এবার প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক তৃণমূল নেতা
১৩ এপ্রিল ২০২২হাঁসখালির পর এবার মেদিনীপুরের পিংলা। দুপুরে পুকুরঘাটে গিয়ে বাসন মাজছিলেন একজন প্রতিবন্ধী নারী। তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ মণ্ডলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ওই নারীকে ধর্ষণের আগে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতা কালুখেরা গ্রামে তার বোনের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে মা জানিয়েছেন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় হাসপাতালে তাকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা বাধা দেয় বলে মা জানিয়েছেন। তারপর তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘাটালের জেলা বিজেপি-র সভাপতি তন্ময় দাস আনন্দবাজারকে বলেছেন, ‘‘এই নারীকে আগে মারধর করা হয়। তারপর ধর্ষণ করা হয়। এখন পরিবারের মানুষদের ভয় দেখানো হচ্ছে। পুলিশও প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি।''
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ সবরতির দাবি, বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। ওই এলাকায় একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। তার জন্য এখন তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।
দ্য ওয়ালের রিপোর্ট বলছে, নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ করেছে, ঘটনার পর তৃণমূল নেতারা তাদের কাছে আসেন। তাদের দাবি ছিল, সালিশি সভা করে বিষয়টি মিটমাট করে নেয়া হোক। তারা পুলিশকেও চাপ দিতে থাকে বলে পরিবারের অভিযোগ। তারা জানিয়েছেন, পিংলা হাসপাতাল ওই যুবতীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে চায়নি। এরপর স্থানীয় বিজেপি নেতাদের সাহায্যে তারা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই পুলিশকে ডেকে পাঠায়। এরপর কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে তারা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
হাঁসখালির সিবিআই তদন্ত
মঙ্গলবার হাঁসখালি ধর্ষণের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত হবে। আগামী ২ মে-র মধ্যে সিবিআই-কে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টকে তদন্ত কতটা এগলো, তার নিয়মিত রিপোর্ট দিতে হবে।
এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আটটি ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। হাঁসখালি নিয়ে আদালত জানিয়েছে, পুলিশের কেস ডায়েরি ও কোর্টে রাজ্য সরকারের বয়ান আলাদা। মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে ক্ষমতাশালীদের নাম উঠে এসেছে। তাই তারা সিবিআইকে এর তদন্তভার দিলেন।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, আনন্দবাজার, দ্য ওয়াল)