সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট!
৫ জুলাই ২০১৯ভবিষ্যতে মহাকাশের উপর কে আধিপত্য কায়েম করবে? এই লক্ষ্যে পুরোদমে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে৷ একাধিক পুরানো ও নতুন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রেষারেষি চলছে৷
যেমন কোটিপতি এলন মাস্ক পেপ্যাল ও টেসলার মতো কোম্পানির কল্যাণে ধনকুবের হয়ে উঠেছেন৷ ‘স্পেস-এক্স' রকেটের মাধ্যমে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে মহাকাশ ব্যবসায় সক্রিয় রয়েছেন৷
২০১৫ সালে মাস্ক স্যাটেলাইটের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন৷ বিশ্বজুড়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে চান তিনি৷ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্পেস-এক্স কিছু প্রোটোটাইপ বা নমুনা মহাকাশে পাঠিয়েছে৷ ২০২৫ সালের মধ্যে ১২,০০০ স্যাটেলাইটের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে চান তিনি৷ অর্থাৎ বর্তমানে যত স্যাটেলাইট পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে, এই সংখ্যা তার প্রায় সাত গুণ!
এই লক্ষ্য পূরণে এলন মাস্ক-এর সহযোগী হচ্ছে গুগল৷ ২০১৫ সালে এই বহুজাতিক কোম্পানি তাঁর স্যাটেলাইট প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে৷
সান ফ্রান্সিস্কো শহরের প্ল্যানেট নামের কোম্পানিকেও মদত দিচ্ছে গুগল৷ ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি এর মধ্যেই মহাকাশে প্রায় ১৫০টি স্যাটেলাইটের মালিক৷ অন্য কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এত সংখ্যক স্যাটেলাইট নেই৷
পৃথিবীর শহর, বনজঙ্গল, কৃষিক্ষেত্র ইত্যাদির উপর স্বয়ংক্রিয় নজরদারির পরিষেবাই এই কোম্পানির আয়ের উৎস৷ প্ল্যানেট কোম্পানির ক্যামেরা যে কোনো পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে৷
প্ল্যানেট ও স্পেস-এক্স কোম্পানির কঠিন প্রতিযোগী হলো ওয়ানওয়েব৷ কোম্পানির প্রধান গ্রেগ ওয়াইলার আগামী কয়েক বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রায় ৯০০ স্যাটেলাইট পাঠাতে চান৷ এই কোম্পানিও সস্তায় স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে চায়৷ তাদের পৃষ্ঠপোষক হলেন স্যার রিচার্ড ব্রনসন৷ তিনি রকেটের মাধ্যমে শুধু স্যাটেলাইট নয়, মহাকাশে পর্যটকও পাঠাতে চান৷
এসইএস-এর মতো মহাকাশ কোম্পানিও এই প্রতিযোগিতায় শামিল হয়েছে৷ ইউরোপের এই কোম্পানি অ্যামেরিকার বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ছোট মাপের স্যাটেলাইট কিনতে চায়৷
বহুমুখী স্যামসাং কোম্পানিও পৃথিবীর কক্ষপথে ৪,৬০০ স্যাটেলাইট পাঠাতে চায়৷ এই সব কোম্পানি সত্যি তাদের পরিকল্পনা কার্যকর করলে একটি বিষয় নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকবে না৷ তখন আমাদের মাথার উপর আকাশ স্যাটেলাইটে ভরে যাবে৷
মাক্স লেবসানফট/এসবি