দুই ধরনের কোভিড সনদের বাধ্যবাধকতার কারণে পাঁচটি দেশের যাত্রীরা শেষ গন্তব্যস্থল হিসেবে দুবাইয়ে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান পরিবহন সংস্থা এমিরেটস।
বিজ্ঞাপন
তবে ট্রানজিট যাত্রী হিসেবে দুবাই হয়ে অন্য দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা নেই বলেও জানিয়েছে এমিরেটস৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়৷
বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এই পাঁচ দেশ থেকে যেসব যাত্রীর শেষ গন্তব্য দুবাই, তাদের দুটি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে বলে এমিরেটসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নতুন ভ্রমণ বিধিতে বলা হয়েছে৷
প্রথমত, যাত্রা শুরুর আগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআরে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসতে হবে এবং কিউআর কোড সম্বলিত সেই কোভিড নেগেটিভ সনদ সাথ রাখতে হবে৷
দ্বিতীয়ত, উড্ডয়নের ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে তাদের র্যাপিড পিসিআর টেস্টের ফল নেগেটিভ আসতে হবে এবং কিউআর কোড সম্বলিত সেই কোভিড নেগেটিভ সনদ সঙ্গে রাখতে হবে৷
এই পাঁচটি দেশের বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা না থাকায় এসব দেশ থেকে কোনো যাত্রী দুবাইয়ে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছে এমিরেটস৷ এসব দেশ থেকে ট্রানজিট যাত্রীরা দুবাই হয়ে যেতে পারবেন, তবে তাদেরও সঙ্গে কোভিড নেগেটিভ সনদ রাখা জরুরি৷ বাংলাদেশের যাত্রীদের উড্ডয়নের আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআরে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে৷
ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া, এবং ইন্দোনেশিয়ার ট্রানজিট যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
করোনায় আর গ্রীষ্মের তাপে দুবাই
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পর্যটনস্থল দুবাই গ্রীষ্মকালে তেমন ভিড় টানে না৷ তারপরও এই করোনাকালে প্রখর তাপেও সেখানে মিলছে পর্যটকের দেখা৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ছবি: O'Neil Castro/Design Pics/imago images
গরমের মরসুম
আরব মরুভূমির ঠিক মাঝামাঝি অবস্থিত এই আমিরাতের আবহাওয়া মূলত গ্রীষ্মপ্রধান৷ গোটা বছরই তাপমাত্রার পারদ থাকে তিরিশের ওপরে৷ মার্চ থেকে অক্টোবর মাসে তা গিয়ে পৌঁছায় চল্লিশের কোঠায়৷ তবুও, পর্যটনের দিক থেকে দুবাই বিশ্বের অনেক দেশের পর্যটকদেরই পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে গত দুই দশকে৷
ছবি: Dan Baciu/imago images
করোনার প্রভাব
করোনা সব দেশেরই পর্যটন খাতে বড় ধাক্কা দিয়েছে৷ দুবাইয়ের সাথে অন্যান্য দেশের বিমান যোগাযোগ করোনাকালে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়৷ শুধু তাই নয়, দুবাইয়ের বাসিন্দার সংখ্যাও কমে যায় ৮ শতাংশ, যা আমিরাত অঞ্চলের ইতিহাসে নজিরবিহীন৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষের আশা, ‘দুবাই এক্সপো’র মতো উৎসবকে সামনে রেখে নতুন করে পর্যটনে নতুন জোয়ার আনা সম্ভব হবে৷
ছবি: KARIM SAHIB/AFP/Getty Images
ইসরায়েল থেকেও পর্যটক
প্রতি বছর আনুমানিক দুই থেকে তিন কোটি পর্যটক দুবাই বেড়াতে যান৷ কিন্তু করোনার প্রকোপ তা কমিয়েছে ব্যাপকভাবে৷ ২০২০ সালের শুরুর দিকে পর্যটন বন্ধ থাকলেও জুলাই থেকে আবার খুলে দেওয়া হয়৷ ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত হওয়ায় সেখান থেকেও পর্যটক আসছেন এখন৷
ছবি: KARIM SAHIB/AFP
কেন যাবেন দুবাই?
মরুভূমি একদিকে, অন্যদিকে সমুদ্র সৈকত৷ কিন্তু দুবাই কি শুধু তাই? ঝাঁ চকচকে বহুতলে ভরা দুবাই শহরের চাকচিক্য বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও রয়েছে বহু বিখ্যাত ব্র্যান্ডের দোকান, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের কাছে দুবাইকে কেনাকাটার আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তুলেছে৷
ছবি: Jürgen Effner/dpa/picture alliance
মশলার বাজার
শুধু ব্র্যান্ডের কেনাকাটাই নয়, দুবাইতে রয়েছে বিশাল আকারের একাধিক সুক বা মশলার বাজার, যার চাহিদাও পর্যটকদের কাছে কম নয়৷ আরব বিশ্বের এই ধরনের সুকগুলিতে নানা ধরনের মশলা ছাড়াও পাওয়া যায় দামী গালিচা, কাপড়, চা ও ঝাড়বাতি৷
ছবি: Arabian Eye/imago images
গ্রীষ্মের পর্যটন
প্রখর রোদে সমুদ্র সৈকতে না ঘুরতে চাইলে দুবাইয়ের পর্যটকরা যেতে পারেন দুবাই একোয়ারিয়াম ও পানির তলার চিড়িয়াখানায়, যা তাক লাগিয়ে দিতে পারে সব বয়সের পর্যটকদের৷ এছাড়া ইতিহাসে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে আল-ফাহিদি দুর্গ৷ দুবাইয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য জানতে পর্যটকরা যেতে পারেন গ্লোবাল ভিলেজে, যেখানে প্রায় ৯০টি দেশের সংস্কৃতির নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে৷
ছবি: Arabian Eye/imago images
রাতের দুবাই
দুবাইয়ের আকর্ষণ কিন্তু দিনের আলোতেই নিভে যায় না৷ বরং, রাতে দুবাইয়ের একটি অন্য চিত্র প্রকাশ পায়৷ পাম জুমেরাহ, যা আসলে সমুদ্রের ওপর একটি কৃত্রিম দ্বীপ, পর্যটকদের কাছে রাতের দুবাইয়ের প্রাণকেন্দ্র৷ আলোর রোশনাইয়ের সাথে সাথে নানা ধরনের গানবাজনার আসরও বসে সেখানে৷
ছবি: Rula Rohana/Reuters
বুর্জ খলিফার গায়ে
মানুষের হাতে তৈরি সবচেয়ে বড় স্থাপত্য দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা হোটেল৷ দুই হাজার ৭১৭ ফুট উঁচু এই হোটেল নানা উপলক্ষে সাজে নানান সাজে৷ ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে এই হোটেল সেজে উঠেছিল লাল-সবুজ পতাকার রঙে৷