1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এভারেস্ট জয়

২২ মে ২০১২

অবশেষে বাংলাদেশের একজন নারী এভারেস্ট জয় করলেন৷ এম এ মুহিতকে সঙ্গে নিয়ে নিশাত মজুমদার গত ১৯ মে সকালে এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করেন৷ মুহিত’এর এটি দ্বিতীয়বার এভারেস্ট জয়৷

ছবি: picture-alliance/dpa

এভারেস্টের সঙ্গে বাংলাদেশিদের সখ্যতা খুব বেশি দিনের নয়৷ ২০১০ সালের ২৩'মে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহিম৷ তিনিই হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি, যিনি কিনা এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশি পতাকা উড়ালেন৷ ঠিক এক বছর পর, ২০১১ সালের মে মাসে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্টের চূড়া জয় করেন এম এ মুহিত৷

এম এ মুহিতছবি: Harun Ur Rashid Swapan

মুহিত এবছর আবারো এভারেস্ট জয় করেছেন৷ পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই পর্বত তিনি ডিঙ্গিয়েছেন উত্তর (তিব্বত অংশ) এবং দক্ষিণ (নেপাল অংশ) দুই দিক দিয়েই৷ এটাও বাংলাদেশিদের জন্য এক রেকর্ড৷ তবে এবার মুহিত'এর সঙ্গী নিশাত মজুমদার৷ বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ী নারী নিশাত৷ এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে ডয়চে ভেলেকে নিশাত বলেন, ‘‘এরকম একটা কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে৷ পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হচ্ছে এভারেস্ট৷ এই শৃঙ্গে আরোহণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে''৷

নিশাত জানান, বাংলাদেশের মেয়েরা এখনো অনেক কাজ করতে চান না৷ কিছুক্ষেত্রে তারা মনে করেন, এটা আসলে তাদের কাজ নয়৷ কিন্তু আমার এভারেস্ট জয়ের পর মেয়েদের এই চিন্তা হয়ত বদলে যাবে৷ মেয়েরাও যে সব কাজ করতে পারে, সেটা এখন প্রমাণিত৷ তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহণ করা৷ এই কাজটা যদি একটি মেয়ে করতে পারে, তাহলে আমরা মেয়েরা মনে হয় সব কাজই করতে পারবো''৷

Week21/12 LS3-Youth: Report on First Bangladeshi woman Everest winner - MP3-Mono

This browser does not support the audio element.

ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় বেস ক্যাম্পে বিশ্রাম গ্রহণ করছিলেন নিশাত৷ ভূমি থেকে এই ক্যাম্পের উচ্চতা সাড়ে সতের হাজার ফুট৷ মঙ্গলবার সেখানে অবস্থান করছেন মুহিতও৷ দ্বিতীয়বার এভারেস্ট জয়ী এই পর্বতারোহী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নেপালের দিক থেকে এভারেস্ট জয় তিব্বতের দিকের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন, অন্তত ২০ গুন কঠিন৷  আমরা এই প্রথম আভালঞ্চে (তুষারধস) পড়েছিলাম৷ তবে আমরা অলৌকিকভাবে দেশবাসীর দোয়ায় বেঁচে যাই৷ আমাদের কোনকিছু হয়নি, অক্ষতভাবে বেঁচে গেছি৷''

ছবি: dpa - Report

বলাবাহুল্য, এবছর এভারেস্টের আবহাওয়া মোটেই পর্বতারোহীদের অনুকূলে নেই৷ নিশাত এবং মুহিত সফলভাবে ১৯ মে চূড়ায় আরোহণ করে ফিরে আসলেও এই সময়ে কয়েক পর্বতারোহী মারা গেছেন৷  মুহিত এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমি যতদূর জানি, নেপালের দিক থেকে প্রায় ১২-১৩ জন মারা গিয়েছেন৷ এবং সামিটের পর ৫-৬ জন মারা গিয়েছেন, কারণ শরীরে তখন আর কিছু থাকে না৷''

উল্লেখ্য, নিশাত মজুমদার এবং এম এ মুহিতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সারা দেশের মানুষ৷ মূলধারার গণমাধ্যম ছাড়াও ফেসবুক এবং ব্লগে এই বিষয়ে অসংখ্য নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে৷ এই দুই পর্বতারোহী বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাব (বিএমটিসি)'র সদস্য৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ