোলাম মাওলা রনি কেন সরাসরি বিএনপিতে?''
গোলাম মাওলা রনির বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গেমাহমুদুল হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘দুইদিন আগে ‘গোলাম মাওলা রনি' তৃতীয় মাত্রায় তারেক জিয়াকে টিটকারি করে বললো ‘লাদেনের মতো গুহা থেকে দল চালায়', আজ সে বিএনপিতে যোগ দিলো শুধুমাত্র একটা এমপি পদের জন্য৷''
একই প্রসঙ্গে মনোয়ার রুবেল লিখেছেন, ‘‘গোলাম মাওলা রনি দীর্ঘদিন ধরে একটা সুযোগ ধরে রেখেছিলেন৷ তিনি কোনো রাখঢাক ছাড়াই জামায়াত নেতাদের প্রতি তার অনুরাগ লেখায় প্রকাশ করতেন৷ যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন, তবু বিএনপিতে যোগদান নিয়ে কিছু আওয়ামী লীগারের ক্রন্দনের কারণ বুঝলাম না৷''
আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদের ঐক্যফ্রন্টে যোগদান প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তেমন আলোচনা না হলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন সাইয়িদের গণফোরামে যোগদান নিয়ে কোনো ‘মাথাব্যথা নেই' তাঁদের৷
শামসুদ্দীন হীরা লিখেছেন, ‘‘অনেকের গ্রিন সিগনালও রেড হয়ে যায়! বি. চৌধুরী নৌকায়, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবদুল্লা আবু সাইয়িদ ঐক্যফ্রন্টে! গোলাম মাওলা রনি বিএনপিতে! আরো কত কি দেখবো খোদা!!''
কল্লোল মোস্তফা লিখেছেন রেজা কিবরিয়ার ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে, ‘‘সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হতে চান৷ তিনি হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে প্রার্থী হতে গণফোরামে যোগ দিয়েছেন৷ আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছেড়ে তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কেন হলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রেজা কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেছিন, আওয়ামী লীগ বিগত ১০ বছর ধরে যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে, তার সঙ্গে তিনি একমত নন৷ তাঁর আদর্শের সঙ্গে মিল নেই৷''
নৌকা আর ধানের শীষে আস্থা
নিজের দলের চাইতে বাংলাদেশে বহু রাজনীতিকরই আস্থা বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে৷ তাই বড় দুই দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে যেতে চান এসব দলের নেতারা৷ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতীকের কারবার দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters
৩৯-এ ২০
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দল৷ এর মধ্যে ২০টির সম্পর্ক আওয়ামী লীগ বা বিএনপির জোটে৷ এদের অনেকেই দল দু’টির প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়৷ কেউ কেউ জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলেও নিজের প্রতীকেই নির্বাচন করতে চায়৷ আবার কোনো কোনো দলের নেতাদের একটি অংশ নিজের দলের প্রতীকে ও অন্য অংশ বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
নৌকায় যারা
১৫ নভেম্বর ছিল কে কোন প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, তা নিশ্চিত করার শেষ দিন৷ সেদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সই করা চিঠিতে মোট ১৫টি দলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ এর মধ্যে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা আটটি৷
ছবি: Mustafiz Mamun
থাকছে ইনু-মেননের দল
হাসানুল হক ইনু বর্তমান আওয়ামী লীগের জোটের সরকারের মন্ত্রী৷ আগেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন৷ এবারও তাঁর দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নৌকায় নির্বাচন করবে৷ একই কথা প্রযোজ্য আরেক বামপন্থি নেতা রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টির ক্ষেত্রেও৷
ছবি: privat
আরো যারা
এছাড়া নৌকায় আরো যেসব দল নির্বাচন করবে তারা হলো, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির তরিকত ফেডারেশন, দীলিপ বড়ুয়ার সাম্যবাদী দল, আরশ আলীর গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি-জেপি৷
ছবি: bdnews24
লাঙল ও কুলা
জাতীয় পার্টি নিজস্ব প্রতীক লাঙল নিয়ে নির্বাচনে করবে৷ বিকল্পধারা নিজস্ব প্রতীক কুলায় নির্বাচন করতে চায়৷ তবে তারা কিছু আসনে নৌকাও চায় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ তাদের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টেরও মুক্তিজোট ও বিজেপি (মতিন) নামে দুটি নিবন্ধিত দল নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়৷ (ফাইল ছবি)
ছবি: picture-alliance/dpa
অনিবন্ধিত দলগুলো
আওয়ামী লীগের প্রতীকে যেসব অনিবন্ধিত দলের নেতা নির্বাচন করবেন সেগুলো হলো, গণ আজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাসদ, কৃষক শ্রমিক পার্টি ও তৃণমূল বিএনপি৷
ছবি: bdnews24.com
ধানের শীষে যারা
৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ১১টি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে বলে বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে৷ ১৫ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়৷
ছবি: Mustafiz Mamun
ঐক্যফ্রন্ট ধানের শীষে
ঐক্যফ্রন্ট জানিয়েছে যে, তারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে৷ ঐক্যফ্রন্টের নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের দল জেএসডি ও কাদের সিদ্দিকীর কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ৷ অনিবন্ধিত দল নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাও অংশ নেবেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে৷ সম্প্রতি জোটে যোগ দিয়েছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এমএস কিবরিয়ার পুত্র রেজা কিবরিয়া৷
ছবি: bdnews24.com
বিশ দলীয় জোটও আছে
বিএনপির জোটের নিবন্ধিত দল এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিশ, বিজেপি, জাগপা ও মুসলিম লীগ ধানের শীষে ভোট করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে৷ জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় তাদের নেতারাও তাকিয়ে আছে বিএনপির দিকে৷
ছবি: bdnews24.com
দ্বি-দলীয় রাজনীতি
নিবন্ধিত ৩৯টি দলের মধ্যে সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ প্রায় অর্ধেক নিজের প্রতীকে অংশ নেবে নির্বাচনে৷ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক জাতীয় দৈনিককে বলেছেন, ‘‘দ্বিদলীয় ব্যবস্থা গড়ে ওঠার পেছনে অন্যতম একটি কারণ বাম দলগুলোর ব্যর্থতা৷ এছাড়া দুর্বৃত্ত ও কালো টাকার মালিকরা নির্বাচনে আসে দুই দলের হয়ে৷ তারাই জয়ী হয়৷ এখানে নীতি-আদর্শ বলে কিছু নেই৷’’
ছবি: bdnews24.com
10 ছবি1 | 10
তবে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার সময় রেজা কিবরিয়া আরো বলেছেন, তিনি মনে করেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবেন কামাল হোসেন এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে আদর্শের বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন তিনি৷
নিজের বাবার দলআওয়ামী লীগেযোগ না দিয়ে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বাবার মতো তিনিও দলের চেয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করতে চান৷
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে শাহ এ এম এস কিবরিয়া গ্রেনেড হামলায় নিহত হন৷ সেই হত্যাকাণ্ডের আসামি বিএনপির নেতা-কর্মীরা৷ ঐক্যফ্রন্টও এবার বিএনপির মার্কা ধানের শীষ নিয়েই লড়বে৷ বাবার খুনিদের প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে রেজা কিবরিয়া বলেছেন, ‘‘খুনিরা কোনো দলের হয় না৷'' বাবার হত্যার জন্য কোনো দলকে দায়ী করতে চান না জানিয়ে খুনি সন্ত্রাসীদের বিচারও চেয়েছেন রেজা কিবরিয়া৷ সেই সময় আক্ষেপ করে তিনি আরো বলেন, তাঁর বাবার হত্যার বিচার করার দায়িত্ব ছিল সরকারের, কিন্তু বিএনপি দুই বছরও আওয়ামী লীগ ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও বিচার করেনি৷