1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার বাকিংহ্যাম প্যালেসেও ফুটবল!

৯ অক্টোবর ২০১৩

ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ১৫০তম বার্ষিকী, সেই সঙ্গে প্রিন্স উইলিয়াম এফএ-র প্রেসিডেন্ট না হলে বাকিংহ্যাম প্যালেসের তিনশো’ বছরের ইতিহাসে যা ঘটেনি, গত সোমবার তা ঘটতে পারতে না৷

Britain's Queen Elizabeth leaves Westminster Abbey after celebrating the 60th anniversary of her coronation in London June 4, 2013. Britain's Queen Elizabeth II returned to the scene of her coronation on Tuesday to mark a reign that has weathered six decades of social transformation and the end of her country's global empire. REUTERS/Andrew Winning (BRITAIN - Tags: ROYALS ENTERTAINMENT)
রানি এলিজাবেথছবি: Reuters

ভাবতে পারেন, গোল করার পরে ‘বাও' করে অভিনন্দন দেওয়া কিংবা নেওয়া? ভাবতে পারেন, হাফটাইমে ড্রিঙ্কস আসছে রূপার থালায় করে? হ্যাঁ, যদি খেলাটা হয় বাকিংহ্যাম প্যালেসে, রানি এলিজাবেথের খিড়কির বাগানে৷

ইংল্যান্ডের দু'টি প্রাচীনতম অপেশাদারি ফুটবল ক্লাব, পলিটেকনিক এবং সিভিল সার্ভিস, এদের মধ্যে খেলা, এফএ-র ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে৷ বাকিংহ্যাম প্যালেসের সুবিশাল উদ্যানে এর আগে কখনো কোনো প্রতিযোগিতামূলক খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি৷ এই সব ‘লনে' সাধারণত সভ্য-ভব্য গার্ডেন পার্টিই হয়ে থাকে৷

উইলিয়াম-কেটের পুত্র সন্তানটিও হয়ত অচিরেই নামবে ফুটবল মাঠে...ছবি: Getty Images/AFP/Carl Court

খেলা শুরু হবার আগেই প্রিন্স উইলিয়াম অবশ্য খেলোয়াড়দের সাবধান করে দিয়েছেন: যদি কেউ প্রাসাদের কাচ ভাঙে, তাহলে ‘দাদি'-র কাছে জবাবদিহি করতে হবে৷ ‘দাদি', অর্থাৎ রানি এলিজাবেথ যে প্রাসাদ প্রাঙ্গণে ফুটবল খেলার অনুমতি দিয়েছেন, সেটাও নিশ্চয় তাঁর নাতি প্রিন্স উইলিয়ামের কারণে৷ বলতে কি, বাকিংহ্যাম প্যালেসে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠানের আইডিয়াটা নাতির মাথাতেই প্রথম আসে৷ তবে আর পাঁচটা দাদির মতোই, কাচ ভাঙলে এই ‘দাদি'-ও চটবেন বৈকি৷

খেলাটা ছিল সাদার্ন অ্যামেচার লিগের ফার্স্ট ডিভিশনের একটি খেলা৷ সেটা যে শুধু তার ভেন্যুর কারণেই এরকম অবিস্মরণীয় হয়ে উঠবে, তা কে জানতো! খেলার রেফারি ছিলেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব৷ ওয়েব খেলার পর বলেছেন, তিনি সারা বিশ্বে ফুটবলের অনেক ‘ক্যাথিড্রালেই' রেফারির বাঁশি বাজিয়েছেন, কিন্তু বাকিংহ্যাম প্যালেসে রেফারিইং তাঁর কাছে একটা ‘‘বিরল সম্মান'' যা তিনি জীবনে কখনো ভুলবেন না৷

ফুটবল তার নিজের জগতে রাজা৷ কিন্তু রানির জগতে তাকেও কিছুটা মানিয়ে নিতে হয়েছে৷ যেমন বোইয়ান ইয়েলোভাচ – যিনি শৈশবে বসনিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে আসেন – ম্যাচের প্রথম গোলটি করার পর মাঠ থেকেই প্রিন্স উইলিয়ামের দিকে একটি কেতাদুরস্ত ‘বাও' করেছেন৷ ও হ্যাঁ, মাঠ কিন্তু ছিল পুরো সাইজের এবং দর্শকসংখ্যা ছিল ৭৫০ কিংবা তার কাছাকাছি – এবং তারাও বিশেষ গোলমাল করেনি: কাচ ভাঙাতে যদি ‘দাদি'-র আপত্তি থাকে, তাহলে গোলযোগেও নিশ্চয় তিনি বিশেষ প্রীত হবেন না৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ