1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এরশাদের ‘না’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ ডিসেম্বর ২০১৩

মনোনয়নপত্র দাখিলের পরদিন এরশাদ বললেন জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না৷ পরিবেশ নেই এটাই নির্বাচন থেকে দলকে প্রত্যাহারের কারণ৷অবশ্য নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা সাত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টা কি করবেন তা জানাননি তিনি৷

ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন তাঁর দল নির্বাচনে যাবে না৷ যারা মানোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি৷ এরশাদ বলেন, ‘‘সব দল নির্বাচনে না গেলে আমি নির্বাচনে যাব না৷ বলেছিলাম সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরাপদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আমরা নির্বাচনে থেকে যাব৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হলো৷ এখন দেশের অনিশ্চিত গন্তব্য কোথায় গিয়ে থামবে, তা শুধু সর্বশক্তিমান আল্লাহই জানেন''৷ তবে নির্বাচনকালীন সরকারে জাতীয় পার্টির মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপদেষ্টারা পদত্যাগ করবেন কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন , ‘‘এ বিষয়ে পরে জানাবো''৷

এদিকে এরশাদের এই ঘোষণায় রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও সরকারকে বাইরে থেকে তেমন উদ্বিগ্ন মনে হচ্ছে না৷ যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘‘এরশাদের এই বক্তব্যকে লেটেস্ট মনে করার কোনো কারণ নেই৷ লেটেস্ট বক্তব্যেরও লেটেস্ট থাকতে পারে৷'' ওবায়দুল কাদের বলেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর৷ সেই দিন পর্যন্ত তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝতে সবাইকে অপেক্ষা করতে বলেন৷ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দেশে জরুরি অবস্থা জারির মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি৷

এরশাদ বলেন, ‘‘সব দল নির্বাচনে না গেলে আমি নির্বাচনে যাব না৷‘ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images

আরেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এরশাদ শেষ কথা বলে ফেলেছেন এমন ভাবার কোনো কারণ নেই৷ তিনি বলেন এরশাদ এই সিদ্ধান্ত দলের সবার সঙ্গে কথা বলে নেননি৷ জাতীয় পার্টির অনেক নেতার সঙ্গেই কথা হয়েছে৷ তাই কি হয় তা দেখার জন্য আরো অপেক্ষা করতে বলেন তিনি৷

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না থাকলে নির্বাচন একতরফা হয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল বলেন, ‘‘একতরফা হবে কেন? ১,১০০ জন প্রার্থী হয়েছেন''৷ গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘ভোটারের উপস্থিতির ওপর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে৷ আর নির্বাচনের বিকল্প কিছু নাই৷ আমরা চাই বিএনপিও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক''৷

এদিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণায় বিরোধী দল বিএনপি উল্লসিত হলেও তারা বেশ সতর্ক৷ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় নির্বাচন প্রক্রিয়া আরো বিশ্বাসযোগ্যতা হারালো৷ তবে এরশাদের মন্ত্রীদের পদত্যাগ এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনে শামিল না হওয়া পর্যন্ত এরশাদকে বিশ্বাস করতে পারছে না বিরোধী দল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ