বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন পণ্যের দোকানগুলো বন্ধ৷ বিপুল অবিক্রিত পণ্য রয়ে গেছে তাদের, যার কারণে সরবরাহকারীদের ক্রয় আদেশও বাতিল করছে৷ বাংলাদেশের মতো পোশাক রপ্তানিকারী দেশগুলোর শ্রমিকদের উপর নেমে এসেছে বড় এক বিপর্যয়৷
বিজ্ঞাপন
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এর মতে, এশিয়ায় কয়েক লাখ কারখানার শ্রমিক বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন৷ বিশেষ করে সিএন্ডএ বা এইচএন্ডএম- এর মতো ফ্যাশন চেইনগুলোর জন্য যারা পোশাক তৈরি করে সেসব শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ৷
‘‘বেশিরভাগ পোশাককর্মীই মার্চ মাসের মজুরি পেয়েছে, যদিও আমি মনে করি এপ্রিল মাসের মজুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হবে তারা৷ কারণ অনেক কোম্পানি অর্ডার বাতিল করেছে, যেসব অর্ডারের পোশাক ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে,’’ বলেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর আইন বিষয়ক উপদেষ্টা অরুণা কাশিয়াপ৷
তিনি আরো বলেন, ‘‘যার অর্থ দাঁড়ায় ফ্যাশন চেইনগুলো চুক্তি বাতিল করায় বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং মিয়ানমারের পোশাক শ্রমিকরা তাদের পাওনা মজুরি পাবেন না৷ আন্তর্জাতিক চেইনগুলো লোকসানের হাত থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য পোশাককর্মীদের ঘামঝরা শ্রমের বিনিময়ে এই অন্যায় সুযোগ নিয়েছে৷’’
কম্বোডিয়ার শ্রমমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশটির ১১০টিরও বেশি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে৷ যেখানে এক লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ করে৷
মহিলা অধিকার বিষয়ক সংগঠন ফেমনেট-এর মতে বাংলাদেশে এক হাজারেরও বেশি কারখানা এখন বন্ধ৷ করোনা সংকটে হঠাৎ করে কার্যাদেশ বাতিল করা বড় ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বেলজিয়াম ভিত্তিক সিএন্ডএ এবং সুইডেনের এইচ এন্ড এম৷
এনএস/কেএম (এনটিভি, ডিপিএ)
দেখুন ২০১৮ সালের ছবিঘর...
জার্মানির দোকানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক
জার্মানির অনেক দোকানেই আজকাল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক দেখা যায়৷ এ সমস্ত পোশাকের ডিজাইন আধুনিক, অথচ দাম কম৷ সে কারণে পোশাকগুলো তরুণ-তরুণীদের বেশ পছন্দ৷ জার্মানিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকেরই কিছু নমুনা থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/N. Sattar
এইচ অ্যান্ড এম
এইচ অ্যান্ড এম-এর দোকানেই সবচেয়ে প্রথম বাংলাদেশের তৈরি পোশাক চোখে পড়ে৷ পোশাকের গায়ে লেখা ছিল ‘মেড ইন বাংলাদেশ’৷ আজও এইচ অ্যান্ড এম-এর দোকানগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য পাওয়া যায়৷ অবশ্য সুইডিশ এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বেশিরভাগ পোশাকই বিভিন্ন দেশের তৈরি৷ বিদেশে তৈরি হওয়ার কারণে এখানকার পোশাক অপেক্ষাকৃত সস্তাও৷ ফ্যাশনেবল এবং সস্তা পোশাকের কারণেই এইচ অ্যান্ড এম-এর দোকানগুলোতে থাকে তরুণ প্রজন্মের ভিড়৷
ছবি: DW/N. Sattar
এইচ অ্যান্ড এম
মেড ইন বাংলাদেশ, বাঙালিরা গর্ব বোধ করে বৈকি!
ছবি: DW/N. Sattar
তরুণীদের ভীষণ পছন্দ
এবারের গরমে এইচ অ্যান্ড এম নিয়ে এসেছিল জার্মান তরুণীদের উপযুক্ত পোশাক৷
ছবি: DW/N. Sattar
জিন্স জ্যাকেট
নিঃসন্দেহে তরুণদের প্রিয় পোশাক!
ছবি: DW/N. Sattar
নিউ ইয়র্কার
দোকানের নাম শুনেই মনে হয় যেন আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে এখানে৷ তাই না?
ছবি: DW/N. Sattar
স্কিন টাইট জিন্স
নিউ ইয়র্কার-এ পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রঙের স্কিন টাইট জিন্স৷ দাম মাত্র ৯ ইউরো৷ অর্থাৎ বাংলাদেশি ৯০০ টাকা৷ আসলে এই মুহূর্তে চলছে ‘বিশেষ মূল্যহ্রাস’ বা ‘ডিসকাউন্ট সেল’৷ আসলে জিনিসটার দাম ছিল ১৪ ইউরো৷
ছবি: DW/N. Sattar
প্রাইমার্ক
এ দোকানেও থাকে ক্রেতাদের প্রচন্ড ভিড়৷ এইচ অ্যান্ড এম-এর মতো এই ব্যান্ডটিও অপেক্ষাকৃত সস্তা, তাই প্রাইমার্কও তরুণ-তরুণীদের দারুণ পছন্দ৷
ছবি: DW/N. Sattar
মেয়েদের গরমের পোশাক
বাংলাদেশের তৈরি গরমের এই হালকা পোশাকগুলো দেখতে যেমন ভালো, তেমন দামেও কম৷ তাছাড়া এবার জার্মানিতে যেমন গরম পড়েছে, প্রায় সকলকেই হালকা খোলামেলা কাপড়-চোপড় কিনতে হচ্ছে৷
ছবি: DW/N. Sattar
কোলনের জনপ্রিয় শপিং স্ট্রিট হোয়ে স্ট্রাসে
কোলন শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এই শপিং স্ট্রিটে রয়েছে ছোট বড়-নানা ধরনের দোকান৷ এই শপিং স্ট্রিটটি জার্মানির জনপ্রিয় শপিং কেন্দ্রেগুলোর একটি৷ এখানে কেনাকাটার জন্য রয়েছে এইচ অ্যান্ড এম, নিউ ইর্কার বা স্প্যানিশ কোম্পানি জারা-র মতো সাধারণ মানুষের দোকান৷ আবার আছে লুই ভিটো-র মতো বিলাসবহুল শপও৷
ছবি: DW/N.Sattar
কাউফহোফ
জার্মানির বিশাল এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কাউফহোফ৷ এখানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক চোখে পড়েনি এখনো৷ তবে পাওয়া যায় বাংলাদেশে তৈরি লেদার ব্যাগ৷
ছবি: DW/N. Sattar
আকর্ষণীয় লেডিস ব্যাগ
পিকার্ড কোম্পানির বিভিন্ন রঙের এবং বিভিন্ন সাইজের অত্যন্ত আকর্ষণীয় চামড়ার এই ব্যাগগুলি৷ বেশিরভাগই লেডিস ব্যাগ৷ এই কোম্পানির ব্যাগ দেখতে যেমন সুন্দর, দামেও কিন্তু ঠিক তেমনি৷