1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সব মানুষই কি ‘খারাপ'?

ক্লারা ভালথার/ এসিবি২১ নভেম্বর ২০১৫

কয়েকদিন পরপরই হত্যা, নিষ্ঠুরতার খবর৷ এত যারা নিষ্ঠুরতা ছড়ায় তাদের তো সবাই খারাপই বলে৷ যারা মানুষ মেরে আনন্দ পায় তাদের অসুস্থ বলায় এক ধরণের যুক্তিও আছে৷ তবে সবার ভেতরেই কি একটা খারাপ মানুষ বাস করে?

Frankreich Schießerei bei Polizeiaktion in Saint-Denis Paris
ছবি: Reuters/J. Naegelen

দু'দিনের মধ্যে দু'টি বড় হামলা চালালো তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট' বা আইএস৷ প্রথমটিতে বৈরুতে হত্যা করা হলো ৪৪ জনকে, দ্বিতীয়টিতে মারা গেছে ১২৯ জন৷ জঙ্গিবাদ বিরোধী, মানবতাবাদী সব মানুষই এসব হামলার নিন্দা করেছেন৷ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ঘৃণাও জানিয়েছেন অনেকে৷ এমন হামলার রাজনৈতিক কারণ নিশ্চয়ই আছে৷ কিন্তু মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দেখানো কেমন রাজনীতি? নিরস্ত্র নিরীহদের হত্যায় কিসের বাহাদুরি? তাতে আবার কিসের আনন্দ? মানুষ কখন, কেন এমন কাজেও আনন্দ পায়? সেই আনন্দ কেমন মানসিকতা প্রকাশ করে?

এ সব প্রশ্নের অনেক রকম উত্তর হতে পারে৷ নানা জনের ব্যখ্যা নানা রকমের হবে এটাই স্বাভাবিক৷ ডয়চে ভেলে তাই এর রাজনৈতিক বা সামাজিক ব্যখ্যা জানতে না চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক ব্যখ্যা জানার চেষ্টা করেছে৷ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল সাইকোথেরাপিস্ট ইওয়াখিম বাউয়ারের কাছে৷ তিনি জানালেন, গাড়ি বোমা, বন্দুকের গুলি, আত্মঘাতী বোমা বা শিরশ্ছেদ করে যারা মানুষ মারে তারা স্বভাবে একেবারে ভিন গ্রহের মানুষ নয়৷ প্রতিটি সমাজেই এ ধরণের মানুষ আছে৷ বলতে গেলে সব মানুষের মধ্যেই থাকে আক্রমণাত্মক এক চেতনা যা সাধারণত সুপ্ত অবস্থায় থাকে, তবে বিশেষ সময়ে বা পরিস্থিতে তা প্রকাশ পায়৷ সিগমুন্ড ফ্রয়েডের দর্শনেও এ বিষয়টির উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছেন ইওয়াখিম বাউয়ার৷

‘পেইন ব্যারিয়ার – অন দ্য অরিজিন অফ ডেইলি অ্যান্ড গ্লোবাল ভায়োলেন্স' নামের একটি গ্রন্থের রচয়িতা ইওয়াখিম বাউয়ার আরো জানালেন, মস্তিষ্কের কোনো অংশ সহিংসতায় প্রণোদনার আশা জাগায় কিনা, বিজ্ঞানীরা তা-ও গবেষণা করে দেখেছেন৷ দেখা গেছে, গড়পড়তা মানুষের ক্ষেত্রে তা হয় না৷ তবে বিশেষ কারণে কারো কারো মস্তিষ্কে এমন হয় বলেও দেখা গেছে৷

কেন সহিংসতাতেও আনন্দ পেতে চায় মানুষ? ব্যখ্যাগুলো খুব সাধারণ৷ কখনো কখনো মানুষ বাহবা পাওয়ার আশায়ও এমন করে৷ বিশেষত এমনটি তারাই বেশি করে যাদের জীবনে বিশেষ কোনো দুঃখ, হতাশা, বঞ্চনার কষ্ট বা ব্যর্থতা আছে৷ এ সব যে নতুন কোনো আবিষ্কার নয়, তা ইওয়াখিম বাউয়ারও জানেন৷ যে কোনো অপরাধীরই অপরাধে জড়নোর কারণ সন্ধান করে এমন কোনো-না-কোনো বিষয় তুলে এনে লেখালেখি হয় প্রচুর৷

ইউরোপ থেকে যারা সিরিয়ায় গিয়ে যু্দ্ধে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিষয়েও এমন কোনো না কোনো কারণের কথা বলা হয়ে থাকে৷ বাবা-মায়ের অনাদরে বড় হওয়া, লেখাপড়ায় ভালো না করা, সমাজে সংখ্যালঘু হওয়ায় অধিকার বঞ্চিত হওয়া – এমন বিষয়ও উঠে আসে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে৷ ইওয়াখিম বাউয়ার জানান, যে কোনো কারণে নিজের পরিবেশেই নিজেকে বিচ্ছিন্ন বা অবমাননার শিকার মনে হলেও মানুষ সহিংসতার পথ ধরতে পারে৷

প্রিয় পাঠক, সহিংসতার মধ্যেও কি মানুষ আনন্দ পেতে চায়? নীচের মন্তব্যের ঘরে জানিয়ে দিন আপনার মতামত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ