ডেঙ্গু
৪ নভেম্বর ২০১২![The health department of Uruguay confirmed on Wednesday (14.03.2007) that there were Aedes Aegypti mosquitoes, the spreaders of dengue fever, in Montevideo. So far, Uruguay is the only country in South America with no case of dengue fever. MOSQUITO feeding on human arm, Aedes sp. Foto: Anthony Bannister/NHPA +++(c) dpa - Report+++](https://static.dw.com/image/16127381_800.webp)
গত নয় মাসে ভারতে মারা গেছেন মোট ১০০ জন৷ এটা সরকারের দেয়া হিসেব৷ কিন্তু ওই একশতে যশ চোপড়া নামটি যোগ হওয়ার আগ পর্যন্ত তেমন টনক নড়েছে কি কারো? ভারতের কথা আপাতত থাক৷ চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার মৃত্যুর আগে থেকেই বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে ডেঙ্গু৷ বিস্তার এত বড় এলাকা জুড়ে হচ্ছে এবং রোগের ধরনও এত বদলে যাচ্ছে যে চিকিৎসকদের আশঙ্কা এডিস ছাড়া অন্য কোনো মশাও বহন করতে শুরু করেছে এ রোগের জীবাণু৷
বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, নেপাল, ভুটান, ফিলিপিনস, মালয়েশিয়া,ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব তিমুর – এভাবে এডিস মশা যেন এশিয়ার নতুন নতুন দেশ জয় করছে৷ তাতে মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ৷ ভারতে গত নয় মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ১০৪ জন, মারা গেছেন ১০০ জন৷ শ্রীলঙ্কায় গত ছয় মাসেই আক্রান্ত ১২ হাজার ৩৩৬ জন, রোগভোগের পর এ পর্যন্ত ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে ৭৫ জনের৷ কম্বোডিয়ায় এ বছর এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২ হাজার ২৮০, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও বলছে গত বছর এ সময়ে কম্বোডিয়ায় নাকি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চার ভাগের এক ভাগ!
এভাবে হু হু করেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ৷ রোগীরা তো বটেই, চিকিৎসকরাও আতঙ্কিত৷ কখনো কখনো রীতিমতো অসহায় বোধ করছেন তাঁরা৷ ঢাকার চিকিৎসক আব্বাস ভূইঞা ডয়চে ভেলেকে বলছিলেন, ‘‘ডেঙ্গুর তেমন কোনো চিকিৎসা নেই৷ কোনো ওষুধ নেই, প্রতিরোধক টিকা নেই৷'' চিকিৎসা বলতে জ্বর কমানোর চেষ্টা করা আর রক্তের প্লাটিলেট স্বভাবিক পর্যায়ে ফেরানোর সহজ উপায়গুলো কাজ না করলে শরীরে নতুন রক্ত দেয়া৷ গরীব মানুষ তো কিনে রক্ত দিতে পারেন না৷ সরকারি হাসপাতালে কত ব্যাগই বা রক্ত থাকে!
ডেঙ্গু নিয়ে ডাব্লিউএইচও-ও বেশ উদ্বিগ্ন৷ সংস্থাটির আশঙ্কা, যেভাবে বিস্তার বাড়ছে তাতে এই রোগে ভুগে বছরে ২০ হাজার লোক মারা যাবে৷ আর মৃতদের তালিকায় শিশুই থাকবে বেশি!