এমডিজির প্রধান লক্ষ্য ছিল সামগ্রিক উন্নয়ন৷ এর কিছু বিষয় সুনির্দিষ্ট থাকলেও, অনেকগুলো ক্ষেত্র ছিল বায়বীয়৷ ফলে যখন এমডিজির লক্ষ্য পূরণের ইতিবাচক হিসাব সামনে আনা হয়, তখন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মেলে না৷ তৈরি হয় নতুন প্রশ্নও৷
বিজ্ঞাপন
এমন অবস্থায় দীর্ঘ ১৫ বছর পর, ২০১৫ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রণীত এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা শেষ হয়৷ জাতিসংঘের নতুন উদ্যোগ এসডিজি৷ লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন উন্নয়ন৷ এসডিজির উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এমডিজিরই পরিবর্ধিত রূপ৷ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় দারিদ্র বিমোচন, ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব, সুস্বাস্থ্য, মানসম্মত শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, ব্যয়সাধ্য ও টেকসই জ্বালানি, কর্মসংস্থান, উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো, বৈষম্য দূরীকরণ – এমন ১৭টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে৷ প্রশ্ন হলো, এ রকম এমডিজি থেকে এসডিজি ঘরানার পরিকল্পনা নির্ধারণ করে আসলে কতটা উন্নয়ন করা যায়? এতে মানুষের ভাগ্যেরই বা ঠিক কতটা পরিবর্তন হয়?
এসডিজির ১৭ লক্ষ্য: পরামর্শক দলে ইউনূস, মেসি
জাতিসংঘের এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) কর্মসূচি শেষ হয়ে এসেছে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য)৷ আগে লক্ষ্য ছিল আটটি, এবার ১৭টি৷
এমডিজি থেকে এসডিজি
২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বা এমডিজিতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল আটটি৷ এমডিজি বাস্তবায়নে কয়েকটি ক্ষেত্রে ভালো সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ৷ এবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজিতে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে৷
ছবি: Fotolia/ben_photos
কোনো দারিদ্র্য নয়
এসডিজির প্রথম লক্ষ্য বিশ্ব থেকে একেবারে চরম দারিদ্র্য দূর করা৷ ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি করতে চায় জাতিসংঘ৷ বৈশ্বিক এই সংস্থার হিসাবে যাদের আয় দিনে সোয়া এক ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১০০ টাকা তারাই চরম দরিদ্র৷
ছবি: Farjana K. Godhuly/AFP/Getty Images
ক্ষুধা দূর
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষুধা দূর করতে হবে এবং গরিব ও নবজাতক শিশু সহ যেসব মানুষ সংকটের মধ্যে আছে তাদের জন্য নিরাপদ, পুষ্টিকর ও পর্যাপ্ত খাবারের সংস্থান নিশ্চিত করতে হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A.G. Farran
মা ও নবজাতকের মৃত্যু সংখ্যা
এক লক্ষ শিশু জন্মের বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা ৭০ এর নীচে নামিয়ে আনতে হবে৷ আর এক হাজার শিশুর জন্মের বিপরীতে নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা ১২-র নীচে নামাতে হবে৷ আর পাঁচ বছরের শিশু মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি এক হাজারে ২৫ জনে নামিয়ে আনতে হবে৷
ছবি: Fotolia/poco_bw
শিক্ষা
২০৩০ সালের মধ্যে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/ZB
লিঙ্গবৈষম্য দূর করা
নারী ও মেয়েদের ক্ষেত্রে সব ধরণের লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে হবে৷ ব্যক্তিগত ও জনজীবনে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সব রকমের (যেমন মানব পাচার, যৌন নির্যাতন) নির্যাতন বন্ধ করতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/D. Reinhardt
বিশুদ্ধ পানি
বিশ্বের সবাই যেন নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে৷ খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করতে হবে৷ নারী ও মেয়েদের জন্য মলমূত্র ত্যাগের স্থান ঠিক করার বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Y. Arhab
অন্য যেসব ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে
এর মধ্যে আছে সাশ্রয়ী ও টেকসই জ্বালানি, আর্থিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামো, রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে অসমতা, নিরাপদ শহর, সম্পদ ভোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, সামুদ্রিক সম্পদ, ইকোসিস্টেম, সুবিচার ও টেকসই উন্নয়ন৷ এ সব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে উপরের ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Fotolia/Ingo Bartussek
পরামর্শক গ্রুপে ইউনূস, মেসি, শাকিরা
এসডিজি কর্মসূচির পরামর্শক গ্রুপে আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, লিওনেল মেসি, শাকিরা সহ আরও ১২ জন৷ এই গ্রুপের দায়িত্ব হলো এসডিজি কর্মসূচির উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন করা৷
9 ছবি1 | 9
১. এ সব লক্ষ্য নির্ধারণ, ভালো ভালো শব্দে তার বিবরণ শুনতে ভালো লাগে৷ কিন্তু বাস্তবে এতে খুব একটা কাজ হয় না৷ দারিদ্র বিমোচন থেকে শুরু করে যা কিছুই বলা হোক না কেন, সব কিছুর মূলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা সমাজে সুশাসনের উপস্থিতি না থাকলে, কোনো লক্ষ্যই অর্জন সম্ভব নয়৷
২. সুশাসন না থাকলে ধনী আরও ধনী হয়, গরিব হয় আরও গরিব৷ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট করে বললে, গরিবের অর্থ ধনীরা লুটপাট করে নিয়ে যায়৷ রাষ্ট্র গরিবের স্বার্থ দেখে না, লুটপাটকারী ধনীদের পক্ষেই দাঁড়ায়৷
৩. যদি একটি দেশে গণতন্ত্র না থাকে, জনগণেরও অধিকার থাকে না৷ বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিন দিন কমে যাচ্ছে৷ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে৷ তৃণমূল পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছে৷ সরকারি মেকানিজমের জোর-জুলুমে নির্বাচনি প্রক্রিয়া বলতে কিছু থাকছে না৷ যে দেশের সরকারের ভোটের জন্যে জনগণের কাছে যেতে হয় না, সে দেশের সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন নিয়ে ভাবে না৷ সরকার যদি জনগণকে নিয়ে না ভাবে, তবে এসডিজির ১৭টি কেন, প্রায় কোনো লক্ষ্যই সুষ্ঠু-সঠিকভাবে অর্জিত হবে না৷
দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে বাংলাদেশ
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘বিশ্ব লিঙ্গবৈষম্য সূচক’ বলছে, নারী-পুরুষের ব্যবধান কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ৷
ছবি: AP
লিঙ্গ সমতা মাপা
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, ডাব্লিউইএফ ২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর ‘বিশ্ব লিঙ্গবৈষম্য সূচক’ প্রকাশ করে আসছে৷ মূলত চারটি বিষয় – অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগ, শিক্ষায় অর্জন, স্বাস্থ্য এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন – বিবেচনা করে এ সূচক প্রকাশ করা হয়৷ ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে সবশেষ সূচকটি প্রকাশ করা হয়েছে৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: picture-alliance/D. Reinhardt
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম
সবশেষ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৫টি দেশের মধ্যে ৬৮ নম্বরে৷ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের অবস্থান এরও পরে৷ ভারত ১০৮-এ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১৪৪ নম্বরে৷ আরও জানতে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: DW/M. Mamun
শীর্ষে স্বাস্থ্য খাত
যে চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সূচক প্রকাশ করা হয় তার মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি অর্জন করেছে৷ ২০১৪ সালের প্রতিবেদনে এই খাতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২২তম৷ ২০১৫ সালে সেটা ২৭ ধাপ এগিয়ে ৯৫তম অবস্থানে উঠে এসেছে৷
ছবি: D.net/Amirul Rajiv
শিক্ষা
২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে শিক্ষা খাতের ব়্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে ১০৯ নম্বরে আছে বাংলাদেশ৷ সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখা গেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে৷ এ বিষয়ে বাংলাদেশের ব়্যাংকিং এক৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১৯ নম্বরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন
এক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে দুই ধাপ এগিয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান আট৷ সংসদে নারী সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৭৬৷ আর মন্ত্রিসভায় নারী সদস্য সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ আছে ১২৬ নম্বরে৷
ছবি: DW/S. Kumar Day
যেখানে পিছিয়েছে
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গতবারের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৩০তম অবস্থানে এসেছে৷ শ্রমখাতে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ বিবেচনায় বাংলাদেশে অবস্থান ৯৭, আর একই কাজে নারী-পুরুষের বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে অবস্থান ১২৬ নম্বরে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman
সমতা আসতে লাগবে ১১৮ বছর!
ডাব্লিউইএফ বলছে, বেতনের পাওয়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা পুরোপুরি আসবে ২১৩৩ সালে, অর্থাৎ ১১৮ বছর পর৷ অবশ্য ২০১৪ সালের প্রতিবেদনে সংস্থাটি আরও আগেই এই সমতা আসতে পারে বলে জানিয়েছিল৷ কিন্তু গত এক বছরে পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় সমতা আসার সময়সীমাও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
7 ছবি1 | 7
৪. এ ধরনের সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের অর্থ-সম্পদ, স্বার্থ কোনো কিছুই রক্ষিত হয় না৷ দেশের আর্থিকভাবে অস্থিরতা, নৈরাজ্য বিরাজ করে৷ তৈরি হয় দেশে অসুস্থ, অস্থির এক পরিবেশ৷ রিজার্ভের পরিমাণ হয়ত বাড়ে, কিন্তু ব্যাংক থেকে অর্থ চুরি হয়, রিজার্ভ থেকে ডলার চুরি হয়৷ অথচ বিনিয়োগ বা শিল্পায়ন হয় না৷ আর বিনিয়োগ না হলে, বেকারত্ব কমানো যায় না৷ দারিদ্র বিমোচন, বৈষম্য কমানো যায় না, সমতা, অধিকার প্রতিষ্ঠিত করাও যায় না৷
৫. জাতিসংঘের উদ্যোগে উন্নত দেশগুলোর অর্থে গরিব বা অনুন্নত দেশের উন্নয়ন করা হবে৷ এমডিজি বা এসডিজির মূল লক্ষ্য এটাই৷ কিন্তু বাস্তবে উন্নত দেশগুলোর নীতি কী? তাদের নীতির কারণে গরিব মানুষের ভাগ্যের ঠিক কতটা পরিবর্তন হচ্ছে? জাতিসংঘ উন্নত দেশের নীতির ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না৷ যেমন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মালিক জনগণ৷ অথচ জনগণ দিন দিন সেই অধিকার হারাচ্ছে৷ জনগণের সম্পদ দেশের সরকারের সঙ্গে যোগসাজোস করে দখল করে নিচ্ছে উন্নত দেশের বহুজাতিক কোম্পানিগুলো৷ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীব্যাপী এমন নীতির বাস্তবায়ন হচ্ছে৷ যেমন জাপান কিছু সহায়তা বাংলাদেশকে দেয়, অল্প সুদে ঋণও দেয়৷ কিন্তু নানা শর্তে কাফকো-র কাছে প্রায় বিনামূল্যে গ্যাস বিক্রি করতে বাধ্য করে বাংলাদেশকে৷ গ্যাসের মতো দামি সম্পদ আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম ৬ ডলার, কাফকো-র কাছে সরকার বিক্রি করেছে ০.৭৯ ডলারে৷ বছরের পর বছর এভাবেই চলেছে৷ কিছু সাহায্য, কিছু ঋণ দিয়ে, এভাবে গ্যাস নিয়ে নিলে বাংলাদেশের দারিদ্র কীভাবে দূর হবে?
৬. দারিদ্র দূরীকরণ, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা অ্যামেরিকা-ইউরোপের নীতির কারণে ধনী দেশের মানুষও উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে৷ ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া বিষয়ে যে নীতি, তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ সব হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে৷ এক সময় যাদের সব ছিল, তারা সব হারিয়ে এখন ইউরোপের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে৷ সাগরে হারিয়ে গেছে হাজার হাজার নারী-শিশু-যুবক -বৃদ্ধ৷
৭. বলা হয়, পৃথিবীতে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি৷ তাদের দৈনিক আয় ১.২৫ ডলারের সমান বা কম৷ সামগ্রিকভাবে জাতিসংঘ বা উন্নত দেশগুলো যদি বিশ্বে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তবে তার নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে৷ বাংলাদেশ, আফ্রিকা বা অন্য অনুন্নত দেশগুলোর বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে৷ নিজেদের স্বার্থে অগণতান্ত্রিক সরকার টিকিয়ে রাখার নীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে৷ গরিব দেশের সম্পদ শোষণের মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে৷ অনুন্নত দেশে শিল্পায়ন বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু কৌশলি আচরণ বা কথা নয়, বাস্তবে ভূমিকা রাখতে হবে৷ তাহলেই হয়ত এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা অর্জিত হবে বাংলাদেশে৷
বন্ধু, আপনি কি গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে একমত? জানান মন্তব্যের ঘরে৷