1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার সরকারবিরোধী ‘বৃহত্তর জোটের’ উদ্যোগ বিএনপির

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২৯ জানুয়ারি ২০২২

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে ‘বৃহত্তর জোট’ করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপি৷ বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়েই দ্রুত ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব৷

২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বাইরে আরো দল নতুন জোটে থাকবে বলে আশা বিএনপি নেতাদের (ফাইল ছবি)
২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বাইরে আরো দল নতুন জোটে থাকবে বলে আশা বিএনপি নেতাদের (ফাইল ছবি)ছবি: PMO

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডয়চে ভেলের কাছে ‘বৃহত্তর জোট’ গঠনের উদ্যোগের কথা জানালেও এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি৷ তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, ‘‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ তার সম্মতি এবং সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷’’

জোট পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও গত জাতীয় নির্বাচনের সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও আরো অনেকে এই জোটে থাকবে৷ তিনি জানান, ‘‘আরো অনেক দল মনে করে এখন সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের সময় এসেছে৷ এজন্য আরো বড় জোট দরকার৷ আর সে কারণেই বৃহত্তর জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷’’

তবে এর কাঠামো এবং নাম কী হবে তা চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি৷ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে পরে তা নির্ধারণ করবেন তারা৷ ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কথা বলা এখনো শুরু করিনি, তবে সহাসাই শুরু করব৷’’

’তারেক রহমানের সম্মতি এবং সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়’

This browser does not support the audio element.

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্তত তিনজন সদস্য জানান, বৃহত্তর জোট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিস্তারিত জানাবেন৷ তাকেই এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ তাদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য এই সরকার সব ব্যবস্থা চূড়ান্ত করেছে৷ তারা নির্বাচন কমিশন আইনও করেছে একই উদ্দেশে৷ তাই এই সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই৷ সে কারণেও আরো বড় জোট করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান৷’’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা বৃহত্তর জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ আলাপ আলোচনা চলছে৷ তবে কোন দাবি এবং কী উদ্দেশে এই জোট হবে, কারা থাকবেন তা বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন করে জানাব, এখন নয়৷’’

বিএনপি-জামায়াতের ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া আরো যারা এই এক দফা দাবির সাথে একমত হবে তাদের সবাইকেই জোটে নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তারা জানান৷ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ শেষ করে করোনা কমে এলেই আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের কাজ শুরু করতে চান তারা৷

আলাপ আলোচনা চলছে: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

This browser does not support the audio element.

২০ দলীয় জোটের শরীক এবং কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ ছিলাম ফলে সবশেষ আপডেট জানি না৷ তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে আমরা বড় জোটের কথা আগে থেকেই বলে আসছিলাম৷ বিএনপির স্থায়ী কমিটি যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে অবশ্যই বড় জোট করা হবে৷ এটার প্রয়োজন আছে৷ গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷’’

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শরীক এবং নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘‘বৃহত্তর জোট নিয়ে আমার সাথে বিএনপির কথা হয়নি৷ ঐক্য ফ্রন্টের অন্যদের সাথেও কথা হয়নি৷ তবে এই জোটের কথা তারা আরো আগে থেকেই বলছেন৷ এখন হয়তো তারা আনুষ্ঠানিক কথা বলবেন৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘গণ আন্দোলনের জন্য বৃহত্তর জোটের কোনো বিকল্প নেই৷ এটা এক মঞ্চেও হতে পারে৷ আবার আলাদা আলাদা মঞ্চের একটা জোটও হতে পারে৷ এটা হতেই হবে যদি সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে চাই, সরকারের পরিবর্তন চাই৷’’

‘বিএনপি যদি পারত অনেক আগেই সরকারের পতন ঘটিয়ে ফেলত’

This browser does not support the audio element.

বিএনপির উদ্যোগে এই বৃহত্তর জোট করার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘‘এরশাদের সময় আ স ম রবের নেতৃত্বেও ১২০ দলের একটি জোট হয়েছিলো৷ তারা একটি আসনও পায়নি৷ বিএনপি- জামায়াতের এইসব উদ্যোগ নিয়ে আমরা বিচলিত নই৷ কারণ আমাদের শক্তি জনগণ৷ বিএনপি যদি পারত অনেক আগেই সরকারের পতন ঘটিয়ে ফেলত৷ এখন আরো যারা জোটে যোগ দেবে তাদেরও সেই ক্ষমতা নাই৷ জনগণ যতদিন আওয়ামী লীগের সাথে আছে ততদিন এইগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো ভাবনা চিন্তা নেই৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়, দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার বিচারের সময় বিএনপি-জামায়াত এক হয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি৷ কারণ জনগণ তাদের সাথে নেই৷ এটা প্রমাণিত যে জনগণের সমর্থন ছাড়া আন্দোলন সফল হয় না৷ বিএনপির সাথে জনগণ আগেও ছিলো না, এখনও নাই৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ