1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা আটক

১২ জানুয়ারি ২০১৩

মিয়ানমার ছাড়তে হচ্ছে প্রাণ বাঁচাতে৷ তাতেও বিপদ রোহিঙ্গাদের৷ বাংলাদেশে ঢোকার পথ বন্ধ৷ থাইল্যান্ডও খুব কঠোর৷ দেশটি দু’দিনে আটক করেছে সাত শ’ রোহিঙ্গাকে৷ সবাইকেই ফেরানো হবে মিয়ানমারে৷

SITTWE, MYANMAR - OCTOBER 28: People wait as more people displaced by the recent violence between Buddhist Rakhine and Muslim Rohingya in Kyuk Phyu township. People moved with their belongings by boats to Thae Chaung refugee camp on October 28, 2012 on the outskirts of Sittwe, Myanmar. Over twenty thousand people have been left displaced following violent clashes which has so far claimed a reported 80 lives. Clashes between Rakhine people, who make up the majority of the state's population, and Muslims from the state of Rohingya began in June. (Photo by Kaung Htet/Getty Images)
ছবি: Getty Images

রোহিঙ্গাদের এখন অনেকটা দিশেহারা পাখির মতো অবস্থা৷ নীড়ে মৃত্যুর আতঙ্ক, অন্য গাছের ডালে বসলেও তাড়া করে নতুন নতুন বিপদ৷ মিয়ানমারে প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গার বাস৷ কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, সরকার তাঁদের নাগরিক বলেই গণ্য করে না৷ সংবিধানে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকের স্বীকৃতি নেই, সরকারের কাছে তাঁরা তাই বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী, সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের হামলা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ যেতে চাইলে বাধা, থাইল্যান্ডেও আশ্রয় নেই – রোহিঙ্গারা যাবে কোথায়?

রোহিঙ্গাদের এখন অনেকটা দিশেহারা পাখির মতো অবস্থাছবি: JAVIER ARCENILLAS

কয়েক বছর ধরে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে কাছের কিছু দেশ, বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে৷ জাতিসংঘের এক হিসেব অনুযায়ী, ২০১২ সালে ১৩ হাজারের মতো মানুষ নৌকায় চড়ে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ ছেড়েছে৷ ১৩ হাজারের মধ্যে বেশির ভাগই রোহিঙ্গা৷ তাঁদের অনেকেই থাইল্যান্ড বা থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে যে সাত শ' জনকে খুঁজে বের করা হয়েছে তাঁরা নাকি মালয়েশিয়াই যেতে চাচ্ছিলেন৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সাদাও শহরের এক ভবনে লুকিয়ে থাকা তিন শ' রোহিঙ্গাকে খুঁজে বের করেছে থাই পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার চালানো আরেক অভিযানে পেদাং বেসার শহরের এক রাবার বাগান থেকে আটক করা হয় ৩৯৩ জনকে৷ ধরা পড়াদের মধ্যে ১৪ জন শিশু এবং ৮ জন নারীও রয়েছে৷ সেই অঞ্চলের পুলিশের ডেপুটি কমান্ডার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘অবৈধ এই অভিবাসিদের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে৷ তাঁদের সবাইকেই এখন মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে৷''

কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ভয়াবহ রূপ নেয়ার পর জাতিসংঘ মিয়ানমারের প্রতিবেশি দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল৷ বাংলাদেশ তা মানেনি৷ দেশের বর্তমান সরকার জবাবে বলেছে, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থই শুধু নয়, তাঁরা রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের জন্য পরোক্ষভাবে হলেও দায়ী৷ এ অবস্থায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের ওপরই চাপ বাড়ানো৷ তা না করে যে উল্টো বাংলাদেশের ওপর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে তা এখন আর মেনে নেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার৷

নীড়ে মৃত্যুর আতঙ্ক, অন্য গাছের ডালে বসলেও তাড়া করে নতুন নতুন বিপদছবি: Reuters

বাংলাদেশের মতো থাইল্যান্ডও রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে অনড়৷ রোহিঙ্গাদের প্রবেশ বা আশ্রয় নেয়াকে একেবারেই উৎসাহিত করছে না দেশটি৷ ধরলে বা খুঁজে পেলেই ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে রোহিঙ্গাদের৷ গত সপ্তাহে ফুকেট দ্বীপ থেকে ৭৩ জনকে ধরে নৌকায় করে মিয়ানমারের দিকে পাঠিয়ে দেয় সে দেশের পুলিশ৷ থাই সরকার অনেক আগে থেকেই এমন কঠোর৷ ২০০৮ সালে দু'দফায় মোট ৯৯২ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল সাগরপথে৷ কোনো খাবার বা খাবার পানি ছিল না তাঁদের সঙ্গে৷ মানবাধিকার কর্মীদের আশঙ্কা, সেই ৯৯২ জনের কেউ কেউ হয়ত অনাহারে নৌকাতেই মারা গেছেন৷

থাইল্যান্ড সরকার মনে করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে দেশের সমস্যা বাড়বে৷ কিন্তু সে আশঙ্কায় এত লোককে ধরে ধরে নির্বিচারে দেশ থেকে বের করে দেয়াটা কি মানবিক? জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো তা মনে করেনা৷ তাই অভিবাসন আইনকে ঢেলে সাজানোর অনুরোধ করা হচ্ছে থাইল্যান্ডকে৷ কিন্তু সে অনুরোধে কান দেয়ার কোনো আগ্রহই দেখায়নি থাই সরকার৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ