ধনী-গরিবের বিভক্তি
৮ আগস্ট ২০১৩ব্লোমকাম্প এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ নিয়ে ‘ডিস্ট্রিক্ট নাইন' নামে প্রথম ছবিটি তৈরি করেছিলেন৷ ‘এলিসিয়াম' ছবিটি ভবিষ্যতধর্মী, আগামীর ঘটনা নিয়ে নির্মিত৷ বিত্তের বৈষম্য, অভিবাসন সমস্যা এবং স্বাস্থ্য সমস্যা ফুটে উঠেছে এতে৷
৩৩ বছর বয়স্ক দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক ব্লোমকাম্পের ‘ডিজিটাল এফেক্ট' নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ সেইসাথে আছে সামাজিক দায়িত্ববোধ৷ তাই ছবিটিতে একটি বিরল জিনিসের সমন্বয় ঘটেছে৷ আর তা হলো – সায়েন্স ফিকশন, সাথে মানবিক ঘটনা৷
ব্লোমকাম্পের মতে, সায়েন্স ফিকশন এমন একটা জিনিস যেখানে কিছু ভাবনার বহিপ্রকাশ ঘটে৷ এটা এমন একটি কাঁচ, যা দিয়ে সমাজকে ভিন্নভাবে দেখা যায়৷
‘এলিসিয়াম'-এ একটি রূপক কাহিনি তুলে ধরেছেন ব্লোমকাম্প৷ তিনি দেখিয়েছেন ২১৫৪ সালে পুরো পৃথিবী যখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তখন ধনীরা মহাকাশের একটি কক্ষপথে বিলাসবহুল মহাকাশ কেন্দ্রে বসবাস করছেন৷
ছায়াছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন জুডি ফস্টার৷ এখানে তাঁর ভূমিকা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর৷
ব্লোমকাম্প জানালেন, ‘এলিসিয়াম'-এর এই ভাবনাটা তাঁর মধ্যে হঠাৎ করে আসেনি৷ তিনি অনেক আগে থেকেই সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চেয়েছেন, তাই এই ছবির কাহিনিটা তাঁর ভেতর থেকেই এসেছে৷
ব্লোমকাম্প প্রথম হলিউড বোদ্ধাদের চোখে পড়েন তাঁর তথ্যচিত্র ‘অ্যালাইভ ইন জোবুর্গ' দিয়ে৷ সেটা থেকেই পরবর্তীতে তিনি ‘ডিস্ট্রিক্ট নাইন' নামে চলচ্চিত্রটি তৈরি করেন৷ ছবিটি অস্কারে চারটি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পায়৷
‘এলিসিয়াম' নিয়ে কিছু সমালোচক নেতিবাচক মন্তব্য করলেও পরিচালক যে সাম্যের রাজনীতি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা দেখিয়েছেন, তা আকৃষ্ট করেছে বেশিরভাগ চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের৷
প্রায় ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্মিত এই ছায়াছবিটি পরিবেশন করেছে সনি পিকচার্স এবং মিডিয়া রাইটস ক্যাপিটাল৷
এখন দেখার বিষয় দর্শকদের মন জয় করে ‘এলিসিয়াম' পুরস্কার এবং সেইসাথে বক্স অফিস মাতাতে পারে কিনা!
এপিবি/ডিজি (এপি, ইএপি)