গত বছর সৌদি আরবের নাগরিক এবং সে দেশে বসবাসরত মোট এক হাজার জনকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে হজ পালনের সুযোগ দিয়েছিল সৌদি সরকার৷ এবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৬০ হাজার৷ ওপরের ছবিতে হজ করতে আসা কয়েকজন হাজিকে মক্কার আরাফাত ময়দানে দেখা যাচ্ছে৷

এবার এমন ৬০ হাজার জনকে সুযোগ দেয়া হয় যারা করোনার দুই ডোজ টিকাই নিয়েছেন৷এছাড়া বোতলজাত জমজমের পানি, প্যাকেটজাত পাথরের ব্যবস্থাও ছিল৷ ছবিতে মিনায় শয়তানের উদ্দেশে ছোঁড়ার জন্য প্যাকেট থেকে পাথর বের করছেন এক হাজী৷

সৌদি আরবের নাগরিক বা সেখানে অবস্থানরত বিদেশিদের মধ্যেও সব বয়সিরা কিন্তু হজের সুযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেননি৷ শুধু ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সি নারী, পুরুষদের দেয়া হয়েছে সেই সুযোগ৷

করোনা মহামারির কারণে আয়োজন ছোট পরিসরের হলেও তাতে অংশ নিয়েছেন মোট ১৫০টি দেশের মুসলমান৷ওপরের ছবিতে আরাফাতের ময়দানে হাজিরা৷

মক্কার অদূরে আরাফাত ময়দানে প্রার্থনা করছেন মুসল্লিরা৷

কাবা শরিফের চারপাশে সাতবার ঘুরে তাওয়াফ পালন করছেন হাজিরা৷

এবার হাজিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নারীদেরও রাখা হয়৷ ওপরের ছবিতে কাবা শরিফের সামনে দায়িত্বরত এক নারী নিরাপত্তাকর্মী৷

করোনাকালে হজ পালনের সুযোগ পাওয়া বড় সৌভাগ্যর৷ এমন অভিজ্ঞতাকে ক্যামেরায় ধরে রাখছেন কয়েকজন নারী৷

হজের প্রতিটি পর্বে ছিল কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা৷ ছবিতে পাহাড়া দিচ্ছেন এক নিরাপত্তাকর্মী৷

হিজরি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত হজের অনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় মুসলমানদের৷

ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা কাবাকে সবচেয়ে পবিত্র স্থান বলে মনে করেন৷ ফলে এই কাবার দিকে মুখ করেই প্রার্থনায় রত থাকেন তাঁরা৷

ঐতিহ্যগতভাবে মক্কায় ওমরাহ পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হজের আনুষ্ঠানিকতা৷ সারা বছরই ওমরাহ পালন করা যায়৷

মিনা উপত্যকায় রাত যাপনের পরদিন মক্কা থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বদিকে আরাফাত ময়দানে যেতে হয় হজযাত্রীদের, যেখানে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন মহানবী (সা.)৷ এরপর শেষ বিকেলে প্রায় নয় কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হয় মুজদালিফায়৷ 

হজের শেষ তিন দিনে থাকে তিনটি আনুষ্ঠানিকতা৷ শেষবারের মতো কাবা প্রদক্ষিণ এবং মিনায় পাথর নিক্ষেপ করে বিশেষ পোশাক ইহরাম খুলে ফেলতে হয়৷ এসময় পুরুষরা সাধারণত মাথার চুল ফেলে দেন এবং নারীরা তাঁদের চুল ও মাথা ঢেকে রাখেন৷ হজের শেষ দিনে কোরবানি করে মাংস গরীব-দুঃখীদের বিলিয়ে দেয়া হয়৷

হজ পালনের সময় কোনো পুরুষের জন্য সহবাস, চুল, নখ, গোঁফ, বগল নাভির নীচে শেভ করা, সেলাই করা পোশাক না পরা, সুগন্ধি ব্যবহার এবং কোনো কিছু শিকার করা হারাম৷