1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘এভারেস্টে চড়া পর্বতারোহণ নয়’

৩ জুন ২০১৩

রাইনহোল্ড মেসনারকে বিশ্বের প্রখ্যাততম পর্বতারোহীদের মধ্যে গণ্য করা হয়৷ নিজে এভারেস্ট জয় করেছেন ১৯৭৮ সালে, অক্সিজেন ছাড়াই৷ তিনি এবার শেরপাদের সঙ্গে ইউরোপীয় পর্বতারোহীদের বিরোধে নাক গলিয়েছেন৷

Die beiden Bergsteiger Reinhold Messner (r) und Peter Habeler, die als erste Menschen den höchsten Berg der Welt, den 8848 Meter hohen Mount Everest, ohne Sauerstoffgeräte und andere technische Hilfsmittel bestiegen hatten, werden am 22.5.1978 bei ihrer Ankunft aus Nepal auf dem Flughafen München-Riem als erstes von ihren Frauen, Regine Habeler (l.) und Uschi Messner, begrüßt.
ছবি: picture-alliance/dpa

সুইজারল্যান্ডের উয়েলি স্টেক ও ইটালির সিমোনে মোরো, দু'জনেই নাম-করা পর্বতারোহী৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আবার এক ব্রিটিশ অ্যালপাইন ফটোগ্রাফার৷ এই তিনজনের সঙ্গে শেরপাদের প্রায় হাতাহাতি বাধে গতমাসে মাউন্ট এভারেস্টের ঢালে৷ বিরোধটা স্বভাবতই বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে চড়ার অধিকার ও তার নগদ মূল্য নিয়ে৷

ওদিকে মেসনার গেছিলেন কাটমান্ডু – প্রত্যাশা মতোই – হিলারি-তেনজিংয়ের এভারেস্ট বিজয়ের ৬০ বছর পূর্তির উৎসব উপলক্ষ্যে৷ এবং প্রত্যাশা মতোই তাঁকে গতমাসের হাতাহাতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়৷ মেসনার রেখেঢেকে কথা বলার পাত্র নন৷ তিনি সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইউরোপীয় পর্বতারোহীদের ‘‘পরগাছা'' বলে অভিহিত করেছেন৷

‘‘পরগাছা''

মেসনারের যুক্তি হলো, শেরপারা দড়িটড়ি লাগিয়ে সব ব্যবস্থা করে রেখে তারপর দেখে, কিভাবে শ'য়ে শ'য়ে মানুষ এভারেস্টে চড়ছে, যেন হাইকিং করতে এসেছে৷ সকলেই চড়ার সময় শেরপাদের বসানো দড়ি, মই ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে৷ মেসনার আরো খোলসা করে বলেছেন, ‘‘পর্বতারোহীরা যাঁরা খুম্বু আইসফল-এ শেরপাদের বসানো মই ব্যবহার করেন, পরে দড়ি ছাড়া এভারেস্টে চড়েন এবং দাবি করেন যে তাঁরা বিশেষ কিছু করেছে, তাঁরা হলো পরগাছা৷ সকলেই শেরপাদের সৃষ্ট অবকাঠামো ব্যবহার করেন, কিন্তু সকলে তার জন্য পয়সা দিতে রাজি নন৷''

ইউরোপীয়দের সঙ্গে বিরোধ সম্পর্কে শেরপাদের ভাষ্য হলো, ইউরোপীয়দের বলা হয়েছিল বাণিজ্যিক পর্বতারোহীদের জন্য লোৎসে ফেসে দড়ি বসানো হচ্ছে৷ এখন যেন তাঁরা বেস ক্যাম্পেই থাকেন৷ অপরদিকে ইউরোপীয়দের দাবি, তাঁরা তো আর শেরপাদের লাগানো দড়ি ব্যবহার করেননি৷ কাজেই তাঁদের নিজের মর্জি মতো চড়ার অধিকার ছিল৷

পর্বতারোহণ, না ট্যুরিজম?

বিরোধ যা নিয়েই হোক, তার পর সেই বিরোধ নিয়ে হাতাহাতি যেন পর্বতারোহণের মতো একটি সুন্দর, ছিমছাম স্পোর্টে হঠাৎ ‘গার্মেন্টস' ঢুকে যাওয়া! বিত্তশালী পশ্চিমি পর্বতারোহীরা আসছেন এভারেস্টে চড়তে৷ শেরপারা সে তুলনায় অতি কম পারিশ্রমিকে তাঁদের সাহায্য করছেন, পথ দেখাচ্ছেন, মালপত্র বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷ এই তো সুপ্রচলিত প্রণালী৷

‘‘এভারেস্টে চড়া আজ পর্বতারোহণ নয়, ট্যুরিজম’’ছবি: picture-alliance/dpa

কিন্তু এভারেস্ট বিজয়ের ৬০ বছর পরে এভারেস্ট আরোহণের ধারাপ্রকৃতি বদলে গিয়েছে, আসল সমস্যাটা সেখানেই৷ রাইনহোল্ড মেসনার, যিনি প্রথম অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টে চড়েছেন; যিনি প্রথম অক্সিজেন ছাড়া বিশ্বের যে ক'টি শৃঙ্গের উচ্চতা আট হাজার মিটারের বেশি, তাদের মধ্যে সবগুলি, অর্থাৎ চোদ্দটিতেই চড়েছেন; যিনি প্রথম একা, অর্থাৎ সঙ্গী ছাড়াই একটি আট হাজারের মিটারের শৃঙ্গ, নাঙ্গা পর্বতে চড়েন; যিনি পায়ে হেঁটে দক্ষিণ মেরু এবং গোবি মরুভূমি পার হয়েছেন – সেই রাইনহোল্ড মেসনার এএফপি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন: ‘‘হিলারি আর তেনজিং ৬০ বছর আগে যা করেছেন, তা ছিল আশ্চর্য৷ ইতিমধ্যে এভারেস্ট ট্যুরিস্টদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে৷''

এভারেস্টে চড়া আজ পর্বতারোহণ নয়, ট্যুরিজম, বললেন মেসনার৷

এসি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ