1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার পরিস্থিতি

২ এপ্রিল ২০১২

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ৷ রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে তাকে ভূমিকা রাখতে হবে৷ এটি করতে হবে তাকে বিরোধী দলে থেকেই৷

Supporters celebrate as election results are shown on the screen in front of Myanmar's pro-democracy leader Aung San Suu Kyi's National League for Democracy (NLD) head office in Yangon April 1, 2012. Suu Kyi won a seat in parliament on Sunday, her party said, after a historic by-election that is testing Myanmar's nascent reform credentials and could convince the West to end sanctions. REUTERS/Soe Zeya Tun (MYANMAR - Tags: POLITICS ELECTIONS)
Aung San Suu Kyi NLD Myanmarছবি: REUTERS

দীর্ঘ দুই দশকের মধ্যে এই প্রথম একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নি্লেন অং সান সুচি৷ শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই মানুষটি গত দুই দশকের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন গৃহবন্দী অবস্থাতে৷ তা সত্ত্বেও সামরিক সরকারের সঙ্গে কোন আঁতাতের চেষ্টা করেন নি৷ অন্যদিকে সু চিকে গৃহবন্দী করা এবং দেশটিতে গণতান্ত্রিক সব রীতিনীতিকে পায়ে দলার মাধ্যমে সামরিক প্রশাসন মূলত মিয়ানমারকে গোটা বিশ্ব থেকে আলাদা করে ফেলেছিলো৷ আর এর খেসারত দিতে হচ্ছিলো খোদ দেশটির জনগণকেই৷ তবে রোববারের উপনির্বাচন মিয়ানমারের জনগণের স্বস্তির নিশ্বাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ অবশেষে সংসদে আসার পথ খোলসা হয়েছে সু চির এবং তার দলের যারা গণতন্ত্রের বন্ধুর পথে এতদিন ধরে হেঁটেছে৷

যদিও তারা সংসদে গিয়ে কতটুকু পরিবর্তন আনতে পারবেন সেটা নিয়ে সু চির দলের মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে৷ ৬৬৪ আসনের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের এক চতুর্থাংশই যে সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে৷ বিগত ২০০৮ সালে এক লোক দেখানো গণভোটের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী সংসদের ওপর তাদের এই কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে৷ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট চাইলে যে কোন জরুরি পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে শাসন ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে পারবেন এমন বিধিও রয়েছে এই সংবিধানে৷ এই অবস্থায় ২০১০ সালের নির্বাচন বয়কট করেন সু চি এবং তার দল৷ তবে সামরিক বাহিনীর সমর্থিত দলগুলো তাতে অংশ নেয় এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়৷ এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল থেইন সেইন৷

সুচির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনছবি: picture-alliance/dpa

এরপর থেকে আস্তে আস্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে৷ গত আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন সু চিকে দেখা করার জন্য ডাকেন৷ দুই নেতার বৈঠকে কী কথা হয়েছে সেটার বিস্তারিত জানা যায় নি৷ তবে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সু চির সাক্ষাৎটাই ছিলো একটি বড় ঘটনা৷ তার কয়েক মাসের মধ্যে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় এবং সু চি ও তার দল সংসদের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন৷ দিন কয়েক আগে এক মন্তব্যে সু চি বলেন, যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট সত্যিকার ভাবেই গণতান্ত্রিক সংস্কার চান৷ দুই নেতার মধ্যে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিশ্লেষকরা খতিয়ে দেখছেন৷ তারা দেখেছেন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উভয় নেতার বক্তব্য অনেকটা কাছাকাছি৷

সম্প্রতি মিয়ানমার সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনছবি: dapd

সংসদে যাওয়ার পর সু চির প্রথম কাজ হতে যাচ্ছে সংবিধানে সংস্কার আনা৷ তবে তিনি সেটা কতটুকু করতে পারবেন সেটি এখন দেখার বিষয়৷ এ নিয়ে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার আবারও বৈরিতা শুরু হতে পারে৷ মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং এক বক্তব্য দেন৷ এতে তিনি স্পষ্ট বলেন যে সংবিধান অনুসারে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে সামরিক বাহিনীর যে ভূমিকা রয়েছে সেটা তারা রক্ষা করবেন৷ তবে সু চি এখনই সরাসরি বিরোধীতা করছেন না৷ কয়েকদিন আগে তিনি এক বক্তব্যে বলেন যে সামরিক বাহিনীকে বুঝতে হবে যে মিয়ানমারের ভবিষ্যৎই তাদের ভবিষ্যৎ৷

আর এখানেই আসছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি৷ সংসদে সু চির উপস্থিতি দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে সহায়তা করবে৷ আর রাজনীতিতে সু চি যত বেশি সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাবেন পশ্চিমা বিশ্বের আর্থিক অনুগ্রহ তত বেশি বর্ষিত হবে মিয়ানমারের দুর্বল অর্থনীতিরওপর৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ