1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন্দ্রবিন্দু এশিয়া

রোডিয়ন এবিগহাউজেন / এসি৩ জুলাই ২০১৩

ব্রুনেই-তে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এশিয়ায় মার্কিন উদ্যোগের কোনো ঘাটতি হবে না৷ অপরদিকে তিনি চীনের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথে যেতেও রাজি নন৷

US Secretary of State John Kerry (2nd R) with ASEAN counterparts Singapore's Foreign Minister K Shanmugam (L), Vietnamese Foreign Minister Pham Binh Minh (2nd L) and Bruneian Foreign Minister Mohammad Bolkiah (R) shake hands during a group photogrpah at the 3rd East Asia Summit (EAS) Foreign Minister's Meeting in Brunei's capital Bandar Seri Begawan on July 2, 2013. US Secretary of State John Kerry meets his Russian counterpart Sergei Lavrov on July 2 in Brunei in hopes of narrowing differences on ending the Syrian bloodshed, a task complicated by the two powers' tug-of-war over fugitive US secrets leaker Edward Snowden. AFP PHOTO / ROSLAN RAHMAN (Photo credit should read ROSLAN RAHMAN/AFP/Getty Images)
ছবি: Reuters

মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি এশিয়ামুখী হয়ে ওঠে কেরির পূর্বসূরি হিলারি ক্লিন্টনের আমলে৷ তিনিই ‘‘অ্যামেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় শতাব্দী'' শুরু হওয়ার কথা ঘোষণা করেন৷ ২০০৯ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীপদের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ক্লিন্টনের প্রথম বিদেশযাত্রা তাঁকে নিয়ে যায় এশিয়া অভিমুখে৷

কিন্তু বিগত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এশীয় সহযোগীদের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, ওয়াশিংটনের এশিয়ার প্রতি আগ্রহ – অন্তত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে এশিয়ার অগ্রাধিকার কমছে কিনা, বিশেষ করে কেরি যখন দৃশ্যত সিরিয়া সংঘাত এবং ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনে সম্পর্কের প্রতিই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন৷

বারংবার আশ্বাস

আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে কেরি ঠিক সেই সন্দেহই দূর করার চেষ্টা করেছেন: সোমবার ব্রুনেই-তে তিনি বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া থেকে নজর ফেরাচ্ছে না৷ এমনকি আগামীতে এশিয়ায় মার্কিন উদ্যোগ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে কেরি আশা প্রকাশ করেন৷ কেরির এ ঘোষণা আসিয়ান-এর দশটি দেশই নয়, সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, জাপান. নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সামনে৷ ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিবছর এই আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম বা এআরএফ আয়োজিত হচ্ছে, এবং বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ হিসেবে তার গুরুত্ব বেড়েছে বৈ কমেনি৷

ব্রুনেই-তে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি (মাঝে) স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এশিয়ায় মার্কিন উদ্যোগের কোনো ঘাটতি হবে নাছবি: JACQUELYN MARTIN/AFP/Getty Images

কেরির ঘোষণার এক মাস আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হাগেল এই অঞ্চলের নিরাপত্তানীতি জনিত বৃহত্তম সম্মেলন ‘শাংগ্রি-লা সংলাপ'-এ বলেন: ‘‘(মার্কিন) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট অতীতের চেয়ে কমতে চলেছে, সে কথা ঠিক৷ কিন্তু তা থেকে ধরে নেওয়া যে, আমাদের কৌশলগত নীতির কোনো পরিবর্তন ঘটছে, সেটা ভুল৷''

কৌশলগত চ্যালেঞ্জ

এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একাধিক কৌশলগত চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে: তার মধ্যে দক্ষিণ এবং পূর্ব চীন সাগরের দ্বীপগুলোর মালিকানা নিয়ে বিরোধ, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি এবং মিয়ানমারে উপজাতিক এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা বলা যেতে পারে৷ দক্ষিণ চীন সাগরের কয়েকটি দ্বীপকে কেন্দ্র করে চীন ও জাপানের মধ্যে বিরোধ সম্পর্কে কেরি ব্রুনেই-তে বলেন: ‘‘শীঘ্রই একটি কার্যকরি কোড অফ কন্ডাক্ট (ব্যবহারিক আচরণ সংক্রান্ত নীতিমালা) গড়ে তোলার পথে প্রগতি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করি, যে নীতিমালা এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে৷''

কেরি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ার একক সংঘাতগুলিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না, বরং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংঘাত সমাধানের জন্য চাপ দেবে৷ স্পষ্টত ওয়াশিংটন এই পন্থায় তার এশীয় সহযোগীদের মনোবল শক্ত করছে এবং চীনের একটি বিপক্ষ শক্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, যদিও সেটা চীনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতে না গিয়ে৷ তবে এই ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি বাস্তবে কাজ করবে কিনা এবং করলেও কতদিন করবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বিধা আছে৷

তবে পূর্ব রণাঙ্গনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এক নতুন ঠাণ্ডা লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন না কেউই, কেননা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও আর্থিক যোগাযোগ বহুমুখী ও দৃঢ়৷ কৌশলগতভাবেও, উত্তর কোরিয়া যে আণবিক অস্ত্রে সজ্জিত হোক, সেটা চীন কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কারোরই কাম্য নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ