ভারতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ এই বাজেটকে কীভাবে দেখছে সাধারণ মানুষ? ভারতকে বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে বর্তমান বাজেট কি ইতিবাচক হবে?
বিজ্ঞাপন
সোমবার সংসদে পেশ করা চলতি বছরের বাজেটে পাখির চোখ করা হয়েছে কৃষি ও গ্রামীণ বিকাশকে৷ গরিব শ্রেণির সুযোগ-সুবিধাকে সবথেকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে ভারতে৷ কৃষি বিমা, গ্রামে রান্নার গ্যাস সরবরাহ, ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকারের কৃতসংকল্পতার কথা তুলে ধরা হয়েছে বাজেটে৷ কৃষিজীবী এবং নিম্নবিত্তদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রেকর্ড পরিমাণ অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে৷ গ্রামীণ বিকাশে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮৮ হাজার কোটি টাকা৷ বলা হয়েছে, গ্রামের রাস্তাঘাট এবং অন্যান্য পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য ব্যয় করা হবে ১৯ হাজার কোটি টাকা৷
ভারতের মঙ্গল অভিযান উদযাপন
এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গল অভিযানে সফল হয়েছে ভারত৷ ৩০০ দিন আগে শুরু হয়েছিল এই অভিযান৷ এরপর ২৪শে সেপ্টেম্বর প্রথম চেষ্টাতেই মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযান পৌঁছানোর খবরে আনন্দে নেচে ওঠে ভারত৷ এ নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Indian Space Research Organisation
খুশির জোয়ার
কর্নাটকের শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভি রকেটে চড়ে ২০১৩ সালের ৬ই নভেম্বর শুরু হয়েছিল মঙ্গলযানের যাত্রা৷ বুধবার ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে আসে সুখবর৷ মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে মঙ্গলযান মার্স অরবিটার মিশন, সংক্ষেপে ‘মম’৷ টেলিভিশনে এ দৃশ্য দেখে ভারতীয়রা আনন্দে ফেটে পড়েন৷ ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরাও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি৷
ছবি: Reuters/Abhishek N. Chinnappa
বিজয় উদযাপন
ঐতিহাসিক এই সাফল্যের মুহূর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ছিলেন ইসরো-তে৷ মহাকাশ বিজ্ঞানীদের এনে দেয়া এ সাফল্যকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘এ অর্জন ভারতের সব নাগরিকের৷ আমরা অজানার দেশে পৌঁছানোর সাহস দেখিয়েছি এবং অবশেষে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছি৷’’
ছবি: Reuters/India's Press Information Bureau
উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ
‘মঙ্গলযান’ আগামী ছয় মাস মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া ও পরিবেশ পরীক্ষা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা, দেখবেন কোনো জীবের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক মিথেন গ্যাস সেখানে আদৌ আছে কিনা৷ ভারত এখন মঙ্গল এবং চাঁদে আরো অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে৷ পরবর্তী অভিযানটি ২০১৮ সালে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: AFP/Getty Images/Manjunath Kiran
যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনও পেছনে...
মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের এই সাফল্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া আর চীনের মতো দেশগুলোর জন্যও বিশেষ বার্তা৷ এ পর্যন্ত মঙ্গল অভিযানের চেষ্টা হয়েছে ৫১ বার, সফল হয়েছে মাত্র ২১টি প্রয়াস৷ ভারত সেখানে প্রথম চেষ্টাতেই সফল৷ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক সংস্থা নাসা-ও টুইটারে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-কে অভিনন্দন জানিয়েছে৷
ছবি: Twitter
কম খরচে সেরা সাফল্য
সবচেয়ে কম খরচে সফলভাবে মঙ্গল অভিযান শুরু করল ভারত৷ ‘ম্যাভেন’ মহাকাশযান পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ৬৭০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল, সেখানে মঙ্গলযানের পেছনে ভারতের খরচ মাত্র ৭৪ মিলিয়ন ডলার!
ছবি: picture-alliance/dpa/Indian Space Research Organisation
ক্ষমতার খেলায় বড় অগ্রগতি
চীন আর জাপানের মঙ্গল অভিযান এখনো পর্যন্ত ব্যর্থ৷ ভারতের সাফল্য তাদের জন্য এক ধরণের ধাক্কা৷ ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রাজেশ্বরী পিল্লাই রাজগোপালন মনে করেন, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যেসব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা চলছে, তার মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞানের স্থান নিঃসন্দেহে ওপরের দিকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সমালোচনা এবং জবাব
ভারতের মতো দেশ, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত, সেখানে মঙ্গল অভিযান কতটা প্রয়োজন? কোনো কোনো সমালোচক এভাবে ভারতের অর্জনকে ছোট করতে চাইলেও, বিশ্লেষকদের মতে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির এ যুগে এই সাফল্য যে কোনো বিবেচনাতেই খুব বড় অর্জন৷ এ সাফল্য ভবিষ্যতে দারিদ্র্যসহ ভারতের অন্য অনেক সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করেন তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Indian Space Research Organisation
7 ছবি1 | 7
কর কাঠামো অপরিবর্তিত থাকায় কিছুটা হতাশ মধ্যবিত্ত শ্রেণি, বিশেষ করে যাঁরা ব্যক্তিগত আয়করে ছাড়ের আশা করেছিলেন৷ তবে মন্দের ভালো যেসব আয়করদাতাদের নিজের বাড়ি নেই, তাঁরা এবং গৃহঋণ নিয়ে যাঁরা বাড়ি কিনবেন, তাঁদের কিছুটা আয়কর ছাড় দেবার কথা বলা হয়েছে৷ সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এবারের বাজেটে সরকার আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটেননি, শিল্পমহলের যেটা প্রত্যাশা ছিল৷ এক কথায় শিল্পক্ষেত্রকে উপেক্ষা করা হয়েছে৷ তাই সাধারণ মানুষের ধারণা, খুব শীঘ্রই ভারতের পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, যার মধ্যে উত্তর প্রদেশ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷ সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত মোদী সরকার কৃষি দরদী ভাবমূর্তি সামনে রাখতে চাইছেন৷
বর্তমান বাজেট ভারতকে বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হবে কি? প্রশ্নটা করা হয় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রতন খাসনবিশকে৷ ডয়চে ভেলেকে এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘‘ভারত এমন একটা দেশ, যে বিশ্বের প্রতিকূল অর্থনৈতিক আবহাওয়া সত্ত্বেও বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৭.৬ শতাংশে ধরে রাখতে পেরেছে, যেখানে রাশিয়া বা ব্রাজলের মতো দেশে নেতিবাচক হার৷ এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে ভারতের যেটা করা দরকার সেটা হলো, নিজস্ব অর্নীতিকে আরও সুসংহত করা, যাতে ভারতের এই প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকে৷ আগেকার নীতি প্রণেতাদের অভিমত ছিল, সংস্কারের মাধ্যমে বিদেশি পুঁজি এনে দেশের বিকাশ ঘটানো৷ মোদী সরকারের চলতি বাজেট সেই পথে যাননি এবং এটাই সঠিক পথ৷ চলতি বাজেটে তাই আর্থিক সংস্কারের কথা নেই৷ তার পরিবর্তে জোর দেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সুসংহত করে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর, ডয়চে ভেলেকে বলেন অর্থনীতিবিদ অদ্যাপক রতন খাসনবিশ৷
এশিয়ার কোটিপতিরা কোন দেশের?
এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে জাপানেই কোটিপতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, বলছে একটি নতুন রিপোর্ট৷
ছবি: PHILIPPE LOPEZ/AFP/Getty Images
জাপান
নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েল্থ-এর নতুন রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার মধ্যে জাপানেই কোটিপতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি – প্রায় ১৩ লাখ৷ দেশটিতে একক ব্যক্তিদের মোট ধনসম্পত্তির পরিমাণ ১৫ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা কিনা এ অঞ্চলে দ্বিতীয়৷ অপরদিকে জাপানে বিত্ত ও ধনসম্পদ অন্য অনেক দেশের চেয়ে সুষমভাবে বণ্টিত: এ দেশে মিলিওনেয়ার অনেক, কিন্তু মাল্টি-মিলিওনেয়ার ও বিলিওনেয়ারদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Nogi
চীন
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পাওয়া যাবে ৬ লাখ ৫৪ হাজার মিলিওনেয়ার – অর্থাৎ মিলিওনেয়ারের হিসেবে জাপানের পরেই চীনের স্থান৷ একক ব্যক্তিদের সম্পদের ক্ষেত্রে চীন সর্বপ্রথম: ১৭ দশমিক ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার৷ অথচ চীনে মাথাপিছু সম্পদ হলো মাত্র ১২ হাজার ৮০০ ডলার, যা কিনা এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে সপ্তম৷
ছবি: imago/CTK Photo
অস্ট্রেলিয়া
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মিলিওনেয়ারদের সংখ্যার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া হলো তৃতীয়: এখানে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার মিলিওনেয়ারের বাস৷ তবে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের মাথাপিছু সম্পদ হলো ২০৪,৪০০ ডলার, যা কিনা অঞ্চলের অন্য সব ধনি দেশের থেকে বেশি৷ রিপোর্ট বলছে, অস্ট্রেলিয়ায় জমিজমার দাম এর একটা কারণ হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/empics
ভারত
ভারতে মিলিওনেয়ারদের সংখ্যা ২ লাখ ৩৬ হাজার হওয়া সত্ত্বেও মাথাপিছু সম্পদের ক্ষেত্রে ভারতকে তালিকার নীচের দিকে পাওয়া যাবে৷ একমাত্র ভিয়েতনাম আর পাকিস্তানে মাথাপিছু সম্পদ ভারতের চেয়ে কম৷
ছবি: picture alliance/Robert Harding World Imagery
সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা মাত্র ৫০ লাখ, কিন্তু মিলিওনেয়ারের সংখ্যা ২ লাখ ২৪ হাজার, অর্থাৎ ভারতের চেয়ে মাত্র ১২ হাজার কম৷ কাজেই মাথাপিছু সম্পদের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর যে অস্ট্রেলিয়ার পরেই দ্বিতীয়, তা-তে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৷ সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু সম্পদ হল ১,৫৮,৩০০ ডলার৷
ছবি: Fotolia/asab974
হংকং (চীনের বিশেষ প্রশাসন এলাকা)
এশিয়ার আর্থিক কেন্দ্রবিন্দু হংকংয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার মিলিওনেয়ারের বাস, কিন্তু এখানে মাল্টি-মিলিওনেয়ারদের সংখ্যা ৯,৫৬০, যা কিনা চীন, জাপান ও ভারতের ঠিক পরেই৷ ২০১৫ সালে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বিলাসী পণ্যের বাজার এই হংকংয়েই ছিল সবচেয়ে বড়৷ এইটুকু একটা শহরে বছরে প্রায় দু’হাজার কোটি ডলারের পণ্য বিক্রয় সত্যিই চমকে দেবার মতো৷
ছবি: A.Ogle/AFP/Getty Images
দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ায় মিলিওনেয়ারদের সংখ্যা এক লাখ ২৫ হাজার, যা কিনা সিঙ্গাপুর বা হংকং-এর চেয়ে কম৷ আগামী দশ বছরে এই সংখ্যা ৫৫ শতাংশ বাড়বে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েল্থ-এর রিপোর্ট৷
ছবি: Fotolia/Chee-Onn Leong
তাইওয়ান
দ্বীপটিতে ৯৮,২০০ মিলিওনেয়ারের বাস৷ ২০০০ সাল যাবৎ এই সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ৭৫ শতাংশ, যা কিনা অঞ্চলের অন্যান্য উত্থানশীল দেশের তুলনায় কিছুই নয়৷ এমনকি গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা দশ শতাংশ কমেছে! গত বছর তাইওয়ানে মিলিওনেয়ারদের সংখ্যা ছিল ১০৯,১০০৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা ৪৫ লাখ, কিন্তু মিলিওনেয়ারের সংখ্যা ৮৯ হাজার৷ মাথাপিছু সম্পদের ক্ষেত্রেও নিউজিল্যান্ডের স্থান অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের পর তৃতীয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Bradley
ইন্দোনেশিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র দেশ, যা এই ধনপতিদের তালিকায় স্থান পেয়েছে৷ ২০১৫ সালের শেষে ইন্দোনেশিয়ায় মিলিওনেয়ারদের সংখ্যা ছিল ৪৮,৫০০, যা কিনা ২০০০ সালের তুলনায় পাঁচগুণ৷ ভারত কিংবা চীনেও মিলিওনেয়ারদের সংখ্যা এত দ্রুত হারে বাড়ছে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Gacad
10 ছবি1 | 10
বাজেটে ২ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা সরকারি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে৷ কথা হচ্ছে, এত টাকা আসবে কোথা থেকে? দেখা গেছে জীবনবিমার মতো আর্থিক সংস্থাগুলির হাতে সেই টাকা মজুত আছে এবং সরকার নিজস্ব উদ্যোগে সেই টাকা অভ্যন্তরীণ বাজারে লগ্নি করবে পরিকাঠামো ইত্যাদির মতো ক্ষেত্রে৷ ফলে মানুষের হাতে টাকা আসবে৷ টাকা আসলে চাহিদা বাড়বে আর চাহিদা বাড়লে দেশের শিল্পমহল প্রসারিত হবে৷ শুধু বিদেশি পুঁজির দিকে তাকিয়ে বসে থাকলে চলবে না৷ নিজের পায়ে দাড়াঁতে পারলে গোটা বিশ্বের কাছে যাবে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ভারতের সদর্থক বার্তা৷ আর তারই প্রতিফলন রয়েছে এই বাজেটে, বলেন অধ্যাপক খাসনবিশ৷