পশ্চিম আফ্রিকার মানুষ অসুস্থ হলে ডাক্তার বা হাসপাতালের বদলে সনাতন পদ্ধতির চিকিত্সকের কাছে যেতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন৷ এ কারণে এবোলার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার স্বাস্থ্যবিভাগ, ডাক্তার ও হিলাররা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন৷
বিজ্ঞাপন
‘বিকল্প থেরাপি ও প্রাকৃতিক ভেষজ চিকিত্সা কেন্দ্র’-টি লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়ার ছোট এক পৌর এলাকায় অবস্থিত৷ আফ্রিকার অনেক মানুষ সনাতন চিকিত্সা প্রথায় বিশ্বাস করেন৷ তাই অসুখ বিসুখ হলে এই কেন্দ্রে আসেন তারা৷ ‘‘আমি জ্বর, ম্যালেরিয়া, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি ভালো করে থাকি৷ এ জন্য যে সব ওষুধ ব্যবহার করি, সেসব গাছের শেকড় থেকে প্রস্তুত করা হয়৷’’ বলেন কেন্দ্রটির চিকিত্সক পিস বেলো বা ‘ডক্টর পিস’৷
তিনি আরো জানান, ‘‘তবে এবোলা রোগীদের চিকিত্সা আমি করি না৷ অবশ্য কেউ এই রোগটি নিয়ে আমার কাছে আসেনি এখনও৷ আমার কাছে এমন কিছু নেই, যা দিয়ে আমি তাদের ভাল করতে পারি৷’’
একই সুর প্রতিবেশী দেশেও
প্রতিবেশী দেশ গিনির হিলার মুসা ট্রাওর-এর কণ্ঠেও একই সুর শোনা যায়৷ ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় থেকে তাঁকে রোগটি সম্পর্কে বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ তাই এবোলা রোগীদের চিকিত্সা করেন না তিনি৷
মুসার কথায়, ‘‘আমাদের বলা হয়েছে যে, কোনো রোগীর এবোলার লক্ষণ দেখলে সরাসরি নির্ধারিত চিকিত্সা কেন্দ্রে তাঁকে পাঠিয়ে দিতে এবং কর্তৃপক্ষকে খবরটি জানাতে৷’’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়া সঠিক৷ বলেন সিয়েরা লেওনের রেডক্রসের মুখপাত্র আবুবকর তারাওয়ালি৷ তাঁর দেশেও অনেক মানুষ অসুখ-বিসুখ হলে সনাতন চিকিত্সকদের কাছে যান৷ আবুবকর ও তাঁর সহকর্মীরা এই হিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন৷ তাঁদের পরামর্শ: ‘‘এবোলায় আক্রান্তরা তাদের কাছে এলে এইসব রোগীকে গ্রহণ বা চিকিত্সা না করতে৷’’ এর পরিবর্তে এইসব রোগীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া কিংবা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত৷
মহামারি ইবোলা ভাইরাস
ইবোলা বা এবোলা ভাইরাসকে চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভাইরাস হিসেবে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ এতে আক্রান্ত হলে ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর অবধারিত৷ তাই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করেছে সংস্থাটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান মার্গারেট চান এবোলাকে মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি অন্যতম ঘাতক জ্বর হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন যে, আফ্রিকায় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে রক্তপ্রদাহজনিত এই জ্বর৷ তাই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি৷
ছবি: picture alliance/dpa
পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারি
মারাত্মক এবোলা ভাইরাসের আক্রমণে পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১,০০০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭১১৷ গিনিতে গত মার্চে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এবোলা ভাইরাসের প্রকোপ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লাইবেরিয়ায় জরুরি অবস্থা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হিসেবে বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম দেশ লাইবেরিয়ায় বৃহস্পতিবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ এতে সরকার বিভিন্ন কঠোর ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে৷ প্রাণঘাতী এবোলা ভাইরাস এখন আফ্রিকা থেকে বিশ্বের অন্যান্য মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
আক্রান্ত অন্যান্য দেশের নাগরিক
স্পেনের একজন প্রবীণ ক্যাথলিক ধর্মপ্রচারক মারাত্মক অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে গেছেন৷ তিনি এবোলায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ সৌদি আরবে একজন রোগীর মৃত্যুর কারণও এবোলা বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা৷ নাইজেরিয়াতেও একজন নার্স এবোলার সংক্রমণে মারা গেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এবোলা সংক্রমণের লক্ষণ
এবোলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মারাত্মক জ্বর এবং কারও কারও অবিরত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে৷ সঙ্গে থাকে মাথা, পেশী এবং তলপেটে তীব্র ব্যথা৷ রোগীর একদিকে ক্ষুধা কমে যায়, অন্যদিকে শুরু হয় পাতলা পায়খানা৷ সাধারণত শরীর থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন তরল পদার্থের মাধ্যমে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আক্রান্ত চিকিৎসক
বলা বাহুল্য, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচর্যাকারীর মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি৷ লাইবেরিয়াতে যেমন এবোলা রোগীদের পরিচর্যাকারী দুই মার্কিন স্বাস্থ্যকর্মী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর, তাঁদের চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সংক্রমণের আশঙ্কা
মূলত কোনো প্রাণী বা মানুষের রক্ত, বীর্য, যোনিরস বা দেহ নির্গত অন্য কোনো তরলের সংস্পর্শে এ রোগ ছড়ায়৷ বলা বাহুল্য, অনিয়ন্ত্রিত এবং অনিরাপদ যৌন মিলনেও এ রোগের সংক্রমণ হয়ে থাকে৷ অর্থাৎ কিছু কিছু ক্ষেত্রে এইডস রোগের সঙ্গে এবোলার মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
উড়ন্ত খ্যাঁকশিয়াল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, পশ্চিম আফ্রিকায় এবোলা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ উড়ন্ত খ্যাঁকশিয়াল৷ এই প্রাণীটি ভাইরাসটি বহন করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে৷ এমনকি সংক্রমিত প্রাণীটি যখন ফলমূল ও অন্যান্য প্রাণী খাচ্ছে, তখন সেসব খাদ্যের অবশিষ্ট অংশ থেকেও ছড়িয়ে পড়ছে এবোলা৷
ছবি: imago
সংক্রমণের ঝুঁকি
তার মানে শুধু মানুষ থেকে মানুষে নয়, মানুষ যখন এবোলায় আক্রান্ত প্রাণীর রক্ত বা মাংসের সংস্পর্শে আসে, তখনও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে৷ বরং সেক্ষেত্রে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে জানান চিকিৎসকরা৷ তাই খ্যাঁকশিয়াল থেকে অন্য প্রাণী বা ফলমূল হয়ে সহজেই মানুষের মধ্যে এবোলা ভাইরাস তার বংশবৃদ্ধি করে৷
ছবি: DW
৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু
এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যুর অবধারিত৷ সেজন্যই তো একে মহামারি বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
ছবি: Reuters
বড় সমস্যা
বলা বাহুল্য, আফ্রিকায় বন্য প্রাণী খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে৷ সব বাজারেই এ সব মাংস পাওয়া যায়৷ গবেষকদের ধারণা, এ ধরনের বন্য প্রাণীর মাংস থেকে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এবোলা৷ তার সঙ্গে অনিরাপদ যৌন মিলন তো রয়েছেই!
ছবি: picture-alliance/dpa
পরীক্ষামূলক ওষুধ এখনই নয়
এবোলা সংক্রমণ নিরাময়ের উপায় এখনো আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি৷ যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি একটি ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করার সময় এখনো আসেনি বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ কারণ মার্কিন দুই স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর ওষুধটি প্রয়োগে তাঁদের উন্নতির ধরণে তারতম্য দেখা গেছে৷
ছবি: LEON NEAL/AFP/Getty Images
12 ছবি1 | 12
বড় চ্যালেঞ্জ
আবুবকর জানান, এবোলার লক্ষণ সিয়েরা লিওনেও দেখা যাচ্ছে৷ তবে সবাইকে ডাক্তার ও সাহায্য সংস্থাগুলির পরামর্শ শোনানোটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ এখনও অনেকে মনে করেন, ব্ল্যাক ম্যাজিক কিছু রোগ সারাতে পারে৷
চিকিত্সকদের প্রতি আস্থার অভাব
এছাড়া হাসপাতাল ও চিকিত্সকদের প্রতি আস্থার অভাবও রয়েছে৷ সিয়েরা লিওনে এবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে একটি খবরও ছড়িয়ে পড়ে, যার এবোলা হয়েছে সে মারা যাবে৷ তাই অনেকের মনেই এই প্রশ্ন দেখা দেয়: ‘‘আমি কেন হাসপাতালে যাব? ডাক্তাররা যখন বলেই দিয়েছেন যে আমি আর বাঁচবো না৷’’
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষরা হাসপাতাল এড়িয়ে চলেন৷ তাঁরা হিলারদের কাছে যান৷ অথবা হাসপাতালে গেলেও সাফল্য না দেখে আবার সনাতন পদ্ধতির ডাক্তারের শরণাপন্ন হন৷ দুটি বিষয়ই মহামারির জন্য বিপজ্জনক৷ এতে করে অসুখটি দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয় না৷ রোগীকে আলাদা না করায় ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস৷
ইতোমধ্যে সিয়েরা লিওনের হাসপাতালগুলিকে পাহারা দেওয়ার জন্য সেনা নিয়োগ করা হয়েছে, যাতে পরিবারের লোকজন ডাক্তারদের পরামর্শের বিরুদ্ধে রোগীকে জোর করে বের করে নিয়ে যেতে না পারে৷ উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে এবোলার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর পশ্চিম আফ্রিকায় মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে৷
গ্রীষ্মকালীন ভাইরাস জ্বরকে দূরে রাখুন
শুধু শীত বা হেমন্তকালেই নয় গরমের সময়ও অনেকের সর্দি-কাশি এবং জ্বর হয়৷ কেন হয়, আর এ থেকে নিজেদের দূরে রাখার উপায়ই বা কি? চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু তথ্য এই ছবিঘর থেকে৷
ছবি: DW
গ্রীষ্মকালে সর্দি-কাশি?
সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথা এসবই যেন শীত বা হেমন্তের অসুখ বলে অনেকে ধরে নেন৷ তবে মনে রাখতে হবে, আপনাকে ঠাণ্ডা লাগাতে পারে এমন ভাইরাসের সংখ্যা কিন্তু ২০০’র বেশি৷ সমুদ্রসৈকতে সূর্যস্নান, সুইমিংপুলে সাঁতার কাটা কিংবা বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড়ে যাওয়া অথবা ঘরে এসি-র ঠান্ডা বাতাস খাওয়া– এসব কারণেও কিন্তু গরমকালে মানুষ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সামান্য হাঁচিতেই ছড়াতে পারে জীবাণু
জার্মানিতে ফার্মেসিতে কাজ করেন ক্রিস্টোফ ইয়েগার৷ তিনি বলেন, ‘‘একটু কাশি বা হাঁচি থেকেই গ্রীষ্মকালীন ভাইরাস জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু ছড়াতে পারে৷’’
ছবি: Fotolia/Brenda Carson
অতিরিক্ত সূর্যের তাপ এড়িয়ে চলুন
ক্রিস্টোফ ইয়েগার বলেন, ‘‘অতিরিক্ত সূর্যস্নান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে যায়৷ বেশিক্ষণ কড়া রোদে শুয়ে না থেকে বরং একটু ছায়ায় শুয়ে থাকা ভালো৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa
অ্যান্টিবায়োটিকের বদলে ভিটামিন সি
তিনি আরো বলেন, ‘‘ঠাণ্ডা বা সর্দি-কাশি হলে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজন নেই৷ তাছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেলেও এসময় তেমন কোনো কাজে আসে না৷ তারচেয়ে বরং একটু সাবধানে অর্থাৎ কিছুটা বিশ্রামে থাকা, কমলার রস এবং প্রচুর পানি পান করাই শ্রেয়৷’’
ছবি: Javier Castro Nido
বেশি করে হাত ধোয়া উচিত
ভাইরাসের জীবাণু ছড়াতে পারে বিভিন্ন জায়গা থেকে, যেমন রাস্তাঘাটে, গাড়ির হ্যান্ডেল, দরজা ও জানালা ধরা থেকে৷ কাজেই বাইরে থেকে এসে প্রথম কাজ হলো সাথে সাথেই হাত ধুয়ে ফেলা৷ আর এই অভ্যাস করা উচিত একেবারে শিশু বয়স থেকেই৷
ছবি: BilderBox
একটু দূরে থাকুন
যেখানে মানুষের ভিড় বেশি সেসব জায়গা থেকে দূরে থাকা উচিত৷ তবে ভিড়ের ভেতর থাকলে সম্ভব হলে কোনো মানুষের একেবারে কাছাকাছি না যাওয়া ভালো৷ আসলে ভাইরাস জ্বরের জীবাণু এভাবেই ছড়ায়৷ তাছাড়া শিশুদের আরো সাবধানে রাখা উচিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গ্রীষ্মকালীন জ্বর, নাকি ইনফ্লুয়েঞ্জা?
ক্রিস্টোফ ইয়েগার বলেন, ‘‘অনেকেই ভাইরাস জ্বর আর ইনফ্লুয়েঞ্জাকে এক করে ফেলেন৷ ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণত শীত বা হেমন্তকালেই হয়ে থাকে৷ তাই এ ব্যাপারে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন৷ কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা হয় অন্যরকম৷’’
ছবি: picture alliance/empics
জানালা বন্ধ রাখুন
গাড়ি, বাস বা ট্রেনে যাতায়াতের সময় জানালা দিয়ে ঢোকা বাতাস যেন শরীরে না লাগে সে ব্যাপারে সচেতন থাকুন৷ কারণ এতে হঠাৎ করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি৷
ছবি: DW
8 ছবি1 | 8
দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে
গিনি থেকে প্রতিবেশী লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনেতে বিস্তৃত হয়েছে এবোলার ভাইরাস৷ সম্প্রতি আরো দূরের দেশ নাইজেরিয়ায় পৌঁছেছে এই ভাইরাসের থাবা৷
ভুক্তভোগী দেশগুলিতে অনেক মানুষই এই রোগের অস্তিত্ব স্বীকার করতে চান না৷ নিজের কিংবা আত্মীয়স্বজনের এবোলা হলেও তা জানাতে সংকোচ বোধ করেন৷ এর ফলে এবোলা-সংকটকে দমন করা আরো দুরূহ হয়ে উঠেছে৷ এ কারণে ভুক্তভোগী দেশগুলিতে মানুষকে সচেতন করার ক্যাম্পেন শুরু করেছেন চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ৷ এবোলার লক্ষণ, যেমন জ্বর, মাথাব্যথা ও পেশিব্যথা হলে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা৷
এক্ষেত্রে হিলারদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ৷ রেডক্রসের আবুবকর জানান, ‘‘কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় হিলার আমাদের টিমের সঙ্গে আছেন৷ তাঁরা এবোলা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করেন৷ এবোলা যে হিলারদের কাছে নয় হাসপাতালে যাওয়ার মতো একটি ব্যাধি, সেই তথ্যও পৌঁছে দেন তাঁরা মানুষের কাছে৷’’