সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রসায়নবিদ ও গবেষকরা এক ধরনের ‘ট্যাটুর স্টিক’ তৈরি করেছেন যা দিয়ে শারীরিক পরিশ্রম বা ট্রেনিং-এর মাত্রা পরিমাপ করা যায়৷ শুধু তাই নয়, তার পাশাপাশি তৈরি করা যায় বিদ্যুৎ৷ তাও আবার ঘাম থেকে৷
বিজ্ঞাপন
ধরুণ আপনি ‘জগার' হিসাবে দৌড়াচ্ছেন৷ সেই সাথে শুনছেন এমপিথ্রি প্লেয়ারে সংগীত৷ আর এ জন্য যে বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন, তা প্রস্তুত করছেন আপনি নিজেই৷ শুনে অবাক লাগছে? কথাটা কিন্তু সঠিক৷ শুধু ঘামের মাধ্যমেই তৈরি হয় বিদ্যুৎ৷ ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান ডিয়েগোর একদল গবেষক এই মজার আইডিয়াটা বাস্তবায়িত করেন৷ তাঁরা এর নাম দিয়েছেন ‘ট্যাটু বায়োব্যাটারি'৷ ‘‘ঘামের মতো শরীর থেকে নির্গত তরল পদার্থ দ্বারা যে শক্তি উত্পাদন করা যায় তার একটা দৃষ্টান্ত এটা৷''
ল্যাকটেট মাপা হয়
ঘামের ল্যাকটেট মাপা হয় একটি সেন্সর দিয়ে৷ ল্যাকটেট হলো এক প্রকার অণু, যা গ্লুকোজ থেকে মেটাবলিজমের মাধ্যমে প্রস্তুত হয়৷ শারীরিক পরিশ্রমের সময় কোষে ল্যাকটেট-এর ঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধি পায়৷
ট্রেনিং-এর সময় শারীরিক অবস্থা কেমন হয় সেটা মাপা যায় ল্যাকটেট-এর পরিমাণ দেখে৷ বলেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান ডিয়েগোর ডক্টরেটের গবেষক ভেনঝাউ জিয়া৷
হাড় শক্ত রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই
জার্মানিতে হাড় নরম হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন আনুমানিক ৭,৮ মিলিয়ন মানুষ৷ অথচ হাড় শক্ত রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা বা বিশেষ ধরণের ব্যায়াম বড় ভূমিকা পালন করতে পারে৷
ছবি: Fotolia/mangostock
হাড়ের ক্ষয়
প্রায়ই শোনা যায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের নানা সমস্যা ও ব্যথা শুরু হয়৷ কিন্তু কেন এটা হয় – তা নিয়ে হয়ত অনেকেই ভাবেন না৷ অস্টিওপোরোসিস বা হাড় নরম হয়ে যাওয়ার সমস্যায় জার্মানিতে ভুগছেন প্রায় ৭,৮ মিলিয়ন মানুষ৷ এই সমস্যা কেন হয় বা এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?
ছবি: DW/K.ZeinEddine
শুধু বয়সই কারণ নয়
হাড় নরম বা ভেঙে যাওয়ার জন্য শুধু বয়স বাড়াই একমাত্র কারণ নয়৷ থাইরয়েড, পেটের ক্রনিক সমস্যা বা পাকস্থলির অসুখের কারণেও হাড় নরম বা ক্ষয় হতে পারে৷ আর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাওয়া-দাওয়া না করা ও অতিরিক্ত ধূমপান হাড়কে নরম করে৷ তাছাড়া নানা ধরনের ওষুধ-পত্র সেবন থেকেও হাড় নরম হতে পারে৷
ছবি: Gina Sanders/Fotolia
এক্স-রে
হরমোনের বৈষম্যতা জাতীয় অসুখ যেমন হাইপোথাইরয়েড, হাইপারথাইরয়েড এবং ডায়াবেটিস হলেও ধীরে ধীরে অস্টিওপোরোসিস হয়ে থাকে৷ মহিলাদের এস্ট্রোজেন নামের হরমোন হাড়কে মজবুত করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ এক্স-রে বা অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের আক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়৷
ছবি: picture alliance / Bildagentur-o
ব্যায়াম
হাঁটাহাটি, সাঁতার কাটা এবং সাইকেল চালানো শরীরকে ফিট রাখে, কিন্তু হাঁড় শক্ত রাখায় তেমন কোনো ভূমিকা নেই এগুলির৷ এর জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যায়াম, যা ঘরে বসেও করা যায়৷ বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে এমন কিছু করতে হবে যাতে মাংসপেশিতে ভালোভাবে টান লাগে বা চাপ পরে৷ যেমন এক পায়ে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটা৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
জীবনযাত্রার পরিবর্তন
হাঁড় ঠিক রাখতে এ সব ব্যায়াম যে কোনো বয়সেই শুরু করা যায়৷ ৬০ অথবা ৭০ বছর বয়সও নাকি দেরি নয়, বলেন কোনো কোনো ডাক্তার৷ তবে এর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে৷ অর্থাৎ, সপ্তাহে কম করে হলেও তিনদিন৷ তবে আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়াই ভালো, বললেন হাড় বিশেষজ্ঞ ড. মার্টিন রুঙ্গে৷
ছবি: DW/Eva Usi
সঠিক খাওয়া-দাওয়া
হাড়ের জন্য ভিটামিন ‘ডি’ খুবই জরুরি৷ আর এই ভিটামিন ডি রয়েছে সামুদ্রিক মাছে৷ প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে হাঁটাহাঁটি করাও দরকার হাড় শক্ত রাখার জন্য৷ তাছাড়াও ভিটামিন এ, সি, কে এবং বি ১২ হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে৷
ছবি: Fotolia/oldline2
দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার
দুধ, দই, পনির, চিজ বা অন্যান্য দুগ্ধজাতীয় খাবার রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা হাড়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন৷ তাছাড়া মিনারেল ওয়াটারেও রয়েছে ক্যালসিয়াম৷ তবে সবকিছুই বুঝে শুনে খাওয়া ভালো৷
ছবি: AP
নিয়মিত ব্যায়াম
হাড়ের সমস্যার কারণে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না এমন মানুষের সংখ্যা জার্মানিতে প্রায় ১,৫৬ মিলিয়ন, যাঁরা বাড়িতে আত্মীয়, নার্স বা অন্যের সাহায্যে চলাফেরা করেন৷ হাড়কে শক্ত রাখতে বেশি কফি, চিনি, লবন, চিনি মিশ্রিত সফ্ট ড্রিংক এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলাই ভালো৷ তবে সব কিছুর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম যে করতেই হবে!
ছবি: Fotolia/mangostock
8 ছবি1 | 8
অতিরিক্ত ল্যাকটেট তৈরি হলে দেহে চাপ পড়ে৷ এতদিন চিকিত্সকরা খেলোয়াড়দের দেহে ল্যাকটেট-এর পরিমাণ মাপার জন্য রক্ত পরীক্ষা করতেন৷ এখন তো বেশ সহজ পদ্ধতি বের হলো৷ ত্বকের ওপর ঘামেও থাকে ল্যাকটেট-এর অণু৷ একটি নতুন সেন্সর দিয়ে এটি মাপা যায়৷
‘‘এটা বলতে পারে, কখন শ্রমসাধ্য ট্রেনিংটা থামানো উচিত৷'' বলেন গবেষক জিয়া৷ অন্যান্য আধুনিক যন্ত্রপাতির চেয়ে এটা বিশদভাবে ফিটনেসের মাত্রা পরিমাপ করতে পারে৷
শর্করা মাপার মতো
এই সেন্সর ডাইবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করা মাপার মতো কাজ করে৷ এটি ‘এনজাইম' বা এক ধরনের প্রোটিন, যা ল্যাকটেটকে পাইরুভিক বা পিরুভিক অ্যাসিড-এ রূপান্তর করে৷ এর ফলে দুটি ইলেকট্রন উন্মুক্ত হয়৷ ইলেকট্রন অর্থ চার্জ, যা থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি উত্পন্ন হয়৷
ঘামে যত বেশি ল্যাকটেট থাকে, তত বেশি বৈদ্যুতিক শক্তি উত্পন্ন হয়৷ একটি যন্ত্রের সাহায্যে এই বিদ্যুৎ মাপা যায়৷ তা থেকে ঘামে ল্যাকটেট-এর ঘনত্বও বোঝা যায়৷
আকর্ষণীয় ফিগার পেতে সহজ ১১ উপায়
আজকের যুগে মেদহীন আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে কে না চায়? সে জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই দরকার শরীর চর্চা৷ আর সেটা ঘরের কাজের মাধ্যমেই কিন্তু করা সম্ভব৷ জেনে নিন কীভাবে, দেখুন এই ছবিঘর৷
ছবি: Fotolia/Franz Pfluegl
আকর্ষণীয় ফিগার
আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ৷ যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে৷ আজকাল সুস্বাস্থ্য মানে সুস্থ, ফিট আর টান টান শরীরের কোনো মানুষ, যাঁকে যে কোনো পোশাকে মানায় এবং সবার মাঝে আকর্ষণীয় করে তোলে৷
ছবি: Fotolia/mars
ফিটনেস সেন্টার
শরীর চর্চা বা ব্যায়াম বললেই, অনেকে বোঝেন ফিটনেস সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন যন্ত্র বা প্রশিক্ষকের সাহায্যে দৈহিক সৌন্দর্য বাড়ানোর কিছু নিয়মকানুন৷ কিন্তু ফিটনেস সেন্টারে যাতায়াত এবং ব্যায়াম করার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন৷ তাই সুন্দর ফিগার চাইলেও চাকরি, সংসার, ঘরের নানা কাজ ফেলে নিয়ম করে ফিটনেস সেন্টারের জন্য সময় খরচ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না৷
ছবি: AP
ঘরের মেঝে মোছা
অথচ ঘরের কাজগুলো যদি নিজেই নিয়ম করে ঠিকমতো করে ফেলা যায়, তাহলে কিন্তু দুটোই সম্ভব৷ অর্থাৎ বাড়ি-ঘর পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে তা একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকরও হলো, আবার শরীরও সুন্দর হলো৷ বিশেষ করে মেঝে বা সিঁড়ি মুছতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই পেটে প্রচণ্ড চাপ পড়ে, ফলে পেটের মেদ সহজেই কমে যায়৷ নিয়ম করে মেঝে মুছলে পেট মসৃণ হয় আর কোমরের আকারও হয় সুন্দর৷
ছবি: picture alliance/dpa
জানালা পরিষ্কার
জানালার গ্লাস পরিষ্কার করতে গেলে হাত বার বার ওপরে-নীচে নামাতে তো হয়ই, এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও নাড়াচাড়া হয়৷ কাজেই জানালা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি হাতের মাংসপেশী শক্ত হয় ও শরীরের বাড়তি মেদ কমে৷ বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের হাতের মাংসপেশী খানিকটা ঝুলে পড়ে, যা হাতের এই ব্যায়ামের মাধ্যমে কমানো সম্ভব৷
ছবি: Picture-Factory - Fotolia.com
দাড়িয়ে ঘরের কাজ
আগেকার দিনে মেয়েরা রান্না ঘরের সব কাজ বসে বসেই করতো৷ বসে কাজ করলে কেবল একটি কাজই করা যায়৷ কিন্তু দাড়িয়ে কাজ করলে একই সাথে রান্না, বাসন ধোয়া, কাটাকুটি এবং রান্নাঘরের অন্যান্য কাজও করা সম্ভব৷ এতে খানিকটা হাঁটাহাটির ফলে পায়েরও কিছুটা ব্যায়াম হয় এবং হাড় শক্ত থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেদও জমতে পারে না সহজে৷
ছবি: Costa Pelechas
যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখা
শরীরের সৌন্দর্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা বা বাধা মোটা পেট বা ভুড়ি, যা খুবই দ্রুতগতিতে বাড়ে৷ মেঝেতে বসে কাপড় কাঁচলে বা আধা বসা অবস্থায় কাপড় ধোয়ার মেসিন ব্যবহার করলে বা সেটা পরিষ্কার করলে পেটে চাপ পড়ে৷ নিয়মিত এ ধরনের কাজ করলে পেটে চর্বি জমে কম৷ এতে নিজেকে মেদহীন দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, অন্যদিকে যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখার ফলে সেগুলোর আয়ুও বাড়ে৷
ছবি: Hansgrohe Bilderdienst
গাড়ি নিজেই পরিষ্কার করুন
আজকের ব্যস্ত জীবনে গাড়ির প্রয়োজন যেমন অনেক, তেমনি অনেকের আবার গাড়ির সখও কম নয়! তাই সখের মূল্যবান জিনিসটিকে ‘কারওয়াশ’-এ না দিয়ে বা ড্রাইভারকে ধুতে না বলে নিজেই ধুয়ে ফেলুন! এতে গাড়িটাও ঝকঝকে সুন্দর হবে, আবার নিজের শরীরটাও ফিট থাকবে৷ তখন দেখবেন যে কোনো আধুনিক পোশাকে নিজেকে কেমন স্মার্ট আর আকর্ষণীয় লাগছে!
ছবি: Fotolia/photoiron
বাগান করা
বাগান করা একটি সখের ব্যাপার৷ এ কাজটি ভালোভাবে করতে, অর্থাৎ শাক-সবজি, ফল আর সুন্দর ফুল ফোটাতে শরীরের বেশ পরিশ্রম হয়৷ বাগানপ্রেমীদের মেদহীন সুন্দর শরীর দেখেও অবশ্য তা বোঝা যায়৷ তাছাড়া বাগানপ্রেমীদের প্রকৃতির সাথেও থাকে নিবিড় সম্পর্ক৷ ফলে শরীর এবং মন দুটোই ভালো রাখতে সাহায্য করে বাগান৷
ছবি: Rido - Fotolia.com
পরিবেশবান্ধব বাগান
জার্মানিতে বহুদিন থেকেই বাগান কেনা বা ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷ যাঁরা ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ফ্ল্যাটের কাছাকাছি কোথাও এ রকম বাগান করে থাকেন৷ ইদানীং কোনো কোনো অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষায় মানুষকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিনে পয়সায়ও কিছু জমির খানিকটা অংশ কিছুদিনের জন্য দেওয়া হয়৷ এতে অবশ্য শর্ত থাকে যে, সেখানে শুধুমাত্র নিজেদের খাওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে শাক-সবজি বা ফলের চাষ করতে যেতে পারে৷
ছবি: picture alliance / dpa
ছোট থেকেই অভ্যাস গড়ে তোলা
এশিয়ার দেশগুলোতে গৃহিনীরা ‘কাজের লোক’ বা গৃহক্রমী দিয়ে ঘরের কাজ করাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন৷ যদিও এ কাজটি করানোও সবসময় একেবারে সহজ নয়৷ তবে যাঁরা কাজের লোক না রেখে ছোটবেলা থেকে ঘরের কাজ বা নিজের কাজ নিজে করায় অভ্যস্ত হন, তাঁদের শরীরের গঠন ছোট থেকেই হয়ে ওঠে সুন্দর৷
ছবি: Getty Images
কাজের পর বিশ্রামও চাই
উপুড় হয়ে বাথটবটি নিজে হাতে ভালো করে পরিষ্কার করতে যে বেশ কিছুটা ক্যালোরি খরচ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই৷ স্বাভাবিকভাবেই তারপর যে কেউ কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়বেন, তাই না? ঝকঝকে সুন্দর বাথটবে পানি ভর্তি করে এতে ঢেলে দিন সুগন্ধী তরল সাবান৷ এবার নেমে পড়ুন পানিতে৷ আধঘণ্টা পর পানি থেকে উঠে শরীরটাকে মনে হবে একেবারে হালকা আর মনটা দারুণ ফুরফুরে!
ছবি: picture-alliance / Creasource
ঘরের কাজ করুন, সুন্দর থাকুন!
নিয়মিত যে কোনোভাবে শরীরচর্চা করলে অবশ্যই তার ফল পাওয়া যায়৷ আর তাই সুন্দর ফিগারের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় না৷ স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতনতা আর পাশাপশি কিছুটা হাঁটাহাটি বা বাড়ির কাজই করে দেবে যে কেউকে সুন্দর ফিগারের অধিকারী৷
ছবি: Fotolia/Franz Pfluegl
12 ছবি1 | 12
পাতলা সেন্সরটি স্টিকারে ঢুকিয়ে ত্বকের ওপরে লাগিয়ে দেওয়া যায়৷ ল্যাকটেট থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ দিয়ে ছোট ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্রও চালানো যায়৷ যেমন হার্টরেট মনিটর, স্মার্ট ফোন ইত্যাদি৷
আরামপ্রিয়রা এগিয়ে
তবে সেন্সরটি খুব ছোট বলে চার মাইক্রোওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না৷ একটি ঘড়ি চালাতে কমপক্ষে ১০ মাইক্রোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন৷ এই প্রসঙ্গে জিয়া বলেন, ‘‘উত্পাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ খুব বেশি নয়৷ আমরা তা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি৷''
গবেষকরা জানান সব মানুষ সমান বিদ্যুৎ উত্পন্ন করেন না৷ যাঁরা সপ্তাহে তিন দিন খেলাধুলা করেন তাঁদের চেয়ে যাঁরা সপ্তাহে একদিনেরও কম খেলাধুলা করেন তাঁরা বেশি বিদ্যুৎ উত্পাদন করেন৷
গবেষকদের ধারণা, অল্প ট্রেনিং নেওয়া মানুষরা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায়, ঘামও ঝরে বেশি৷ ফলে ল্যাকটেট উত্পাদনের পরিমাণও বাড়ে৷ অন্যদিকে কর্মক্ষম মানুষরা যদি জগিং-এর সময় এমপিথ্রি প্লেয়ার চালাতে চান, ঘরকুনোদের চেয়ে অনেক বেশি ঘাম ঝরাতে হবে তাঁদের৷ তবে ঘরকুনোরা হয়ত জগিং করতে যাবেনই না৷