সাঁতার তো অনেকেই কাটতে পারে৷ কিন্তু সাঁতার না জেনেই এমন নির্ভীক ভঙ্গিমায় কজন ঝাঁপাতে পারবেন পানিতে? সেই সাহস দেখিয়ে ভাইরাল হয়েছে দু'বছরের এক বাচ্চা৷
বিজ্ঞাপন
বাসার পেছনেই সুইমিং পুল৷ সেখানেই দুই সন্তানকে সাঁতার কাটতে নিয়ে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার কোরিনা কাসানোভা৷ সতর্কতার জন্য বাচ্চাদের দু'হাতে অবশ্য পড়িয়ে দেয়া হয়েছে বাতাসভর্তি প্যাড৷
পানিতে নামার সাহস জোগাতে দুই সন্তানের সাথে নিজেও সাঁতারের প্রস্তুতি নেন তিনি৷ কিন্তু ১, ২, ৩ বলে পানিতে ডাইভ দেয়ার পর দেখা গেলো, শুধু কাসানোভাই পানিতে, তাঁর বাচ্চাদুটো তখনও দাঁড়িয়ে আছে পুলের পাশেই৷
একসময় বড় ছেলেও ডাইভ দেয়ার চেষ্টা করে পানিতে ঝাঁপ দেয়৷ কিন্তু কী করা যায় বুঝতে না পেরে তখনও একা দাঁড়িয়ে ছোট ছেলে ডিকন৷
সুইমিং পুল থেকে মাকে শোনা যায় উৎসাহ দিতে৷ একসময় সাহস সঞ্চয় করে সোজা উপুড় হয়ে পুলের পানিতে পড়ে যায় ডিকন৷
দু'বছরের ডিকনের এই কিউট সাহসে মজা পেয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহারকারীরা৷ ১৫ জুলাই আপলোড করা ভিডিও এরই মধ্যে দেখা হয়েছে ৭৭ লাখ বার৷ ৩৫ হাজার লাইকের পাশাপাশি কমেন্ট করেছেন ২১ হাজার মানুষ৷
পানির নীচে এসব কাজও করা যায়!
ডাইভিং বা সাঁতার অথবা স্নোরকেলিং কি আর আপনার মনে কোনো রোমাঞ্চ সৃষ্টি করে না? তাহলে পানির নীচে যেতে পারেন৷ রেস্তোরাঁ এবং জাদুঘরগুলো আপনার অপেক্ষায় আছে৷ দেখে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: Jason deCaires Taylor - creator & photographer
বিভিন্ন ড্রামারের ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গ
ড্যানিশ ব্যান্ড ‘বিটুইন মিউজিক’ এমন সব বাদ্যযন্ত্র আবিষ্কার করেছে, যেগুলো আপনি পানির নীচে বাজাতে পারেন৷ এগুলোর মধ্যে আছে হাইড্রাউলোফোন, পানির নীচে বাজে এমন অর্গান, ক্রিস্টালোফোন, গ্লাস হারমোনিকা এবং বিশেষ ড্রাম৷ তাঁদের অ্যালবাম ‘অ্যাকোয়াসনিক’ রেকর্ড করা হয়েছে উষ্ণ পানির বিভিন্ন পুলে, যেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি৷ তাঁ@রা অবশ্য গান গাওয়ার জন্য বিশেষ কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে থাকেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/J, Nackstrand
কোনো সাধারণ বাগান নয়
আপনার অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছ কি প্রায়ই সেখানকার উদ্ভিদ খেয়ে ফেলে? তাহলে আপনি ‘অ্যাকোয়াস্কেপিং’ চেষ্টা করে দেখতে পারেন৷ এর মাধ্যমে আপনি পানির নীচে দারুণ সব দৃশ্য সৃষ্টি করতে পারেন৷ কেবল উদ্ভিদ ব্যবহার করেই নয়, পাথর, গাছের শেকড়, কাঠও ব্যবহার করতে পারেন আপনি৷
ছবি: DW
পানির তলদেশে খাওয়া
বেলজিয়ামের রেস্তোরাঁ ‘দ্য পার্ল’ ব্রাসেলসে অবস্থিত, যেটি বিশ্বের অন্যতম গভীর পুলে নির্মাণ করা হয়েছে৷ এর ভেতরে যেতে হলে অতিথিদের সাঁতারের পোশাক পরতে হবে এবং একটা ক্যাপসুলের ভেতর দিয়ে ৫ মিটার সাঁতরে যেতে হবে৷ আর মেন্যুতে কী থাকছে? অবশ্যই সামুদ্রিক খাবার! প্রতিটি খাবার ওয়াটারপ্রুফ কাঁচ দিয়ে প্যাক করা৷ প্রতি জনের খাবারের মূল্য মাত্র ১০০ ইউরো!
ছবি: DW
পানির তলদেশে শিল্পকর্ম
২০১৬ সালে ব্রিটিশ ভাস্কর জেসন ডি কেয়ার্স টেইলর তাঁর নতুন প্রকল্প চালু করেন ক্যানারিসের ল্যানসারোট উপকূলে৷ তাঁর ‘মুসিও আটলান্টিকো’ শিল্পকর্মটি পানির ১৪ মিটার গর্ভীরে তৈরি করেছেন তিনি, যেখানে ২০০টিরও বেশি ভাস্কর্য রয়েছে৷ পরিবেশবান্ধব পদার্থ ব্যবহার করেই ভাস্কর্যগুলো নির্মাণ করা হয়েছে৷ এর ফলে সমুদ্র তলদেশে প্রাণী বা উদ্ভিদের কোনো ক্ষতি হবে না৷
ছবি: Jason deCaires Taylor - creator & photographer
বুদবুদের মাধ্যমে বার্তা
বিয়ের বর-কনের অবশ্যই অতিথিদের একটা মজার তালিকা হতেই পারে: রঙিন মাছ, শৈবাল, স্টিং রে, এমনকি হাঙর পর্যন্ত৷ আপনি যদি ইউরোপে থাকেন, তাহলে কিন্তু এটা সম্ভব৷ এই মহাদেশজুড়ে এমন অনেক অ্যাকোয়ারিয়াম রয়েছে, যেখানে গিয়ে আপনি বিয়ের কাজটি সেরে ফেলতে পারেন৷ আর বিয়ের অঙ্গীকার, অর্থাৎ ‘আই ডু’ বলার সময় একটি বুদবুদের মাধ্যমে সেই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন অন্য সবার কাছে৷