ভারতের বিজেপি সরকারের প্রথম বাজেটে অস্বাভাবিক হারে কর-বৃদ্ধি হয়েছে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের ওপর৷ কিন্তু তার ফলে কি নিরস্ত হবে কলকাতা শহর?
বিজ্ঞাপন
ভারতের সবথেকে বেশি ধূমপায়ী কোন শহরে? সাম্প্রতিক অনুসন্ধান রিপোর্ট বলছে, পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রধান শহর কলকাতা হচ্ছে ধূমপায়ীদের স্বর্গ৷ সারা দেশের মধ্যে কলকাতা শহরেই সবথেকে বেশি পুরুষ এবং মহিলা ধূমপানে আসক্ত৷ সর্বশেষ যে জনমত সমীক্ষা হয়েছিল এ নিয়ে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতার মতদাতাদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই নিয়মিত ধূমপান করেন, যেখানে সারা দেশে ধূমপায়ীদের গড় হার হলো সমীক্ষায় মতদাতাদের ৪৩ শতাংশ৷ এই সমীক্ষায় তাঁদেরকেই ধূমপায়ী ধরা হয়েছিল, যাঁরা দিনে ১০টি বা তার বেশি সিগারেট খান৷ অর্থাৎ “ক্যাজুয়াল স্মোকার” যাঁরা, তাঁদের সমীক্ষার হিসেবে ধরা হয়নি৷ যার অর্থ, কলকাতা শহরে ধূমপায়ীদের প্রকৃত সংখ্যাটা নিশ্চিতভাবে আরও বেশি৷
আরও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে ওই সমীক্ষা থেকে, যেগুলো বেশ অস্বস্তিকর৷ যেমন এই শহরের যে ধূমপায়ীদের মধ্যে সমীক্ষা হয়েছিল, তাঁদের ৯৩ শতাংশই বলেছেন যে তাঁরা খুব ভালভাবেই জানেন, সিগারেট খেলে ক্যানসার হতে পারে! এ ব্যাপারে লোককে সচেতন করতে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ক্যানসারে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস বা মুখের ঘা-এর ছবি দেওয়া হলেও, কলকাতা শহরের ধূমপায়ীদের যে নিরস্ত করা যায় না, তার প্রমাণ, ৯৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা ধূমপান ছাড়ার কোনও চেষ্টাই কখনও করেননি৷ ৫০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন ধূমপান ছাড়া তাঁদের পক্ষে থাকা অসম্ভব৷
এই পরিস্থিতিতে সিগারেটের দাম প্রায় দ্বিগুণ হতে চলেছে৷ এতে অবশ্য ধূমপায়ীরা যত না উদ্বিগ্ন, তার থেকে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন খুচরো সিগারেট বিক্রেতা ও স্টকিস্টরা, যেহেতু একমাত্র তাঁরাই কিছুটা আঁচ করতে পারছেন কী হতে চলেছে৷ দক্ষিণ কলকাতার এক ছোট সিগারেটের দোকানদার হেমন্ত জানা বিমর্ষ মুখে বললেন, তাঁর মনে হচ্ছে ব্যবসা তুলেই দিতে হবে, কারণ এখন যে সিগারেটের প্যাকেটের দাম ১০ টাকা, সেটা নাকি বেড়ে ৬০-৭০ টাকা হতে পারে বলে তাঁরা শুনেছেন৷ দামটা বেশি বাড়বে ছোট মাপের সিগারেটেরই, যেটা আমজনতা কিনে থাকে৷ আর আকারে বড় কিং সাইজ সিগারেটের দাম বাড়তে চলেছে প্রায় দ্বিগুণ, বললেন পার্ক সার্কাস অঞ্চলের সিগারেট স্টকিস্ট মহম্মদ আসলাম৷ জানালেন, জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার কারণে সিগারেটের দাম বাড়িয়েছে সরকার, এতে আপত্তির কিছু নেই৷ কিন্তু এমন অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ালে বহু মানুষের রুটি-রুজিতে টান পড়বে৷
‘ধূমপান বর্জন করুন, ক্যানসারকে দূরে রাখুন’
ফুসফুসের ক্যানসার রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯০ জনই ধূমপায়ী
ছবি: Fotolia/Fotowerk
ধূমপান – বিষপান
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সে কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা৷ তবে ধূমপান স্বাস্থ্যের ঠিক কতটা ক্ষতি করে, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই৷ জার্মানির ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ধূমপান করার কারণেই বছরে ১ লাখ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়৷ আর বছরে ৩,৩০০ জন মারা যায় ধূপায়ীদের কাছাকাছি থেকে সিগারেটের ধোঁয়া গ্রহণ করার কারণে৷
ছবি: AP
ফুসফুসের ক্যানসার
ধূমপান শরীরের যে কোনো অঙ্গেরই ক্ষতি করে, তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ফুসফুস এবং হার্ট বা হৃদযন্ত্রের৷ ফুসফুসের ক্যানসার রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯০ জনই ধূমপায়ী৷
একদিনে দুই কোটিরও বেশি সিগারেট
জার্মানিতে মানুষ দিনে প্রায় আড়াই কোটি সিগারেট খায়৷ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ২৫ জন নিয়মিত ধূমপান করেন, মাঝে মাঝে করেন শতকরা চারজন৷ তার মধ্যে শতকরা ৩৫ জন পুরুষ এবং ২২ জন নারী৷ জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি ধূমপান করেন কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ ক্ষেত্রের শ্রমিক, বাস বা ট্রাক চালক৷ আর সবচেয়ে কম ধূপায়ীদের মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, ফার্মেসি কর্মী এবং শিক্ষক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মহিলা ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে
গত ২০ থেকে ৩০ বছরে জার্মানিতে মহিলাদের মধ্যে ধূমপান করার প্রবণতা অনেক বেড়েছে৷ জার্মানিতে মহিলাদের গড় আয়ু পুরুষদের চেয়ে বেশি৷ তবে এখন মহিলারা যেভাবে ধূমপান করেন, তা অব্যাহত থাকলে শীঘ্রই মহিলাদের গড় আয়ু পুরুষদের সমান হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
ছবি: Picture-Alliance/KEYSTONE
সিগারেটের বিজ্ঞাপন অনেকটা দায়ী
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ধূমপান উপভোগ করার চেয়ে স্মার্টনেস দেখানোই যেন বড় কথা৷ তবে সিগারেটের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনই এদের ধূমপান করতে প্রভাবিত করে থাকে৷ সুখের কথা, জার্মানিতে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সম্মিলিত প্রচেষ্টা
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়, তবে চেষ্টা করলে পারা যায়৷এর জন্য রয়েছে নানা ওষুধপত্র,গ্রুপ থেরাপি৷মনোবিজ্ঞানী, গবেষক এবং কেমনিৎস শহরের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধূমপান বিরোধী কেন্দ্রের প্রধান প্রোফেসার স্টেফান ম্যুলিশ বলেন, ধূমপান ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা পর থেকেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমতে শুরু করে৷তিনি একটি গ্রুপ থোরাপিও পরিচালনা করেন৷তাঁর মতে, ‘একা চেষ্টার চেয়ে গ্রুপের মাধ্যমে ধূমপান ছাড়ার চেষ্টায় সফলতা বেশি’৷
ছবি: Privat
ঘরের বাইরে ধূমপান
বেশ কয়েক বছর থেকে জার্মানিতে বিভিন্ন জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বা অফিস-আদালতের মতো ডয়চে ভেলেতেও অফিস ঘরে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ৷ তবে ঘরের বাইরে, অর্থাৎ বারান্দায় প্রায়ই কর্মীদের ধূমপান করতে দেখা যায়, এমনকি বাইরের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি হলেও৷
ছবি: picture-alliance/Coleman/Photoshot.
প্রোফেসর ড. এলিজাবেথ পট
‘ধূমপায়ীরা মাত্র কয়েক সপ্তাহ ধূমপান থেকে বিরত থাকুন৷ নিজেরাই বুঝতে পারবেন যে আপনাদের ফুসফুস আরো ভালোভাবে কাজ করছে’৷ একথা বলেছেন প্রোফেসর ড. এলিজাবেথ পট, যিনি ১৯৮৬ সাল থেকে জার্মানির স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় দফতরের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন৷
ছবি: dapd
শেষ কথা
মানুষ তার আয়ু নিজেই নির্ধারণ করতে পারেনা তা ঠিক, তবে ধূমপান করে ইচ্ছে করে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবারও কোনো যুক্তি নেই৷ শুধু তাই নয়, যারা ধূপায়ীদের আশেপাশে থাকে তারা আক্রান্ত হয় স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যায়৷ আর সন্তানসম্ভবা মায়েরা ধূমপানের সময় ভাবুন তাদের অনাগত শিশুর স্বাস্থ্যের কথা৷ এমনটাই বলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Fotolia/Fotowerk
9 ছবি1 | 9
আর ধূমপায়ীরা কী ভাবছেন? অনেকেই ভাবছেন ধূমপান ছেড়ে দেবেন, কারণ বাজেট সুপারিশ কার্যকর হলে, বর্ধিত কর যুক্ত হয়ে এক প্যাকেট সিগারেটের যা দাম হবে, তা টাকা পুড়িয়ে নষ্ট করারই সামিল৷ পেশায় আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য একটা সময় দিনে চার-পাঁচ প্যাকেট সিগারেট খেতেন৷ মানে ৮০ থেকে ১০০টা সিগারেট! শারীরিক কারণে এবং ডাক্তারের নিষেধে আর পরিবারের তাড়নায় তিনি এখন আর ধূমপান করেন না৷ সন্দীপ বলছেন, “আগেই সিগারেট ছেড়ে ভাল হয়েছে৷ আমার ব্র্যান্ডের সিগারেটের এক প্যাকেটের দাম এবার অন্ততপক্ষে আড়াইশো টাকা হবে, যেটা আমার সামর্থ্যের বাইরে৷ আমি সিগারেট খাওয়ার মতো বড়লোক নই”, হাসতে হাসতে বললেন সন্দীপ৷
ই-সিগারেট বিতর্ক
ধোঁয়া আছে, কিন্তু আগুন নেই৷ আর হ্যাঁ, সিগারেটের মতো দুর্গন্ধও নেই ই-সিগারেটে৷ তাই বলে সত্যিই কি ইলেকট্রনিক সিগারেট একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হয়ে উঠতে পেরেছে? দেখুন আমাদের গ্যালারি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ধূম্রকুণ্ডলি
১৯৬৩ সালে হার্বার্ট এ গিলবার্ট নামের এক ব্যক্তি ‘ধোঁয়াহীন তামাকমুক্ত সিগারেট’ নামে একটি ডিভাইসের পেটেন্ট নিলেও সেটি কখনো বাজারে আসেনি৷ আর যাঁকে আজকের ই-সিগারেটের উদ্ভাবক বলা হয়, তিনি চীনা ফার্মাসিস্ট হন লিক৷ যতো দিন যাচ্ছে, এর জনপ্রিয়তাও ততো বাড়ছে৷ ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে ৫০ হাজার ই-সিগারেট বিক্রি হয়েছে, সেখানে ২০১২ সালে বিক্রি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখে৷
ছবি: Getty Images
বাষ্প এবং ব্যাটারি
প্রায় সব ই-সিগারেটের তিনটি অংশ থাকে৷ একদম সামনে থাকে একটি এলইডি লাইট, তার পাশেই ব্যাটারি, যেটি ইউএসবি কানেকটরের মাধ্যমে চার্জ করা যায়৷ এর সঙ্গেই থাকে নিকোটিনের দ্রবণ ও বাষ্প তৈরির যন্ত্র, যাকে বলা হয় অটোমাইজার৷ শেষে থাকে কার্টিজ৷ ব্যাটারির সহায়তায় ওই দ্রবণ বাষ্পে পরিণত হলে কার্টিজে ঠোঁট লাগিয়ে সিগারেটের মতো টেনে নেয়া যায়৷
জীবনের ঘ্রাণ
ই-সিগারেটের বিভিন্ন ধরনের দ্রবণের মধ্যে টোব্যাকো ও টোব্যাকো মেনথল ফ্লেভারই সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ এছাড়া স্ট্রবেরি বা আপেল ফ্লেভারের দ্রবণও পাওয়া যায়৷ নিকোটিন কতোটা শক্তিশালী হবে – তার ওপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা মাত্রার দ্রবণ বেছে নিতে পারেন একজন ধূমপায়ী৷ আবার নিকোটিন বা ফ্লেভার নেই – এমন দ্রবণও আছে৷
ছবি: picture alliance/Fredrik von Erichsen
সিগারেটই শেষ নয়
একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ইলেকট্রনিক সিগার, পাইপ ও মিনি সিগারেটও বাজারে পাওয়া যায়৷ একটি সিগারেট কিনতে খরচ হতে পারে ১০ ইউরোর মতো৷ ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা যতো বাড়ছে, এটি কতোটা স্বাস্থ্যসম্মত – সে বিতর্কও ততো জোরালো হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তামাকবিহীন
ধূমপানের সংজ্ঞা হলো – তামাকজাতীয় কিছু পুড়িয়ে শ্বাসের সঙ্গে ধোঁয়া সেবন করা৷ তবে ই-সিগারেটে কোনো কিছু পোড়াতে হয় না৷ এ কারণে এটি সাধারণ তামাকের সিগারেটের চেয়ে কম ক্ষতিকর বলে কেউ কেউ দাবি করেন৷ কিন্তু ই-সিগারেটে নিকোটিন থাকে বলে তাতেও আসক্তি তৈরি হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বৈধতার বিতর্ক
সিগারেটের আইন ই-সিগারেটের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে কি না – সেটি একটি বড় প্রশ্ন৷ যদি তাই হয়, সে ক্ষেত্রে জার্মানিসহ ইউরোপের বহু দেশেই রেস্তোরাঁ আর পাবে ই-সিগারেট সেবন নিষিদ্ধ হয়ে যাবে৷ যদিও এখন ‘টেকনিক্যালি’ তা চলছে৷ আবার যুক্তরাজ্যে ওষুধের দোকানেও ই-সিগারেট বিক্রি হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ধোঁয়া ধোঁয়া ধোঁয়া
ই-সিগারেটে ব্যবহৃত দ্রবণে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক থাকে, যেমন প্রোপিলিন গ্লাইকল৷ বর্ণহীন ও প্রায় গন্ধহীন এই জৈব যৌগটি ধোঁয়া তৈরির স্মোক মেশিন, বিভিন্ন ধরনের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, টুথপেস্ট ও খাবারে ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ঝুঁকির মাত্রা অজ্ঞাত
কোনটিতে ক্ষতি কম – সিগারেট, না ই-সিগারেট? বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, ই-সিগারেটে ক্ষতি তুলনামূলক কম৷ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী কোনো গবেষণা এখনো না হওয়ায় ই-সিগারেটের ক্ষতিকর দিকগুলো এখনো অজ্ঞাত৷ সুতরাং সবচেয়ে ভালো হলো ধূমপানই ছেড়ে দেয়া৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, কলকাতা শহরে একজন ধূমপায়ী দিনে গড়ে ৩৫০ টাকা খরচ করেন সিগারেটের পিছনে৷ সেই খরচটা এবার আরও বাড়বে৷ সরকারি চাকরি করেন দীপ্তেন্দু সরকার৷ তিনি ঠিক করে ফেলেছেন এবার সিগারেট ছাড়বেন৷ “ছাড়তেই হবে, উপায় নেই৷ একটা বাজে নেশার পিছনে এত খরচ করতে গায়ে লাগবে৷” বললেন দীপ্তেন্দু৷ যদিও প্রায় কুড়ি বছরের বদভ্যেস কীভাবে ছাড়বেন, সেই নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন৷ দীপ্তেন্দুর মতো ভাবনা আরও অনেকেরই৷ ছাড়তেই হবে, কিন্তু কীভাবে, তা জানা নেই৷
“এসব আসলে দূর্বলের অজুহাত! ” বললেন ডঃ নির্মল হালদার৷ তিনি নিজে ধূমপান করেন না, যাঁরা অভ্যাসের দাস, তাঁদের তিনি পছন্দ করেন না৷ কিন্তু তাঁর আপত্তিটা ঠিক ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের জায়গা থেকে নয়৷ ডঃ হালদারের বক্তব্য, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ তো অনেক পরের ব্যাপার, হাই ব্লাড প্রেশার থেকে ডায়াবিটিস, মাইগ্রেন, এরকম অনেক নিত্যনৈমিত্তিক রোগকে জিইয়ে রাখে ধূমপানের বদভ্যাস৷ কিন্তু লোকে যদি স্বাস্থ্যের কারণে ধূমপান না ছাড়তে পারে, অন্তত সামর্থের অভাবে ছাড়ুক! সোজা কথা এই চিকিৎসকের৷