ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার নয় মাসের অলিভিয়া হামাগুড়ি দিয়ে ১৩ সেকেন্ডে পাঁচ মিটার পথ পাড়ি দিয়েছে৷ এভাবে সে এবার দেশটির দ্রুততম শিশুর খেতাব জিতে নিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
সাধারণত প্রতিবছর বাস্কেটবল ম্যাচের বিরতিতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে৷ তবে এবার লকডাউনের কারণে অনলাইনে তার আয়োজন করতে হয়েছে৷ ফেসবুকে তা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে৷
ছয় মাস থেকে একবছর বয়সি মোট ১৩টি শিশু এবার নিজেদের বাসায় থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে৷ ঘুম পাওয়ায় ১৪তম শিশুটির অংশ নেয়া সম্ভব হয়নি৷
এত কমবয়সি শিশুরা কীভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিলো? অলিভিয়ার মা আনা জানালেন, ‘‘অলিভিয়াতো আর বুঝতে পারেনি যে, এটা একটা প্রতিযোগিতা৷ আমরা শুধু পাঁচ মিটার দূরত্বের শেষে আমাদের পোষাপ্রাণীর খাবার পাত্রটি রেখে দিয়েছিলাম, যা ওর (অলিভিয়া) সবচেয়ে প্রিয়৷ ওর খেলনার দরকার নেই৷’’
অন্য বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রিয় খেলনা, মায়ের আদর কিংবা খোলা ডিশওয়াশারের লোভ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে৷
শিশুদের এই বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজক রাইতাস ভিলনিয়ুস বাস্কেটবল ক্লাবের মার্কেটিং প্রধান লরেতা স্টাকাউসকাইতে বলছেন, ‘‘আমরা প্রতিবছর বাস্কেটবল ম্যাচের বিরতিতে দর্শকদের বিনোদন দিতে এর আয়োজন করে থাকি৷ কিন্তু এবার করোনা মহামারির কারণে ম্য্যাচ বাতিল করতে হয়েছে৷ তবে ক্ষুদে সমর্থকদের হতাশ না করতে এবার অনলাইনে তার আয়োজন করেছি৷’’
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)
৫ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...
আতঙ্কের পৃথিবীতে নবজীবনের আনন্দ
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে জীবন প্রায় স্থবির, হাসি-আনন্দহীন। এর মাঝেই দেশে দেশে, ঘরে ঘরে আসছে নতুন মুখ, নবজাতককে ঘিরে জীবনে ফিরছে প্রাণচাঞ্চল্য।
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha
মায়ের কোলে প্লাটন
লক ডাউনোর সময় কোলে আসবে প্রথম সন্তান। বাবা-মা কাছে নেই। মস্কোয় খুব অসহায় লাগছিলো এভগেনিয়া দানিগেভিচের। ৪ মে সদ্য জন্ম নেওয়া ছেলে প্লাটনকে কোলে পেয়ে ভুলে গেলেন সব।
ছবি: Reuters/E. Novozhenina
বোনের খুশি
ভিয়েতনামও লড়ছে করোনা ভইরাসের সঙ্গে। সে লড়াইয়ে এশিয়ার দেশটি এখনো বেশ সফল। ভাইরাসকে রুখতে নিয়মে বাঁধা জীবন মেনে নিয়েছে সবাই। পুঁচকে ভাই ফুক আন- এর মুখ দেখার সময়ও তাই মাস্ক পরতে ভোলেনি হা লিনিন।
ছবি: Reuters/Kham
নিরাপদ আশ্রয়ে ঘুমন্ত শিশু
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে মায়ের কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে এক নবজাতক।
ছবি: Reuters/Y. Herman
মা ইরাকে, সন্তান ইরানে
নানা ধরনের শারীরিক জটিলতার কারণে স্বাভাবিক সময়ের দু মাস আগে সন্তান জন্ম দিয়েছেন রফিকা ইব্রাহিম। স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে ইরাকের বসরা থকে ইরানের আহবাজ শহরের এক হাসপাতালে যেতে হয়োছিল তাকে। সেখানেই জন্ম নেয় সেইফ। ডাক্তারদের পরামর্শে সন্তানকে রেখেই বাড়ি ফেরেন রফিকা। তারপর থেকে দু'দেশের সীমান্ত বন্ধ। ভিডিওতে সন্তানের মুখ দেখেই দিন যায় রফিকার।
ছবি: Reuters/M. Aty
মায়ের চোখে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে শিগগিরই প্রথম সন্তানের জননী হবেন স্টেফানি বাওয়ার্স। করোনা সংকটের কারণে তার চোখে-মুখে শুধু দুশ্চিন্তা।
ছবি: Reuters/P. Noble
হাশিমের অসীম আনন্দ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের স্বাস্থ্যকর্মী হাসিম।করোনায় সংক্রমিতদের জীবন বাঁচাতে দিনের পর দিন হাসপাতালে থাকতে হয় তাকে। এরই মাঝে জীবনে এসেছে প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার আনন্দ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাচের ওপার থেকে সেই আনন্দ উপভোগ করছেন হাশিম।
ছবি: Reuters/J. Malone
সুখী পরিবার
সদ্যোজাত সন্তানের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের এক দম্পতি।
ছবি: Reuters/D. Balibouse
করোনা কালে নবজাতকের নিরাপত্তা
ব্যাংককের হাসপাতলে একটু আগে জন্ম নিয়েছে দুই শিশু। করোনার কবল থেকে বাঁচাতে 'নিরাপত্তাবেষ্টনী'তে ঘিরে রাখা হয়েছে তাদের।
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha
দেখো! দেখো!
নুরিয়ার কাছে প্রতিবেশীদের আবদার, " ব্যালকনিতে এসে বাচ্চাটাকে দেখাও একবার।"
স্পেনের রোন্দা শহরের এই মা তাই সপরিবারে হাজির ব্যালকনিতে!
ছবি: Reuters/J. Nazca
মামা-ভাগ্নির দেখা
বৃটেনের স্ট্রেথামে বোনের বাড়িতে এসেছেন এক ভাই। জানালা দিয়েই দেখে নিচ্ছেন পুঁচকে ভাগ্নিকে
ছবি: Reuters/H. McKay
মা হেঁটে হেঁটে জীবনের ওপারে
লকডাউনের কারণে শহরে কোনো গাড়ি চলছে না।বিশেষ অনুমতি ছাড়া পাওয়াও যাবে না গাড়ি। প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় উগান্ডার কাম্পালা শহরের অন্য প্রান্তের এক হাসপাতালের দিকে হাঁটতে শুরু করেছিলেন স্কোভিয়া। গর্ভের সন্তান মারা যায় পথেই। হাসপাতালে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর স্কোভিয়াও মারা যান। তার ছবি দেখিয়ে সেই কাহিনি শোনায় পরিবার।