1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার ধারাবাহিকতা ও নিয়ম রক্ষার বই মেলা

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১২ মার্চ ২০২১

অবশেষে করোনাকালেই শুরু হচ্ছে একুশে গ্রন্থমেলা৷ তবে প্রথমবারের মতো ফেব্রুয়ারির মেলা শুরু হচ্ছে ১৮ মার্চ থেকে৷ ১৪ এপ্রিল, অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত চলবে বিশেষ ব্যবস্থায় আয়োজিত এই মেলা৷

ফাইল ছবিছবি: DW/M. Mamun

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি মেলার উদ্বোধন করবেন৷ করোনার মধ্যে কেমন হয় বইমেলা সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা৷

এবার করোনার কারণে স্বাস্থ্য সতর্কতার অংশ হিসেবে স্টল সংখ্যা আগের মতোই রেখে আয়তন কাড়ানো হয়েছে দুই গুণ৷ মূল মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে৷ একাডেমি চত্বরেও থাকবে কিছু স্টল৷

বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি৷ সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ জানান, ‘‘গত বছর মেলার আয়তন ছিল সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট আর এবার হচ্ছে ১৫ লাখ বর্গফুট৷ মেলায় যাতে সামাজিক দূরত্ব মানা যায় সেজন্যই আয়তন বাড়িয়ে স্টলের সংখ্যা প্রায় একই  রাখা হয়েছে৷’’

মেলায় যাতে সামাজিক দূরত্ব মানা যায় সেজন্য আয়তন বাড়িয়ে স্টলের সংখ্যা প্রায় একই রাখা হয়েছে: ফরিদ আহমেদ

This browser does not support the audio element.

তিনি জানান, এবার উদ্যানে এক ইউনিট, দুই ইউনিট এবং প্যাভিলিয়ন মিলিয়ে ৩১৩ টি প্রতিষ্ঠানকে স্টল দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া একাডেমি চত্বরে থাকছে ১০০টি স্টল ৷
তিনি বলেন, ‘‘এবার নতুন বই আসবে৷ তবে আগের মতো না৷ এবারের মেলা হলো ধারাবাহিকতা রক্ষার মেলা৷ ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর মেলা৷

গত বছরের বই মেলায় চার হাজার ৯১৯টি নতুন বই প্রকাশ করা হয়৷ তরুণ লেখক ফাতেমা আবেদীন নাজলা জানালেন, এবারের বই মেলার তার নতুন কোনো বই থাকছে না৷ তবে তিনি জানান, ‘‘নতুন বই অনেকেই লিখেছেন৷ তরুণরাই এবার বেশি বই আনবেন বই মেলায়৷ আর করোনা নিয়ে বেশ কিছু বই এবার মেলায় আসবে, যা খবর পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে আশঙ্কা এবং আশা দুটোই আছে৷’’

তরুণরাই এবার বেশি বই আনবেন মেলায়: ফাতেমা আবেদীন নাজলা

This browser does not support the audio element.

তার মতে, ‘‘এবার যে সময়ে মেলা হচ্ছে, সেটা বৃষ্টি বাদল আর কাল বৈশাখীর সময়৷ আবার করোনার সংক্রমণ নতুন করে বেড়ে যাচ্ছে৷ সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতেই ফেব্রুয়ারির মেলা মার্চে হচ্ছে৷ নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছি আমরা৷’’

তিনি বলেন, ‘‘বৃষ্টি-ঝড় হলে বই কীভাবে রক্ষা পাবে, দর্শনার্থীরা কোথায় আশ্রয় নেবেন সেটাও বড় প্রশ্ন৷’’

তবে ঝড়-বৃষ্টি আর কাল বৈশাখীর কথা মাথায় রেখেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ৷ মেলা প্রাঙ্গণে এ কারণেই দর্শনার্থীদের জন্য চারটি বড় শেড নির্মাণ করা হচ্ছে আর স্টলে দেয়া হচ্ছে টিনের চালা ৷ পানি সরানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে৷ একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘‘এবার প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের দিক থেকে আরো একটি নতুন প্রবেশপথ করা হচ্ছে, যাতে গাড়ি নিয়ে মেলায় ঢোকা যায়৷ পাকিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে৷ মাস্ক ছাড়া মেলায় প্রবেশ করা যাবে না৷ হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকবে৷ আর প্রকাশকদেরও বলে দেয়া হয়েছে তারাও যেন স্টলে ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক নিশ্চিত করেন৷ মেলায় স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় ভলান্টিয়ার ছাড়াও মেডিকেল টিম থাকবে৷ নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যও আগের চেয়ে বেশি থাকবে৷ তারাও স্বাস্থ্যবিধির ওপর নজর রাখবেন৷’’

মাস্ক ছাড়া মেলায় প্রবেশ করা যাবেনা: হাবিবুল্লাহ সিরাজী

This browser does not support the audio element.

এবার প্রকাশকরা অর্ধেক দামে স্টল পাচ্ছে৷ করোনার কারণে তাদের এই সুবিধা দেয়া হয়েছে৷ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বাকি অর্ধেক টাকা বাংলা একাডেমিকে দেবে৷ মহাপরিচালক বলেন, ‘‘আমরা জানি, এবার নতুন বই কম আসবে৷ দর্শনার্থীও কম আসবে৷ তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তার পুরো নিশ্চয়তা দিচ্ছি৷’’

প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সাল থেকে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে ভাষা শহিদদের সম্মানে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে মাসব্যাপী বই মেলা শুরু হয়৷ তবে ১৯৭২ সাল থেকেই একাডেমি এলাকায় ভাষার মাসে বইমেলা হয়ে আসছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ