1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এমপি লিটন হত্যার পেছনে জঙ্গি, নাকি কোন্দল?

২ জানুয়ারি ২০১৭

গাইবান্ধার সংসদ সদস‌্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গত শনিবার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা৷ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত‌্যু হয়৷ এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম৷

গাইবান্ধার সংসদ সদস‌্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন (ফাইল ফটো)
গাইবান্ধার সংসদ সদস‌্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন (ফাইল ফটো)ছবি: Bdnews24.com

সাংসদ লিটন এর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রিসভা৷ কে কারা, কেন হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনো অন্ধকারে পুলিশ৷

তবে ঘটনার পর থেকেই জেলা আওয়ামী লীগ এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করছে৷ পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮ জনকে আটক করেছে৷ তারাও জামায়াত-শিবিরের স্থানীয় নেতা-কর্মী বা সমর্থক বলে জানা গেছে৷

সুন্দরগঞ্জের শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি ছিলেন সাংসদ মনজুরুল৷  তিনি জামিনে ছিলেন৷ দৈনিক প্রথম আলো লিখেছে, শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলাকে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে সাংসদবিরোধী একটি পক্ষ সক্রিয় হয়েছিল৷ হত্যাকাণ্ডের পেছেন তাদের হাত থাকতে পারে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো৷ তবে জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘‘রাজনীতিতে বিরোধ থাকবেই৷ তবে মনজুরুলের সঙ্গে দলের কারও এমন বিরোধ ছিল না যে তাঁকে খুন করাতে হবে৷''

ইয়াসির আরাফাত ভূঁইয়া ফেসবুক পাতায় এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ তিনি খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন৷

ফাহিম আল মামুনের মতে সাংসদ লিটন ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছেন৷ তিনি ফেসবুক পাতায় লিখেছেন,

‘‘সৌরভকে গুলির ঘটনায় লিটনকে দায়ী করেছিল মিডিয়া৷ সেদিন ফুঁসে ওঠার কারণ ছিল৷ মূলত ঐটা ছিল ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ৷''  তিনি বলছেন, ‘‘সেদিন লিটনকে উদ্দেশ্য করে ছোঁড়া গুলি ভুল করে শিশুটির শরীরে লাগে আর দায়ী হন লিটন৷ লিটনের অপরাধ ৯৮ তে গোলাম আজমকে ঐ এলাকায় নিষিদ্ধ করা৷ ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে বিএনপি জামায়াতের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন৷ দুর্ভাগ্য, লিটনের জামাত-বিএনপি এবং মিডিয়ার ষড়যন্ত্রের সাথে তার পক্ষের লোকজনও গা ভাসিয়ে দিলো৷''

জাহাঙ্গীর আলম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘

‘‘মোশতাকরা এখনো এদেশে অবস্থান করে মিশে আছে সকলেরই সাথে, শুধু নামটা পরিবর্তন করেছে, চরিত্রের এতটুকু পরিবর্তন হয়নি আর মানসিকতার বিকাশ তো নয়ই৷ আর তাদের দ্বারাই আজ নিজ বাসায় খুন হতে হয় একজন এমপিকে৷ এই দেশ থেকে কি মোশতাকদের বংশ চিরদিনের জন্য শেষ করা যাবে না?''

আব্দুল হালিমও এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এই হত্যা বলে দেয় আমরা সুন্দর মানবিক সমাজ তৈরিতে ব্যর্থ৷ সকলের নিরাপদ জীবন কামনা করছি৷''

নাজমুল হাসান এই হত্যার ঘটনাকে ভয়াবহ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘এতবড় একটা ঘটনার কার্যকর কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখা যাচ্ছে না৷ আমি ঠিক জানি না, কেন এমন নীরবতা!''

প্রিনন ফারুক লিখেছেন, ‘‘এমপি লিটনের মৃত্যু উত্তরবঙ্গের আওয়ামী রাজনীতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জামাতি তাণ্ডবের এক পর্যায়ে গাইবান্ধার অনেক আওয়ামী সমর্থককে তওবা পড়ে আওয়ামী লীগ ছাড়তে হয়েছিল৷ থানা কমিটির একজন সম্পাদক পর্যায়ের নেতাও ওতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ কিন্তু এমপি লিটন ছিলেন জামাতিদের ত্রাস!''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ