1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এভারেস্ট জয়ী সৌদি নারী

২৮ মে ২০১৩

২৫ বছর বয়সি রাহা মোহাররক গত ১৯ মে এভারেস্টের শৃঙ্গে আরোহণ করেন প্রথম সৌদি এবং তরুণতম আরব মহিলা হিসাবে৷ তিনি চান, অপরাপর সৌদি মহিলারাও এভাবে চ্যালেঞ্জ নিতে এগিয়ে আসুন৷

epa03719837 A handout picture made available on 27 May 2013 and released by the mountaineer herself shows Saudi Raha Moharrak holding her national flag near the top of Mount Everest, Nepal, 17 May 2013. Moharrak and her teammates attended a press conference upon their arrival to the Gulf emirate of Sharjah, United Arab Emirates, 26 May 2013. The team who climbed the top of Everest mountain and had called themselves 'Arabs on Top of the World' consists of Raha Moharrak , first Palestinian man Raed Zidan, first Qatari man Sheikh Mohammed Al-Thani and youngest Iranian man Masoud Mohammad .They are trying to raise a million dollars for education projects in Nepal with Reach Out to Asia in this 60th anniversary year of the first climb of the summit. EPA/RAHA MOHARRAK HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES
ছবি: picture-alliance/dpa

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার বিমান থেকে নামলেন রাহা মোহাররক৷ সঙ্গে এভারেস্ট আরোহণের তিন সঙ্গি: কাতারের শাসক পরিবারের সদস্য শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুল্লাহ আল-থানি – তিনিই প্রথম কাতারি, যিনি এভারেস্ট জয় করলেন৷ দ্বিতীয়ত, ফিলিস্তিনের রায়েদ জিদান, যিনি এই এভারেস্ট অভিযানে ফিলিস্তিনি সংগ্রাম, ইসরায়েলি জবরদখলি শক্তির কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের কথা শুনিয়েছেন নানা দেশ থেকে আসা নানা অভিযাত্রীকে৷

রাহার দলে চতুর্থজন ছিলেন ইরানের মাসুদ মোহাম্মদ৷ চারজনেই শারজার অ্যামেরিকান ইউনিভার্সিটির স্নাতক৷ এভারেস্টে উঠেছিলেন নেপালের কচিকাঁচাদের শিক্ষার জন্য অর্থসংগ্রহের উদ্দেশ্যে৷ কাতারের শাসক পরিবারের সদস্য আল-থানি পরে জানান, তাঁরা এই অভিযান থেকে দশ লক্ষ ডলার তুলতে সমর্থ হয়েছেন৷

রাহা মোহাররকছবি: Marwan Naamani/AFP/Getty Images

রাহা মোহাররক প্রথম সৌদি মহিলা হিসেবে এভারেস্টে উঠলেন বটে, কিন্তু সৌদি আরব হলো বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে আজও মহিলাদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ৷ রাহা নিজে এএফপি সংবাদ সংস্থাকে তাঁর সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন মাথা থেকে পা পর্যন্ত আবাইয়া, অর্থাৎ বোর্খায় ঢেকে৷ রাহার বাড়ি জেদ্দায়৷ এভারেস্টে ওঠার আগে ছ'মাস ধরে কঠিন ট্রেনিং নিয়েছেন৷ অপরদিকে তাঁর পর্বতারোণের নেশা অনেক দিনের৷ এ যাবৎ তিনি ইউরোপ, তানজানিয়া, দক্ষিণ মেরু ও আর্জেন্টিনা মিলিয়ে মোট ন'টি শৃঙ্গে আরোহণ করেছেন৷

রাহাকে প্রথমে তাঁর নিজের পরিবারের লোকজনদের রাজি করাতেই বেগ পেতে হয়েছিল৷ সাধারণভাবে সৌদি জনগণের তরফ থেকেও তিনি শুধু সমর্থন নয় ,সমালোচনাও কুড়িয়েছেন৷ কিন্তু এভারেস্ট জয়ের পর দৃশ্যত সে পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ রাহার আগমনের জন্য শারজা বিমানবন্দরে যারা অপেক্ষা করছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন ইউএই-তে সৌদি দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আব্দুল মোহসেন আল-হার্থি৷ আল-হার্থি এএফপি-কে বলেন, ‘‘এটা হলো এমন একজন মহিলার বার্তা, যিনি বলতে চান: ‘আমি এ দেশের একজন মেয়ে৷ পুরুষদের মাঝখানে আমি আমার জায়গা করে নিয়েছি৷'''

রাহা মোহাররক স্বয়ং বলেছেন, ‘‘আমি আমার সংস্কৃতি ও ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু করিনি৷ বিরাট কিছু করার জন্য সমাজের বিরুদ্ধে যাবার প্রয়োজন পড়ে না৷''

তবুও, সৌদি মহিলারা একদিন গাড়ি চালাতে পারবেন বলেই রাহার আশা৷ আপাতত ‘‘আরো অনেক বিষয় আছে, যেখানে আমরা বড় কিছু করতে পারি৷''

এসি/এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ