এবার আগেই জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ব্যবসায়ীদের কথা রোজা শুরুর ১৫ দিন আগে থেকেই ঈদের শপিং শুরু হয়েছে। ফলে গত দুই ঈদে করোনার ধকল কাটিয়ে এবার ঈদের অর্থনীতি চাঙা হয়ে উঠবে বলে তারা আশা করছেন।
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতিবিদেরাও সেরকমই আশা করছেন। তারা মনে করছেন, এবারের ঈদের বাজার পুরো অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে তাদের কথা করোনার ধাক্কা কাটিয়ে বড় একটি অংশ হয়তো ঈদের কেনাকাটা তেমন করতে পারবেন না। তাই ঈদে বৈষম্য আরো প্রকটভাবে প্রকাশ হতে পারে।
কয়েক বছর আগে এফবিসিসিআই যে জরিপ করেছিলো তাতে ঈদের অর্থনীতির আকার ২৫ হাজার কোটি টাকার বলা হয়েছিল। এফবিসিসিআইর সাবেক সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন মনে করেন সেটা এখন ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন,“গত দুই বছর করোনার কারণে ঈদের বাজার পুরোই মন্দা ছিলো। বিধিনিষেধের কারণে ঈদের বাজার জমেনি। তবে এবার নিষেধাজ্ঞা নেই। আর খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থাও কাটিয়ে উঠছে। তাই এবার রোজার ১৫ দিন আগে থেকে লোকজন ঈদের শপিং শুরু করেছে। আমরা তাই আশার আলো দেখছি।”
‘‘রোজার ১৫ দিন আগে থেকে লোকজন ঈদের শপিং শুরু করেছে’’
ঈদের সাথে যদি রোজার বাজার ধরা হয় তাহলে লেনদেন এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার কম নয় বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। এবার রাজনৈতিক দলসহ নানা ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ইফতার পার্টিতে জোর দিয়েছে। যা অর্থনীতির জন্য ভালো।
ঈদের নতুন পোশাক ছাড়াও, খাবার দাবার, সোনার গয়না, জুতা এবং ঘরের আসবাবপত্রসহ আরো কিছু পণ্যের বিক্রি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। এর বাইরে পর্যটন খাতেও মানুষ ব্যয় করে। এবার করোনার নিষেধাজ্ঞা না থাকায় প্রতিটি খাতই চাঙা হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
হেলাল উদ্দিন জানান, এই ঈদ অর্থনীতির সাথে সরাসরি এক লোক কোটি লোক যুক্ত। তাদের সঙ্গে আছে পরিবারের সদস্যরা। ওই এক কোটি লোকের মধ্যে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন। এবার ঈদে তারা গত দুই বছরের ধকল কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
‘‘ঈদের অর্থনীতি অনেকটাই পুনরুদ্ধার হবে’’
মানুষের আয় কমে যাওয়া ও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন,“এই পরিস্থিতির কারণে মানুষ অস্বস্তিতে আছে সত্য, তবে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে। সেটা না হলে এবার আগে থেকে শপিং মলে ভিড় হবে কেন? আমি ঢাকার বাইরে গিয়েছি সেখানেও কিন্তু এবারের ঈদ প্রস্তুতি ভালো। আমার মনে হয় যারা ঈদে কেনা কাটা করেন তারা করবেন। সেই দিক দিয়ে সমস্যা হবেনা। তবে ঈদের পরে আবার বাজারে সংকট হতে পারে। তার পূর্বাভাস আমরা পাচ্ছি।”
সিপিডির অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মনে করেন এবার করোনা অনেক কমে আসায় ঈদের অর্থনীতি অনেকটাই পুনরুদ্ধার হবে। তার মতে,“এটার সুফল অর্থনীতিতে পড়বে কিন্তু বৈষম্য কমবে বলে মনে হয় না। কারণ মূল্যস্ফীতির চাপ আছে সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকের আয় কমে গেছে। তারপরও করোনা তেমন না থাকায় যারা ঈদে খরচ করেন তারা এবার খরচ করবেন।”
সারা বিশ্বে শিশুদের ঈদ
করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের শিশুরাই প্রায় ঘরবন্দি৷ ঈদুল আজহা তাদের জীবনে নিয়ে এসেছিল আনন্দ, দিয়েছিল চার দেয়ালের বাইরে খুশিতে মাতার সুযোগ৷দেখুন ছবিঘরে...
ঢাকার কিছু পরিবারকে লকডাউনের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিশুদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে৷
ছবি: DW
ইসরায়েল
ইসরায়েলের মুসলমানরাও উদযাপন করেছেন ঈদ৷ ওপরের ছবিতে তেল আবিবের কয়েকটি মুসলিম পরিবার৷ ভূমধ্য সাগরে বড়দের সঙ্গে শিশুরাও মেতেছে আনন্দে৷
ছবি: Nir Elias/REUTERS
যুক্তরাষ্ট্র
নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে ঈদের সাজ-পোশাকে দুই শিশুর আনন্দ৷
ছবি: Stephanie Keith/REUTERS
সেনেগাল
রাজধানী ডাকারের এক মসজিদের সামনে নামাজের জন্য অপেক্ষা করছেন মা৷ তার কোলে মাথা রেখে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছে রোদচশমা পরা সন্তান৷
ছবি: Zohra Bensemra/REUTERS
ফিলিস্তিন
গাজার ফুটফুটে এই মেয়েটি বড়দের সঙ্গে মসজিদে এসেছে নামাজ পড়তে আর আনন্দ করতে৷
ছবি: Ibraheem Abu Mustafa/REUTERS
কেনিয়া
রাজধানী নাইরোবির কিবেরিয়া বস্তির এই শিশুও পবিত্র ঈদুল আজহায় সেজেগুজে খুব আনন্দ করেছে৷
ছবি: Baz Ratner/REUTERS
রাশিয়া
রাশিয়ার কাজান শহরে কোরবানির জন্য কেনা ভেড়ার সঙ্গে খেলছে এক শিশু৷
ছবি: DW/S. Kajan
ইন্দোনেশিয়া
রাজধানী জাকার্তার এক মসজিদ৷ বাবার সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে আসা এক শিশুর জ্বর আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷
ছবি: Ajeng Dinar Ulfiana/REUTERS
ইরাক
বাগদাদের আবু হানিফা মসজিদে প্রচণ্ড ভীড়৷ রাস্তায়ও চলছে নামাজ পড়া৷একটু দূরে বসে নিজেদর মধ্যে গল্প করছে দুই শিশু৷
ছবি: Thaier Al-Sudani/REUTERS
10 ছবি1 | 10
ঈদের সময় বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের একটা বড় প্রভাব থাকে। যারা প্রবাসে থাকেন তারা দেশে পরিবার পরিজনের কাছে বাড়তি টাকা পাঠান ঈদ খরচের জন্য। ঈদকে সামনে রেখে রেমিটেন্স প্রবাহও বাড়তে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ৩৭ কোটি ডলার বেশি রেমিটেন্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছে ১৪৯ কোটি ডলার। মার্চে ১৮৬ কোটি ডলার। চলতি মাসে তা আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন,“ এবার করোনার বিধিনিষেধ না থাকায় ঈদের অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। সাধারণ মানুষের অবস্থা যাই হোক না কেন যারা বিদেশে শপিং করতে যেতেন তারা যাবেন। যারা ভোগ করতেন তারা করছেন। এই রমজানে ইফতার সেহেরির বিলাসিতা হচ্ছে। তাই ঈদ অর্থনীতি চাঙা হলেও বৈষম্য থেকেই যাবে।”
তার কথা,“ দেশের মানুষ চায় অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বেকারত্ব বেড়েছে। দারিদ্র্য বেড়েছে। তার সমাধান প্রয়োজন।”
রোজায় আবারও জমজমাট ঢাকা
বাংলাদেশে রোববার রোজার প্রথম দিন ছিল৷ করোনার প্রভাব কমায় দুই বছর পর এবার মুসলমানরা বিধিনিষেধ ছাড়া রোজা পালন করতে পারছেন৷ ঢাকায় রোজার প্রথম দিনের কিছু স্থিরচিত্র দিয়ে সাজানো এই ছবিঘর৷
ছবি: Mortuza Rashed
নিত্যপণ্যের দাম
ঢাকার অন্যতম প্রধান কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজার, হাতিরপুলসহ একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, শসা কেজিপ্রতি ৮০-১১০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৪০-৮০ টাকা, বেগুন কেজিপ্রতি ৮০-১১০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে৷ শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোঃ জুয়েল জানান, এবার রোজার আগেই দাম যা বাড়ার বেড়েছে৷ দুই-একটি আইটেম ছাড়া অন্যবারের মতো এবার রোজার শুরুতে তেমন দাম বাড়েনি বলে জানান একাধিক বিক্রেতা৷
ছবি: Mortuza Rashed
খেজুরের বাজার স্থিতিশীল
ঢাকার বাদামতলীর খেজুরের পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এবার রমজান উপলক্ষ্যে প্রায় ৫০ হাজার টন খেজুর আমদানি করা হয়েছে৷ এছাড়া চাহিদার চেয়ে মজুদ বেশি আছে৷ তাই রোজার আগের চেয়ে দামে খুব একটা হেরফের হয়নি বলে জানান একাধিক বিক্রেতা৷
ছবি: Mortuza Rashed
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা
এবার রোজার মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে৷ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা রাখা হবে৷ এছাড়া রোজায় সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে দুই দিন (শুক্র ও শনিবার)৷
ছবি: Mortuza Rashed
যানজটে নাকাল ঢাকাবাসী
অতীতে রোজার শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হলেও এবার এর ব্যত্যয় ঘটেছে৷ এছাড়া মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলায় ঢাকাবাসীকে যানজটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে৷ রোববার ঢাকার বিজয়স্মরণি, ফার্মগেট, কলেজগেট, নিউমার্কেট, শাহবাগ, গুলিস্তান ঘুরে দিনভর তীব্র যানজট দেখা গেছে৷
ছবি: Mortuza Rashed
অফিসের সময়সূচি পরিবর্তন
রমজানের প্রথম দিন থেকে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা-স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার৷ এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সময়ও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: Mortuza Rashed
বাজারে ১-২ লিটার তেলের অভাব
কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, বোতলজাত ১-২ লিটার তেল নেই বললেই চলে৷ কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, ১-২ লিটার তেলের দামের সাথে ৫ লিটারের বোতলের দামের পার্থক্য লিটারপ্রতি ৫ টাকা৷ বোতলের গায়ের রেট সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে বেশি হওয়ায় বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করে৷ ‘‘তাই আমরা এই তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি,’’ বলে জানান ঐ বিক্রেতা৷
ছবি: Mortuza Rashed
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার তৈরি
কারওয়ান বাজারের বড় মসজিদ সংলগ্ন একাধিক হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে রাস্তার পাশেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার বানানোর প্রস্তুতি চলছে৷ সারাদিন রোজা রাখার পর মানুষকে এমন খাবার খাওয়াবেন কেন জানতে চাইলে এক দোকানের বিক্রয়কর্মী মোঃ সোলেমান মিয়া বলেন, ‘‘কী করমু কন? আমাগো এহানে জায়গার অভাব৷ অল্প একটু জায়গায় হোটেল খুলসি৷ তাই চাইলেও এর চাইতে ভালো অবস্থায় ইফতারি বানাইতে পারি না৷’’
ছবি: Mortuza Rashed
পর্দা টানিয়ে খাওয়া-দাওয়া
রোজার মাসে খাবার হোটেল ও চায়ের দোকানে পর্দা টানানো নতুন প্রথা নয়৷ কেন পর্দা টানানো হয় জানতে চাইলে সুরুজ আলী নামের একজন দোকানদার বলেন, ‘‘এই মাসে আমরা মুসলমানরা অনেকেই রোজা থাকতে পারি না বিভিন্ন কারণে৷ যারা কষ্ট করে রোজা থাকতেসে তাদের যেন সমস্যা না হয়, তাই কাস্টমারেরাই আমগোরে পর্দা লাগায় দিতে কয়৷’’
ছবি: Mortuza Rashed
ভ্রাম্যমাণ আদালতের তদারকি
রোজায় নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম কারসাজি করে যেন বাড়ানো না হয় সেজন্য প্রথম দিন থেকে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি দেখা গেছে৷ এ সময় তারা রমজানে তরমুজ, খেজুর, ছোলা, চিনি, তেল, মসুর ডাল, বেগুন, শসা, লেবু ইত্যাদি পণ্যের দাম না বাড়ানোর জন্য বিক্রেতাদের বারবার সতর্ক করেন৷
ছবি: Mortuza Rashed
শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা
ঢাকার নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটসহ একাধিক মার্কেট ঘুরে এবং দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রমজানের প্রথম দিন থেকেই তাদের বেচাকেনা বাড়তে শুরু করে৷ ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে অনেকেই আগেভাগে ঈদের কেনাকাটা সেরে ফেলতে চান৷ গত দুই বছর লকডাউনে বেচাবিক্রি তেমন না হলেও এবার ভালো হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা৷
ছবি: Mortuza Rashed
ইফতার কেনায় ভিড়
ঢাকার কলাবাগান, চকবাজার, ধানমন্ডি, গুলশান, ইস্কাটনের ইফতারের বড় দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর না গড়াতেই তারা বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন৷ এত আগে কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, ‘‘বিকাল চারটার মধ্যেই বিখ্যাত আইটেমগুলো প্রায় শেষ হয়ে যায়৷ তাছাড়া সেসময় ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়৷ তাই আগেভাগেই বিক্রি শুরু করতে হচ্ছে আমাদের৷’’
ছবি: Mortuza Rashed
পরিবারের সবাই মিলে ইফতার
বছরের অন্য সময়ে ব্যস্ততার কারণে খাবার টেবিলে একসাথে হওয়া না গেলেও রোজার সময় সবার চেষ্টা থাকে পরিবারের সবাই যেন একসঙ্গে ইফতার ও সেহরি করতে পারেন৷
ছবি: Mortuza Rashed
তারাবির নামাজ
রোজার শুরুর দিকে এশার নামাজ শেষে তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদগুলোতে অনেক ভিড় দেখা যায়৷ মুসল্লিরা সারা মাস জুড়ে ৮, ১২ মতান্তরে ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়ে থাকেন৷ সাধারণত পুরো মাসের তারাবিতে কোরআন শরিফ একবার পড়া শেষ করা হয়ে থাকে৷