উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যর্থ পরীক্ষা?
১৬ মার্চ ২০২২চলতি বছরে এটি উত্তর কোরিয়ার দশম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা৷ বিশ্লেষকদের ধারণা, এটি সম্ভবত পিয়ংইয়ংয়ের তথাকথিত ‘দানব ক্ষেপণাস্ত্রের' একটি৷
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আশঙ্কা, পরমাণু অস্ত্রধারী দেশটি ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো পূর্ণ পরিসরে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম উৎক্ষেপণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন৷ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা জানুয়ারিতে ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে৷ এর মধ্যে একটি ‘পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট' বলে দাবি করেছে তারা৷
বুধবার সকালে পিয়ংইয়ং থেকে খানিকটা দূরের সুনান বিমানবন্দর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয়েছিল বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী৷ তাদের ধারণা, ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়ার পরপরই আকাশে বিস্ফোরিত হয়৷
এদিকে, মার্কিন সেনাবাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে এই পরীক্ষার নিন্দা জানালেও উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করেনি৷ এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই ঘটনার নিন্দা জানালেও এটি ব্যর্থ হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন৷
সৌলের এনকে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীর নাম উল্লেখ না করে একটি ছবিও প্রকাশ করেছে তারা৷
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরীক্ষা সফল হলে এমন জনবহুল এলাকায় অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটতো৷ সাম্প্রতিক উৎক্ষেপণগুলোর বেশিরভাগই ঘটেছে সুনান বিমানবন্দর থেকে৷ সৌল এবং ওয়াশিংটনের ধারণা, উত্তর কোরিয়া একটি নতুন আইসিবিএম সিস্টেমের পরীক্ষা চালাচ্ছে৷
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
চলতি বছর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া৷ মার্চের ৫ তারিখে বছরের নবম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল, যার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান৷ ২০২০ সালের সামরিক প্যারেডে প্রথম নতুন আইসিবিএম (দ্য হুয়াসং-১৭) প্রদর্শন করেছিল উত্তর কোরিয়া৷ এরপর ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল এটি৷
২০১৭ সালের পর উত্তর কোরিয়া আইসিবিএম বা কোনো পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায়নি৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরমাণু আলোচনা স্থগিতের কারণে হয়ত তারা এই পরীক্ষা আবারো শুরু করতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
এপিবি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)